মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নির্বাচনি জনসভায় বলেন, এনআরসি (ন্যাশনাল রেজিস্টার সার্টিফিকেট) করতে গিয়ে বিজেপিরই এনবিসি হয়ে যাবে। এনবিসি বলতে তিনি ‘ন্যাশনাল বিদায় সার্টিফিকেটের’ কথা বলেছেন। মালদা উত্তরের তৃণমূল প্রার্থী মৌসম বেনজির নূরের জন্য প্রচার করতে গিয়ে বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) মমতা বলেন, ‘মোদি সরকার বিভাজনের রাজনীতি করছে।’
গড় মালদায় দাঁড়িয়ে বিজেপির সঙ্গে কংগ্রেস এবং সিপিএম-আইকেও আক্রমণ করেন মমতা। তিনি বলেন, ‘দুটি দলই তাদের গ্রহণযোগ্যতা হারিয়ে ফেলেছে।’ তবে, তার বক্তব্যের সিংহভাগ অংশ জুড়েই ছিল এনআরসি। তিনি বলেন, ‘আমরা বাংলায় এনআরসি চালু করতে দিব না। আর দেশের মানুষ বিজেপিকে এনবিসি ধরিয়ে দেবে। মোদি সরকারের বিদায় আসন্ন এবং প্রয়োজনীয়।’
বিভাজনের রাজনীতি যে শুরু হয়েছে তার উল্লেখ করে মমতা বলেন, ‘নির্বাচনেই দেশের মানুষ বিজেপিকে তাদের মনের কথা বুঝিয়ে দেবে।’ আরও একবার এই জনসভা থেকেই মমতাকে বলতে শোনা যায় আগামী দিনে দিল্লিতে কার সরকার হবে, তা ঠিক করবে তৃণমূল।
সরাসরি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে মিথ্যাবাদী বলে কটাক্ষ করেন মমতা বলেন, ‘দেশের মানুষকে মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দেয়ার ফল কী হয় তা প্রধানমন্ত্রীকে বুঝতে হবে।’
দীর্ঘদিন ধরেই মালদায় কংগ্রেসের শক্তি বেশি। গত লোকসভা নির্বাচনেও এই জেলার দুটি আসনই দখল করে কংগ্রেস। তাছাড়া বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেস এবং বামদের জোট মালদায় দারুণ ফল করে। এই জেলার একটি আসনেও জিততে পারেননি তৃণমূল প্রার্থীরা। তবে, এবার রাজ্যের অন্য জায়গার সঙ্গে মালদা এবং মুর্শিদাবাদেও ভালো ফল করতে মরিয়া তৃণমূল।
ভারতের ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনি প্রক্রিয়া শুরুর কিছুদিন আগেই দল ত্যাগ করে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন মালদা উত্তরের কংগ্রেস সাংসদ মৌসম। মমতা বারবার বলেছেন, রাজ্যের ৪২টি আসনই তাকে জিততে হবে। সে কথার রেশ ধরেই মুখ্যমন্ত্রী এদিন বলে, ‘কংগ্রেস এবং সিপিএম-আই নিজেদের গ্রহণযোগ্যতা হারিয়ে ফেলেছে। কংগ্রেস আরএসের সাহায্য নিয়ে নির্বাচনে লড়ছে।’ শুধু তাই নয় মমতার দাবি, কংগ্রেস প্রার্থীকে জেতানোর জন্য অর্থ বিলি করছে সংঘ পরিবার।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।