মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
সম্পূর্ণ চেতনাহীন বা কোমা স্টেজে চিকিৎসকদের মতে তিনি না থাকলেও, বাস্তবিক অবস্থায় ফারাক ছিল না বিশেষ।
মির্যাকল বললেও কম বলা হবে। দীর্ঘ ২৮ বছর পর পুরোপুরি জ্ঞান ফিরে পেলেন এক মহিলা। এতদিন ধরে তিনি ছিলেন বিছানাবন্দি এক জড় পদার্থের মতো। সম্পূর্ণ চেতনাহীন বা কোমা স্টেজে চিকিৎসকদের মতে তিনি না থাকলেও, বাস্তবিক অবস্থায় ফারাক ছিল না বিশেষ। হাত-পা নড়ত না, চোখের মণি স্থির, কথা বলা বা সাড়া দেওয়ার প্রশ্নই ওঠে না। একমাত্র জীবনের লক্ষণ ছিল, তীব্র ব্যথার অনুভূতিতে তাঁর সাড় মিলত।
সংযুক্ত আরব আমিরশাহীর বাসিন্দা ভুক্তভোগী মুনিরা আবদুল্লার ছেলে ওমর ওয়েবার বলছেন, 'আমি কোনওদিন আশা ছাড়িনি, আমি জানতাম একদিন মা জেগে উঠবে।'
জানা গিয়েছে, ১৯৯১ সালে একটি ভয়াবহ গাড়ি দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছিলেন মুনিরা। ছেলে তখন চার বছরের ছিলেন। ৩২ বছরের মুনিরা তখন মাথায় গুরুতর চোট পেয়েছিলেন। সবটা সামলে মুনিরাকে হাসপাতালে নিয়ে যেতেও বেশ খানিকটা সময় লেগেছিল। এর পর লন্ডনে নিয়ে গিয়ে তাঁর চিকিৎসা শুরু হয়। তখন থেকেই এই জড় পরিস্থিতিতে রয়েছেন মুনিরা। এর পর UAE-তে ফিরে এসে টিউব দিয়ে তাঁকে খাওয়ানো হত, নিত্যদিন ফিজিওথেরাপি করানো হত।
এর পর মহম্মদ বিন জায়েদ UAE-র রাজকুমার ঘোষণা হওয়ার পর মুনিরার সমস্ত চিকিৎসার ভার নিতে চান তিনি। জার্মানিতে বিশেষ ভাবে তাঁকে ফিজিকাল থেরাপি ও ওষুধ দিয়ে চিকিৎসা করা হয়।
এভাবে চলতে চলতে প্রায় ১ বছর পর অনেকটাই চেতনা ফিরে পেতে শুরু করেন মুনিরা। ধীরে ধীরে আওয়াজ ফিরে পেতে শুরু করেন তিনি। এমনকী একদিন ছেলেকে নাম ধরে চিৎকার করে ডেকে ওঠেন।
বর্তমানে অনেকটাই সচেতন মুনিরা আবদুল্লা। কথা বলা, মন্ত্র উচ্চারণ এবং যখন ব্যথা হয় তখন বলতে পারেন তিনি। আপাতত আবু ধাবিতে পরিবারের সঙ্গে সুস্থ ভাবেই রয়েছেন। নিয়মিত চিকিৎসা চলছে তাঁর।
সূত্র : এই সময়
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।