মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে সম্পর্কিত বিবিসির বিতর্কিত তথ্যচিত্র প্রদর্শন নিয়ে এবার উত্তাল দিল্লির জামিয়া মিলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়। জেএনইউয়ের পর জামিয়া কর্তৃপক্ষও ‘দ্য মোদি কোয়েশ্চেন’ নামের ওই তথ্যচিত্রটির প্রদর্শন বন্ধ করার জন্য কড়া অবস্থান নিল। যার জেরে রীতিমতো হট্টগোল শুরু হয়ে গেল জামিয়া ক্যাম্পাসে। এখনও পর্যন্ত সহিংসতা ছড়ানোর অভিযোগে ১২ জন শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলেও সূত্রের খবর।
জেএনইউয়ের পর জামিয়াতেও এই বিতর্কিত তথ্যচিত্রটির প্রদর্শন নিয়ে অশান্তির সম্ভাবনা ছিলই। আগে থেকেই বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরের বাইরে মোতায়েন ছিল দিল্লি পুলিশের বিশাল বাহিনী। নামানো হয়েছিল আরএএফ। সূত্রের খবর, এই ডকু ছবিটি দেখানোর আগেই বামপন্থী ছাত্র সংগঠনের সদস্যরা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের বাইরে জমায়েত করছিল। পুলিশ গিয়ে তাদের সরিয়ে দেয়। কয়েকজনকে আটক করা হয়। আটকদের অধিকাংশই এসএফআই সদস্য বলে খবর।
জামিয়া মিলিয়া কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, এসএফআই ক্যাম্পাসের শান্তিভঙ্গ করার চেষ্টা করছে। খোদ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নাজমা আখতার দাবি করেছেন, এসএফআই উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে অশান্তি ছড়াচ্ছে। যেসব শিক্ষার্থী এর সঙ্গে যুক্ত তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ারও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি।
এর আগে জেএনইউ বিশ্ববিদ্যালয়েও এই তথ্যচিত্র দেখানো নিয়ে বিস্তর বিতর্ক হয়েছে। নিষেধাজ্ঞা সত্বেও মঙ্গলবার সন্ধেবেলায় ক্যাম্পাসের অন্দরেই তথ্যচিত্রের প্রদর্শনী শুরু হয়। সেখানেই জমায়েত হওয়া শিক্ষার্থীদের উপর পাথর ছোঁড়ার অভিযোগ ওঠে আরএসএসের ছাত্র সংগঠন এবিভিপির বিরুদ্ধে। এমনকী ক্যাম্পাসের মধ্যে ইচ্ছাকৃতভাবে লোডশেডিং করিয়ে শিক্ষার্থীদের হেনস্তা করার অভিযোগ উঠেছে। লোডশেডিং হয়ে যাওয়ার পরে ফোনেই ছবি দেখা শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। সেই সময়ও তাদের উপর পাথর নিয়ে হামলা হয় বলে জানা গিয়েছে।
গভীর রাতে ক্যাম্পাস থেকে বেরিয়ে বসন্তকুঞ্জ থানার সামনে জড়ো হন শিক্ষার্থীরা। কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করার দাবিতে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। দীর্ঘক্ষণ পরে অভিযোগ দায়ের করেন শিক্ষার্থীরা। তবে দিল্লি পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, অভিযোগ দায়ের হলেও সেটা এফআইআর নয়। তবে ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। সূত্র: টাইমস নাউ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।