মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন এবং রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন প্রথমবারের মতো বৈঠক করেছেন। বৈঠকে পারস্পরিক সুসম্পর্ক আরও এগিয়ে নেওয়ার বিষয়ে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তারা। একই সঙ্গে পুতিনকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন কিম। পুতিনও সেই আমন্ত্রণ সানন্দে গ্রহণ করেছেন। পিয়ংইয়ংয়ে রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম এসব কথা জানায়। উত্তর কোরিয়ার কেন্দ্রীয় বার্তা সংস্থা জানায়, বৃহস্পতিবার ভ্লাদিভস্তকে এ দুই নেতার মধ্যে সম্মেলন চলাকালে কিম ‘সুবিধাজনক কোনো এক সময়ে’ পুতিনকে উত্তর কোরিয়া সফরের আমন্ত্রণ জানালে রাশিয়ার এ নেতা সানন্দে তার আমন্ত্রণ গ্রহণ করেন। খবর এএফপি’র। অপর এক খবরে বলা হয়, দুই মাস আগেই হ্যানয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক ভেস্তে যায় মাঝপথেই। তবে এবার রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বৈঠক ফলপ্রসূ হয়েছে বলে দাবি করেছেন উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন। বৃহস্পতিবার রাশিয়ার একেবারে পূর্ব প্রান্তের বন্দর শহর ভ্লাদিভস্তকে পৌঁছেন কিম। সেখানে রুশ প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বেশ খানিক ক্ষণ আলোচনা করে কিম বলেন, ‘বৈঠক সফল’। পুরনো বন্ধুর পাশে দাঁড়িয়ে পুতিনও বৈঠক শেষে জানান, উত্তর কোরিয়া যদি সম্পূর্ণভাবে পরমাণু নিরস্ত্রীকরণের রাস্তায় হাঁটে তা হলে যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশকেও উত্তর কোরিয়ার পাশে দাঁড়াতে হবে। উত্তর কোরিয়ার উপর থেকে আর্থিক নিষেধাজ্ঞা তোলার জন্য প্রচ্ছন্নভাবে যুক্তরাষ্ট্রকে বার্তা দেন পুতিন। উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে রাশিয়ার সুসম্পর্ক আজকের নয়। বেজিংয়ের মতোই মস্কোও পিয়ংইয়ংয়ের দীর্ঘদিনের বন্ধু। কিন্তু মাঝের বেশ কয়েকটা বছর যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে প্রবল দ্ব›দ্ব চলাকালীন চীনের উপরে একটু বেশিই নির্ভরশীল হয়ে পড়েছিল উত্তর কোরিয়া। মস্কোর সঙ্গে বৈঠক অনেক দিন ধরেই ঝুলে ছিল। গত বছর থেকে কিম এবং ট্রাম্পের মধ্যে সম্পর্ক একটু শোধরানোয় যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গেই দু’দফা আলোচনা করেন কিম। যুক্তরাষ্ট্রর একের পর এক নিষেধাজ্ঞার ফলে এমনিতেই উত্তর কোরিয়ার অর্থনীতি ধুঁকছে। হ্যানয়ের বৈঠক ভেস্তে যাওয়ায় ফের রাশিয়ার কাছাকাছি আসার চেষ্টা করছিল পিয়ংইয়্যাং। চীন ছাড়া রাশিয়ার মতো শক্তিশালী দেশও যে তাদের পাশে রয়েছে তা প্রমাণ করতে এখন কার্যত মরিয়া কিম। অন্যদিকে, পুতিনও কোরীয় উপদ্বীপ নিয়ে কিমের সঙ্গে আলোচনার জন্য ব্যগ্র হয়ে উঠেছিলেন বলে দাবি করেছে দক্ষিণ কোরিয়ার সংবাদমাধ্যম। কারণ বিশ্বের অন্য শক্তিধর দেশগুলোর মতো ওই উপদ্বীপে নজর রয়েছে রুশ প্রেসিডেন্টেরও। তার দেশও যে ওই এলাকায় এক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে, সেটা পুতিনও গোটা বিশ্ব, বিশেষত যুক্তরাষ্ট্রকে দেখাতে চান বলে দাবি করেছে দক্ষিণ কোরিয়ার সংবাদমাধ্যম। এএফপি, আরটি, কেসিএনএ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।