Inqilab Logo

সোমবার ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

পেরুর সাবেক প্রেসিডেন্টের মাথায় গুলি করে আত্মহত্যা

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২০ এপ্রিল, ২০১৯, ১০:২৬ এএম

ঘুষ অনিয়মের অভিযোগে পুলিশ গ্রেপ্তার করতে এসেছিল পেরুর সাবেক প্রেসিডেন্ট অ্যালান গার্সিয়াকে। কিন্তু আত্মসমর্পনের বদলে নিজের মাথায় গুলি করেন তিনি। সঙ্গে সঙ্গেই হাসপাতালে নেওয়া হয় তাকে। কিন্তু ততক্ষণে মারা যান গার্সিয়া। দেশের বর্তমান প্রেসিডেন্ট মার্টিন ভিজকারা তার মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন। এ খবর দিয়েছে বিবিসি।

অ্যালান গার্সিয়ার মৃত্যুর খবরে হাসপাতালে জড়ো হয় তার বহু সমর্থক। তাদেরকে ঠেকাতে বেগও পেতে হয় পুলিশকে।

গার্সিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, তিনি ব্রাজিলের নির্মান প্রতিষ্ঠান ওডেব্রেট থেকে ঘুষ নিয়েছেন। তবে তিনি এই দাবি প্রত্যাখ্যান করে আসছেন। ১৯৮৫ থেকে ১৯৯০ ও ২০০৬ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত পেরুর প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করে গার্সিয়া।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী কার্লোস মোরান সাংবাদিকদের জানান, পুলিশ যখন গার্সিয়ার বাড়িতে উপস্থিত হয়, তখন তিনি একটি ফোন কল করার জন্য সময় চান এবং একটি কক্ষে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দেন।

কয়েক মিনিট পরই একটি গুলির শব্দ পায় পুলিশ। তখন দরজা ভেঙ্গে পুলিশ সদস্যরা ভেতরে প্রবেশ করলে তারা ভেতরে দেখতে পান, চেয়ারে বসে থাকা গার্সিয়ার গলায় গুলির ক্ষত।

গার্সিয়ার সচিব রিকার্ডো পিনেডো বলেন, সাবেক এই প্রেসিডেন্ট নিজের বাসায় ৪-৫টি অস্ত্র রেখেছেন। এসব অস্ত্র তিনি সামরিক বাহিনীর কাছ থেকে উপহার পেয়েছিলেন। সেগুলোর একটি দিয়েই আত্মহত্যা করেন গার্সিয়া।

এদিকে টুইটারে দেওয়া এক পোস্টে প্রেসিডেন্ট ভিজকারা লিখেছেন, তিনি গার্সিয়ার মৃত্যুতে স্তম্ভিত। তার পরিবারের প্রতি শোক প্রকাশ করেন ভিজকারা।

তদন্তকারীরা বলছেন, গার্সিয়া নিজের দ্বিতীয় মেয়াদে ওডেব্রেটের কাছ থেকে ঘুষ নিয়েছিলেন। রাজধানী শহরে একটি মেট্রোলাইন নির্মানের কাজ পাইয়ে দিতে ওই ঘুষ নেওয়া হয়েছিল।

ওডেব্রেট ২০০৪ সালের পর থেকে পেরুর বিভিন্ন সরকারী কর্মকর্তাকে ৩ কোটি ডলার ঘুষ প্রদানের কথা স্বীকার করেছে। তবে গার্সিয়া সবসময় বলে আসছিলেন যে, তিনি রাজনৈতিক নির্যাতনের শিকার। মৃত্যুর আগে এক টুইট বার্তায় তিনি বলে যান, তাকে এই কেলেঙ্কারির সঙ্গে জড়িত করার কোনো প্রমাণ বা সূত্র নেই। গত বছরের নভেম্বরে তিনি উরুগুয়েতে রাজনৈতিক আশ্রয়ের আবেদন করে ব্যর্থ হন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: পেরু


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ