Inqilab Logo

রোববার, ২৬ মে ২০২৪, ১২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১৭ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

রাস্তা নেই, নির্মাণ হচ্ছে ব্রিজ

চাঁদপুর থেকে স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৫ এপ্রিল, ২০১৯, ৪:৩০ পিএম

চাঁদপুর জেলার হাইমচর উপজেলার আলগীতে কৃষি জমির মাঝখানে রাস্তা ছাড়াই কয়েক ২৫ লাখ টাকা ব্যায়ে ব্রিজ নির্মাণের খবর পাওয়া গেছে। এলাকাবাসী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে এ বিষয়ে অভিযোগ করেছেন। এয়াড়া ছোট খালের উপর ব্রিজ নির্মাণ করা হলে শত শত জেলের নৌকা আসা-যাওয়ার সময় সমস্যা হবে বলে জেলেদের পক্ষ থেকেও অভিযোগ উঠেছে।

উপজেলার ৩ নং দক্ষিণ আলগী ইউনিয়নে ১নং ওয়ার্ড কৃষ্ণপুর খালের উপর কৃষিজমির মাঝখানে এ ব্রিজ নির্মানে ২৫ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়ার হয়েছে। সরকারের ত্রাণ ও পুনর্বাসন মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে কাজ হবে জানান, উপজেলার প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস। উত্তর আলগী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মনির আহমেদ দুলাল পাটোয়ারীর হাডু এন্টারপ্রাইজের লাইসেন্সের নামে ব্রিজ নিমার্ন করা হচ্ছে।

সরেজমিনে এলাকাবাসী স্থানীয় বাসিন্দা হাফেজ পাটওয়ারী, শহীদ মাঝি ও মফিজ মাতাব্বর জানান, জনবহুল রাস্তায় ব্রিজ না করে মেঘনা নদীর পাড়ে বিলের মাঝখানে করা হচ্ছে। ইউনিয়নের শত শত জেলে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসার আনিসুর রহমানের কাছে অভিযোগ করে কাজটি না করার জন্য দাবি জানান ।

কিন্তু ঠিকাদার নিজের প্রভাব খাটিয়ে চলাচলের রাস্তায় ব্রিজটি না করে কৃষি জমির মাঝে নির্মাণ করছেন। ছোট খালের উপর ব্রিজ করলেও দুই পাশে কোন রাস্তা নেই। রয়েছে কৃষি জমি, পাশেই আছে ডাকাতিয়া নদী। এ এলাকার শতকরা ৮০ ভাগ লোক মৎস্যজীবী। কৃষ্ণপুর খাল দিয়ে শত শত জেলে নৌকা আসা-যাওয়া করে।

এছাড়া ব্রিজ নির্মাণ কাজে ব্যাপক অনিয়মেরও অভিযোগ উঠেছে ঠিকাদারের বিরুদ্ধে। সিডিউল মোতাবেক যে পরিমাণ রড দেওয়ার কথা ছিল তার চেয়ে কম রড ব্যবহার করা হয়েছে। এছাড়া বোল্ডার ভাঙ্গা পাথর ব্যবহার না করে নিম্নমানের ভাঙ্গা গুড়া পাথর দিয়ে কাজ করা হচ্ছে। ব্রিজের দু পাড়ে পাইলিং করা হয়নি । ফলে বর্ষায় মেঘনা নদীর প্রবল ¯্রােতে ভেঙে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসী।

ঠিকাদারের প্রতিনিধি নুরুল হক মাস্টার বলেন, ‘বাজারে যে পাথর পাওয়া যাচ্ছে সেই পাথর দিয়েই কাজ করানো হচ্ছে। নিন্মমানের পাথর দিয়ে কাজ করানো হচ্ছে কিনা, এতো প্রশ্নের জবাব আপনাদের দিব কেন। কিছু জানতে হলে অফিসের সাথে যোগাযোগ করেন।’

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসার (পিআইও) আনিসুর রহমান জানান, রাস্তা ছাড়া কৃষি জমির মাঝে ব্রিজ তৈরি করার আগে স্থানীয় চেয়ারম্যান ও জেলে প্রতিনিধি উপস্থিত ছিল। চেয়ারম্যান নতুন একটি রাস্তা করে দেবার কথা বলার পরেই ব্রিজের কাজ শুরু করা হয়। নিম্নমানের পাথর দিয়ে ব্রিজ নির্মাণ করা হচ্ছে এমন অভিযোগ পাওয়া গেলে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব।

হাইমচর উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা ফেরদৌসী বেগম বলেন, বিষয়টি জানতে পেরেছি। কৃষিজমির মাঝখানে ব্রিজ নির্মান নিয়ে ঐ এলাকার মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আমাকে ফোন করেছে। ইউনিয়নের চেয়ারম্যানকে বলা হয়েছে, এ বিষয়ে ঘটাস্থলে গিয়ে দেখে জানানোর জন্য। তারপরও আমি জেনে ব্যবস্থা নেব।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: অনিয়ম

২৩ এপ্রিল, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ