Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৮ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বগুড়ার প্রত্যন্ত গ্রামে শত কোটি টাকার প্রাসাদ

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৩ এপ্রিল, ২০১৯, ১:৩০ পিএম | আপডেট : ১:৩৮ পিএম, ২৩ এপ্রিল, ২০১৯

পুরো গ্রাম জুড়ে নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের বসবাস। গ্রামের অধিকাংশ বাড়িতে টিনের বেড়া। এখানে উঁচু তলার ভবন করার সামর্থ্য নেই কারও। কিন্তু গ্রামে ঢুকতেই শ্বেত পাথর দিয়ে তৈরি বিশাল দুটি অট্টালিকা নজর কাড়ে সবার। কাছে গিয়ে না দেখলে মনে হবে রাজপ্রাসাদ।

কথিত আছে, এই বাড়ি নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ৫০০ কোটি টাকা। আর এটি তৈরি করতে সময় লেগেছে দীর্ঘ ১২ বছর। বর্তমানে কেউ এই বাড়িতে বসবাস করেন না। শুধুমাত্র একজন কেয়ারটেকার রয়েছেন দেখাশোনার জন্য।

বাড়ির মালিক সাখাওয়াত হোসেন টুটুল গত বছর দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় গ্রেফতার হয়ে ঢাকায় কারাগারে ছিলেন। বর্তমানে তার অবস্থান জানাতে পারেনি কেউই। বগুড়া জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার দেউলী ইউনিয়নের দেউলী সরকারপাড়া গ্রামের মৃত আব্দুল হাইয়ের ছেলে সাখাওয়াত হোসেন টুটুল।

দেউলী সরকারপাড়া গ্রামের বাসিন্দারা জানায়, স্কুলজীবনে বাবা-মায়ের ওপর অভিমান করে বাড়ি ছাড়েন টুটুল। এরপর ঢাকায় বসবাস শুরু করেন। সেখানেই লেখাপড়া শেষ করে বিয়ে করেন এক অবাঙালি নারীকে। এরপর থেকেই তার ভাগ্যের চাকা ঘুরতে শুরু করে। ঢাকার ধানমন্ডিতে অক্সফোর্ড ইন্টারন্যাশনাল স্কুল, গাজিপুর টাটকা ফুড প্রডাকশন ফ্যাক্টরি, গ্রামের বাড়িতে একটি ইটভাটা এবং একটি কোল্ড স্টোরেজ ছাড়াও প্রায় শতাধিক বিঘা আবাদি জমি রয়েছে টুটুলের। এছাড়াও আরও অনেক ব্যবসা রয়েছে তার। মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান টুটুল কীভাবে এত সম্পত্তির মালিক হলো তা নিয়ে এলাকায় রয়েছে নানা আলোচনা ও রহস্য।

বগুড়া জেলা শহর থেকে প্রায় ২৭ কিলোমিটার উত্তর-পূর্বে শিবগঞ্জ উপজেলার নিভৃত গ্রাম দেউলী। মহাস্থান মোকামতলা হয়ে আরও কিছুটা এগিয়ে পাকুরতলা এলাকায় পৌঁছে ডান দিকে ঘুরে কয়েক কিলোমিটার এবড়ো থেবড়ো পথ পেরিয়ে দৃষ্টিতে আসবে এই বাড়িটি। এলাকার লোকের কাছে বাড়িটি টুটুলের বাড়ি হিসেবে পরিচিত। মালিক টুটুল সপরিবারে ঢাকায় থাকেন। বাড়ির পুরো সীমানাসহ প্রতিটি অবকাঠামো দৃষ্টিনন্দন করে গড়ে তোলা হয়েছে। দূর থেকে মনে হবে লন্ডনের ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল। মূল ফটকটি নাটোরের উত্তরা গণভবনের নকশায় নির্মিত। ভেতরে চার তলা প্রাসাদের প্রথম ইউনিট ও দ্বিতীয় ইউনিটের ওপরে চৌকোনা চারটি গম্বুজ উত্তরা গণভবনের মতো। মূল ফটক দিয়ে ঢোকার পরই হাতের বাঁয়ে চোখে পড়বে শ্বেত পাথরের হংস ফোয়ারার চার ধারে পাথরের সান বাঁধানো পুকুর।



 

Show all comments
  • dalwar ২৩ এপ্রিল, ২০১৯, ৪:১৮ পিএম says : 0
    ভাল কাজকে সমর্থন করা উচিত। টুটুল যদি সৎ পথে অর্থ উপার্জন করে এরকম বাড়ি করে থাকে তবে এতে কারো কিছু বলার নেই কারণ ঘটনায় বিবরণে জানা যায়। সে বাবার সাথে অভিমান করে বাড়ি থেকে বেড়িয়ে গিয়েছিল। সুতরাং তার ভিতর একটা জিদ কাজ করেছে সে টাকা জমিয়েছে। বাড়ি করেছে। তাতে দোষের কিচু নেই। কিন্তু যদি অসৎ পথে টাকা উপার্জন করে থাকে তা হলে তার শাস্তি হওয়া উচিত। ধন্যবাদ
    Total Reply(0) Reply
  • Salzer Rahman ২৪ এপ্রিল, ২০১৯, ১০:৩২ এএম says : 0
    See no problem.
    Total Reply(0) Reply
  • Nazmul Anowar ২৪ এপ্রিল, ২০১৯, ৫:৪৫ পিএম says : 1
    বিস্তারিত পড়ে যা বুঝলাম তাতে এই অট্টালিকা তৈরীর পিছনে টুটুলের মেধা এবং ইচ্ছা শক্তিই বেশি কাজ করেছে।
    Total Reply(0) Reply
  • মোঃআনছার আলী রহবল দক্ষিন পাড়া চনদ্রহাটা ২৫ এপ্রিল, ২০১৯, ১২:৪০ পিএম says : 0
    ভাল কাজকে সমর্থন করা উচিত। টুটুল ভাই অবশ্যই সৎ পথে অর্থ উপার্জন করে এরকম বাড়ি করিয়াছে । আমি টুটুল ভাইকে ব্যাত্তিগত ভাবে জানি সে একজন সমাজ সেবক গবিব কে সব সময় সাহায্য করে থাকে এতে কারো কিছু বলার নেই কারণ ঘটনায় বিবরণে জানা যায়। সে বাবার সাথে অভিমান করে বাড়ি থেকে বেড়িয়ে গিয়েছিল। সুতরাং তার ভিতর একটা জিদ কাজ করেছে সে টাকা জমিয়েছে। বাড়ি করেছে। তাতে দোষের কিচু নেই। ধন্যবাদ
    Total Reply(0) Reply
  • হাফেজ শাহারুল ইসলাম ২৭ এপ্রিল, ২০১৯, ৬:৩৪ পিএম says : 0
    Tutul vayer kaj ta aktu bibechonar bishoy.jodi uni shot pothe taka rojgar kore a kaj koren to alhamdulillah.r jodi onno rokom vhabe jodi taka rojgar koren to duniate na hok porokale take dhora khetei hobe.allah amader shokol ke maf korun .amin
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: প্রাসাদ


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ