Inqilab Logo

রোববার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

কুষ্টিয়ায় গমের ভালো ফলন

গম চাষে নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ায়

এস এম আলী আহসান পান্না, কুষ্টিয়া থেকে | প্রকাশের সময় : ১৯ এপ্রিল, ২০১৯, ১২:০৫ এএম

কুষ্টিয়ায় গমের ভালো ফলন হয়েছে। ব্লাস্ট রোগের কারণে গম চাষে থাকা নিষেধাজ্ঞা ওঠে যাওয়ায় এবার আবাদও বেশি হয়। ইতোমধ্যে অনেক কৃষকের গম কাটা শেষ। বাজারে বিক্রিও হচ্ছে। তবে দাম মোটামুটি ভালো।
কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার কালিদাসপুর গ্রামের কৃষক সামসুদ্দিন মালিথা জানান, গতবার তিন বিঘা জমিতে গমের আবাদ করেছিলেন। অধিক ফলন ও দাম ভালো ছিল। সে কারণে এবারও গম আবাদ করেছেন। তাছাড়া এই মৌসুমে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় চাষাবাদ করা সম্ভব হয়েছে।
মিরপুর উপজেলার চিথলিয়া ইউপির পাহাড়পুর গ্রামের কৃষক জুলফিকার আলী জানান, এ বছর দেড় বিঘা জমিতে গমের আবাদ করেছেন। গমের জমিতে সার কম প্রয়োগ করতে হয় ও তিনটি সেচ দিলেই চলে। যার ফলে গম চাষ করে কৃষকেরা লাভবান হন।
একই উপজেলার চিথলিয়া গ্রামের কৃষক আব্দুল মমিন জানান, গত বছর দেড় বিঘা জমিতে গমের আবাদ করেছিলেন। এবারও একই পরিমাণ জমিতে গমের আবাদ করেছেন। খরচ হয়েছে প্রায় সাড়ে ৫ হাজার টাকা। বছরের প্রথম দিকে শিলাবৃষ্টিতে কিছুটা ক্ষতি হলেও গমের ফলন ভালো পাওয়ার আশা তার। স্থানীয় ক্রেতা ইসা হক জানান, বাজারে প্রতি মণ গম ৮শ’ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
জেলা কৃষি স¤প্রসারণ অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, কুষ্টিয়ায় এবার ১০ হাজার ৩৬৮ হেক্টর জমিতে গম আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। আবাদ হয়েছে ৯ হাজার ২৯৫ হেক্টর জমিতে।
জেলা কৃষি স¤প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক বিভুতি ভূষণ সরকার বলেন, ‘এবার গমের ফলন অনেক ভালো হয়েছে। এ বছর কৃষকদের উৎসাহিত করায় তারা গম চাষে আগ্রহী হয়েছেন। সেইসঙ্গে নতুন জাতের গমের আবাদ হয়েছে। এরমধ্যে বারি ২৮/৩০ এবং ৩৩ জাতের গম আবাদ হয়েছে। একইসঙ্গে বøাস্ট রোগের কারণে গম চাষের ওপর যে নিষেধাজ্ঞা ছিল, তা উঠে যাওয়ায় এবার কৃষকরা গম চাষে আগ্রহী হয়েছেন।’



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: গম

২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ