পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার বলেছেন, স্বাধীন দেশে কুয়াশাচ্ছন্ন গণতন্ত্র কখনও কাম্য নয়। যারা গণতন্ত্রের প্রতি বিশ্বাস করেন না, তারা ভোটের উৎসবকে কলুষিত করতে চান, নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে চান। গতকাল রাজধানীর আগারগাঁওয়ে ইলেকট্্েরারাল ট্্েরনিং ইনস্টিটিউট (ইটিআই) ভবনে ভোটার তালিকা হালনাগাদ-২০১৯ উপলক্ষে প্রশিক্ষকদের প্রশিক্ষণের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ উপস্থিত ছিলেন। মাহবুব তালুকদার বলেন, ‘ভোট’ দুই অক্ষরের একটি ছোট শব্দ। ছোট শব্দ হলেও এর ব্যাপ্তি অত্যন্ত বিস্তৃত ও ব্যাপক। ভোটের সঙ্গে আরও দু’টি শব্দ ওতপ্রোতভাবে জড়িত। একটি হলো নির্বাচন, অন্যটি গণতন্ত্র।
তিনি বলেন, যদি আরও একটু বিশদভাবে ভোট শব্দটিকে বিশ্লেষণ করি, তাহলে অনিবার্যভাবে যে শব্দটি আমাদের সামনে উদ্ভাসিত হয়, সেটি হলো স্বাধীনতা। স্বাধীনতা, গণতন্ত্র ও নির্বাচন এ তিনটি চার অক্ষরের শব্দ ‘ভোট’-এর পটভূমি রচনা করেছে। এ শব্দগুলো একে অন্যের পরিপূরক।
তিনি বলেন, আমার মতে, ভোট কেবল ব্যাপক পরিসরের বিশাল ব্যাপ্তির শব্দ নয়, এটি জনগণের রক্ষাকবচ। ভোটের মাধ্যমে জনগণ রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় অংশগ্রহণ করে থাকে। তা জাতীয় পর্যায়ে বা স্থানীয় পর্যায়ের উভয়স্তরেই হতে পারে।
মাহবুব তালুকদার বলেন, ভোট হচ্ছে স্বাধীন দেশে জনগণের সার্বভৌমত্বের প্রতীক, একটি পবিত্র আমানত। ভোটের মাধ্যমেই ভোটাররা তাদের প্রতিনিধি বেছে নেয়ার সুযোগ পান এবং এতে জনগণের আশা-আকাঙ্খা প্রতিফলিত হয়, আমরা যাকে বলি নির্বাচন। নির্বাচন হলো গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার একমাত্র অবলম্বন। যারা গণতন্ত্রের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করেন না, তারা ভোটের উৎসবকে কলুষিত করতে চান, নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে চান। আমরা যে অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ, গ্রহণযোগ্য ও আইনানুগ নির্বাচনের কথা বলি, ভোটের পবিত্রতা বিনষ্ট করে তা সম্ভব নয়। ভোট সুষ্ঠু না হলে নির্বাচন ও গণতন্ত্রের কোনো ঔজ্জ্বল্য থাকে না। স্বাধীন দেশে অস্বচ্ছ নির্বাচন তথা কুয়াশাচ্ছন্ন গণতন্ত্র কখনও কাম্য নয়।
তিনি বলেন, এ বছর ১ মার্চ প্রথমবারের মতো আমরা জাতীয় ভোটার দিবস পালন করেছি। এর প্রতিপাদ্য বিষয় ছিল ‘ভোটার হব, ভোট দেব’। কথাটা খুব সাদামাটা মনে হলেও এর বিশেষ তাৎপর্য রয়েছে। ১৮ বছর হলেই একজন নাগরিক ভোটার হওয়ার উপযুক্ততা অর্জন করেন। কিন্তু ভোট দেব কথাটার সঙ্গে রাজনৈতিক ও পারিপার্শ্বিক অবস্থার সম্পর্ক রয়েছে। সামান্য ভোট দেয়ার জন্যই তো আইনশৃঙ্খলাবাহিনী মোতায়েনের অসামান্য আয়োজন। একজন ভোটার নিবিঘ্নে বাড়ি থেকে বেরিয়ে ভোটকে›েন্দ্র গিয়ে নিজের পছন্দ অনুযায়ী প্রার্থীকে ভোট দিয়ে নিরাপদে বাড়ি ফিরবেন, এইটুকু চাওয়া অনেক সময় স্বাভাবিকভাবে পূরণ করা সম্ভব হয় না। ভোট প্রদানের নেতিবাচক ঘটনাক্রম অনেক সময় জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সংবাদের শিরোনাম পর্যন্ত হয়।
এ নির্বাচন কমিশনার বলেন, ভোট সুষ্ঠু ও শুদ্ধ হওয়ার পূর্বশর্ত হলো শুদ্ধ ভোটার তালিকা। ভুয়া ভোটারদের কাগুজে উপস্থিতি নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে প্রহসনে পরিণত করে। এছাড়া ভোটার তালিকায় মৃত ও স্থানান্তরিত ভোটারদের উপস্থিতি সুষ্ঠু নির্বাচনের অন্তরায়। এ জন্যই নির্বাচন কমিশন ভোটার তালিকা সম্পর্কে বিশেষ গুরুত্বারোপ করছে।
প্রশিক্ষণার্থীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, সঠিক ও স্বচ্ছ ভোটারতালিকা তৈরির মাধ্যমে আপনারা একটি জাতীয় দায়িত্ব পালন করবেন বলে আশা করি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।