নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
বাংলাদেশ হকি ফেডারেশনের (বাহফে) বহুল কাঙ্ক্ষিত নির্বাচনকে সামনে রেখে এতে অংশ নেয়া দু’টি পক্ষই বর্তমানে নিজেদের প্রচার-প্রচারণায় ব্যস্ত। সবকিছু ঠিক থাকলে ২৯ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হবে বাহফে’র নির্বাচন। ক্যালেন্ডারের হিসেবে নির্বাচনের মাত্র ৫ দিন বাকি থাকলেও জেলায় জেলায় চষে বেড়িয়েছেন রশিদ-সাঈদ ও সাজেদ-সাদেক প্যানেলের প্রার্থীরা। ভোটপ্রার্থনা করে তারা বিভিন্ন জেলা ক্রীড়া সংস্থার কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন। চেষ্টা করছেন কাউন্সিলরদের মন জয় করতে। তবে এই প্রচারণা নিয়ে দু’পক্ষই একে অন্যের দোষ খুঁজে বেড়াচ্ছে। অভিযোগ তুলছে নির্বাচন আচরণবিধি লঙ্ঘনের। সাজেদ-সাদেক প্যানেলের দাবী প্রচারণার নামে বিভিন্ন জেলায় গিয়ে কাউন্সিলরদের প্রভাবিত করার চেষ্টা করেছেন রশিদ-সাঈদ প্যানেলের প্রার্থীরা। যা নির্বাচন আচরণবিধি লঙ্ঘনের সামিল। তবে এমন অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করলেন “বাঁচাও হকি’ শ্লোগানে নির্বাচনে অংশ নেয়া রশিদ-সাঈদ প্যানেলের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী আলহাজ্ব একেএম মমিনুল হক সাঈদ। তিনি বলেন,‘আমরা কোনভাবেই নির্বাচন আচরণ বিধি লঙ্ঘন করিনি। কোনো কাউন্সিলরকে প্রভাবিত করার চেষ্টাও আমাদের নেই। নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণার আগে মূলত আমাদের লক্ষ্য ছিল সব জেলায় ঘুরে তৃণমূলে পর্যায়ে হকির সমস্যাগুলো চিহ্নিত করা। সেই লক্ষ্যে জেলা ক্রীড়া সংস্থার কর্মকর্তা ও যে ক’টি জেলায় হকি খেলা হয় সেখানকার কর্তাদের সঙ্গে কথা বলেছি। নির্বাচিত হলে হকির উন্নয়নে ভবিষ্যতে কি কি পরিকল্পনা হাতে নেব, বিশ্ব ক্রীড়াঙ্গনে দেশের হকিকে কিভাবে তুলে ধরবো সেই সব বিষয় নিয়ে তাদের সঙ্গে আলোচনা করেছি। ব্যক্তিগতভাবে কোন কাউন্সিলরের কাছে যাইনি। তাই আচরণবিধি লঙ্ঘনের প্রশ্নই ওঠেনা।’
রশিদ-সাঈদ প্যানেল বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় হোটেল পূর্বাণীতে নিজেদের নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করবে। এ অনুষ্ঠানেই তারা প্যানেল পরিচিতি তুলে ধরবে। তার আগে প্রথম দফায় ১৮ এপ্রিল রাতে প্রচারণায় নেমে বিভিন্ন জেলায় গিয়ে ২০ এপ্রিল ঢাকায় ফিরে আসে তারা। দ্বিতীয় দফায় ২২ এপ্রিল রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়ে বুধবার রাতে রাজধানীতে ফিরেন সাঈদরা।
সাঈদ আরো বলেন, ‘জেলাগুলোর হকি কর্তাদের যখন ফোন দিয়েছি তখন তারা বলেছেন কি খেলবো ভাই, আমাদের তো স্টিকই নাই। তিনবছর আগে যে স্টিক পেয়েছি তা দিয়ে জাতীয় লিগে খেলেছি। এরপর তো কোন খেলাই হয়নি। তাদের এই কথার ভিত্তিতে ডিএসএ‘র তৃর্ণমূল পর্যায়ের খেলোয়াড়দের জন্য এক ডজন করে স্টিক ও বল দিয়েছি। এটা নিশ্চয়ই খারাপ কিছু নয়।’
তিনি জানান, আচরণবিধি লঙ্ঘনের প্রশ্ন উঠলে সাজেদ-সাদেক প্যানেলের দিকেই আঙুল তুলবেন সবাই। সাঈদের কথায়,‘উনারা যে মন্ত্রী নিয়ে মিটিং করেছেন সেটিও তো আচরণবিধি লঙ্ঘন। জেলা ও বিভাগীয় ক্রীড়া সংগঠক পরিষদের সভাপতি এবং চট্টগ্রামের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন দিনাজপুর গিয়ে মিটিং করেছেন। নির্বাচন কার্যক্রম চলাকালীন সময়ে কাউন্সিলর ছাড়া তো অন্য কাউকে নিয়ে এমন মিটিং করা যায়না। উনি তো মন্ত্রী পদমর্যাদার। দিনাজপুর গিয়ে ডিসিদের নিয়ে বসে নির্বাচনে সাজেদ-সাদেক প্যানেলকে পাস করাতে হবে এমন নির্দেশ দিয়েছেন। এটা কি ঠিক?’ তিনি যোগ করেন, ‘আমার নামে নানারকম বদনাম রটিয়ে বেড়াচ্ছেন সাজেদরা। ভোটকেন্দ্র সরিয়ে নেয়ার পাঁয়তারা করছেন। যা কারো কাম্য নয়।’
এদিকে সাজেদ-সাদেক প্যানেল জেলা ও বিভাগীয় ক্রীড়া সংগঠক পরিষদের সভাপতি ও মহাসচিবকে নিয়ে ২২ এপ্রিল নির্বাচনী প্রচারণায় বেড়িয়েছে। সৈয়দপুর ও দিনাজপুরে গিয়ে তিন বিভাগের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বসেছে। ঢাকায় ফিরে আরো তিন বিভাগের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বসে প্রয়োজনীয় আলাপ আলোচনা শেষ করেছে তারা। এই প্যানেলের সহ-সভাপতি প্রার্থী সাজেদ এএ আদেল বলেন, ‘প্রচারণায় গিয়ে দেখেছি বিভাগের অনেক কাউন্সিলরের সমাগম হয়েছে। আমাদের প্যানেলের প্রতি সবাই পজেটিভ। তারেকের কাউন্সিলরশিপ আটকে দিয়েছিল একটি পক্ষ। সেটিও ক্লিয়ার হয়েছে। আমরা নির্বাচনের দিকেই এগুচ্ছি। চাইবো একটি সুন্দর নির্বাচন। দিন গুনছি- কবে হবে ভোটযুদ্ধ।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।