ইবি ভিসির অফিসে তালা, অডিও ক্লিপ বাজিয়ে আন্দোলন
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ভিসি প্রফেসর ড. শেখ আবদুস সালামের অডিও ফাঁসের ঘটনায় তৃতীয় দিনেও ভিসি
আজ শুক্রবার ২৬ এপ্রিল বন্ধের দিনে আমরণ অনশন কর্মসূচি পালন করছে শিক্ষার্থীরা। অনশনের তৃতীয় দিনে ভূতত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ইলিয়াস মাহমুদ ও ৮ শিক্ষার্থী মোট ৯ জন গুরুতর অসুস্থ হন। বর্তমানে তারা শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ১২ জন শিক্ষার্থীও শিক্ষকরা অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের মাঝে শফিকুল ইসলাম প্রশ্ন রেখে বলেন, ‘আমাদের শিক্ষকরা অসুস্থ হচ্ছেন, শিক্ষার্থীরা অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। অমাদেও ৮০০০ শিক্ষার্থীর চেয়ে কি রাষ্ট্রের কাছে একজন বেশি মুল্যবান?’ তিনি আরও বলেন, ‘প্রয়োজনে আমরা জীবন দিব, তবুও উপাচার্যের পদত্যাগ নিয়েই ঘরে ফিরব।’
এছাড়াও এরআগে উপাচার্যের পদত্যাগ চেয়ে ৫৬ জন শিক্ষক তাঁদের স্ব-স্ব প্রশাসনিক পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন বলে জানা গেছে।
প্রসঙ্গত, গত ২৬ মার্চ মহান স্বধীনতা ও জাতীয় দিবসে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ শিক্ষার্থীদের বাদ দিয়ে বৈকালিক চা-চক্র ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। সেখানে শিক্ষার্থীদের আমন্ত্রণ না জানানোয় শিক্ষার্থীরা এ অনুষ্ঠানের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানায়। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে উপাচার্য আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদেরকে বিইউডিএস কর্তৃক আয়োজিত এক পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে ‘রাজাকারের বাচ্চা’ বলায় উপাচার্যের বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু করে শিক্ষার্থীরা। এর প্রেক্ষিতে ২৮ মার্চ বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল কার্যক্রম অনির্দিষ্ট কালের জন্য বন্ধ করে দেয় এবং হল থেকে নেমে যাওয়ার নির্দেশ দেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তখন হলে অবস্থান করে উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন শুরু করে শিক্ষার্থীরা। পরবর্তীতে এক বিবৃতিতে উপাচার্য দুঃখ প্রকাশ করেন। দুঃখ প্রকাশেও কাজ না হওয়ায় গত ৬ এপ্রিল স্থানীয় রাজনিৈতক ও প্রশাসনিক ব্যাক্তিবর্গ এবং শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধিরা সমঝোতা বৈঠক করেন। কিন্তু তা কোনো কাজে আসেনি। পরে ১০ এপ্রিল ১৫ দিনের ছুটিতে যান উপাচার্য। এ ছুটি প্রথ্যাখ্যান করে উপাচার্যের পদত্যাগ অথবা পূর্ণকালীন ছুটি চেয়ে গত ২দিন ধরে অনশন করছে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।