মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ভারতের পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূল নেত্রী ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নরেন্দ্র মোদিকে আক্রমণ করে বলেছেন, ‘চা ওয়ালা এখন হয়েছে চৌকিদার। দেশে একটা ফ্যাসিস্ট সরকার চলছে। শুধু বিভাজনের রাজনীতি করেই ভোটে জিততে চাইছে ওরা।’ তিনি আরো বলেছেন, ‘কংগ্রেস একক শক্তিতে এবারে ক্ষমতায় আসবে না। তাই এই রাজ্যে কংগ্রেসকে ভোট দিয়ে ভোট নষ্ট করবেন না।’
গতকাল বুধবার অধীর-গড়ে দাঁড়িয়ে ফের আরএসএসের সঙ্গে কংগ্রেসকে ‘চুপিচুপি জোট’-কে একহাত নেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুর্শিদাবাদের কান্দিতে নির্বাচনী প্রচারসভায় মমতা বলেন, ‘জঙ্গিপুর ও বহরমপুরে আরএসএস কংগ্রেসের জন্য কাজ করছে। প্রচার করছে। তাই ওদের একটিও ভোট দেবেন না।’
উল্লেখ্য, এর আগেও একই অভিযোগ তুলেছিলেন তিনি। তার দাবি, এ রাজ্যে সিপিএম-কংগ্রেস-বিজেপি সব এক। তাই তাদের যে কাউকে ভোট দিলেই তা নষ্ট করবেন আপনারা। বাংলায় ৪২-এ ৪২ আসন তৃণমূল পেলে পশ্চিমবঙ্গই যে দিল্লির মসনদের নির্ধারক হয়ে উঠবে যে সে কথাও উপস্থিত জনতাকে মনে করিয়ে দেন তিনি।
শুধু তাই নয়, প্রতিটি সভার মতো এদিনও বিজেপি তথা নরেন্দ্র মোদিকে আক্রমণ করে বলেন, ‘চা ওয়ালা এখন হয়েছে চৌকিদার। কে কী খাবে, কে কী পরবে, তাও ওরা ঠিক করে দেবে। একটা ফ্যাসিস্ট সরকার চলছে। দেশে শুধু বিভাজনের রাজনীতি করেই ভোটে জিততে চাইছে ওরা। তবে এবারের ভোটে মানুষ যে ওদের শাস্তি দেবেই, সে নিয়ে তৃণমূলনেত্রী একশো শতাংশ আশাবাদী বলেই এদিন দাবি করেন।
আগের দিন মঙ্গলবার দিনাজপুরের ইটাহার ও বুনিয়াদপুরে দুই জনসভায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘এ বারে উত্তর প্রদেশ এবং বাংলা মিলে সরকার গড়বে।’ এরই পাশাপাশি তিনি বলেন, ‘কংগ্রেস একক শক্তিতে এবার ক্ষমতায় আসবে না। তাই এই রাজ্যে কংগ্রেসকে ভোট দিয়ে ভোট নষ্ট করবেন না।’ পরিবর্তে তৃণমূলকে ৪২টি আসনেই জেতানোর দাবি করে তিনি বলেন, ‘এবারে উত্তর প্রদেশ এবং বাংলা মিলে সরকার গড়বে।’ এরই পাশাপাশি তিনি বলেন, ‘কেরলে সব আসনই কংগ্রেস এবং সিপিএম নিয়ে যাবে।’
পশ্চিমবঙ্গ এবং উত্তর প্রদেশ মিলে সরকার গড়বে এই কথা বলার সঙ্গেই মমতা জানিয়ে দেন, কর্নাটকে দেবগৌড়ার দল, অন্ধ্রপ্রদেশের চন্দ্রবাবু নাইডুর দল এবং কেরলে সিপিএম ও কংগ্রেস ভাল ফল করবে। এবং এই সব রাজ্যেই বিজেপির ফল খারাপ হবে। কিন্তু এত কিছুর পরেও কংগ্রেস একার ক্ষমতায় সরকার গড়তে পারবে না। মমতা বুঝিয়ে দিলেন, কংগ্রেস এককভাবে গরিষ্ঠতা না পেলে তারাই হবেন চালিকা শক্তি।
মমতা বলেন, ‘দেশ বাঁচাতে একমাত্র রাস্তা তৃণমূল।’ স্লোগান তোলেন, ‘ভারত সরকার গড়বে কে, তৃণমূল কংগ্রেস আবার কে!’ এরপর তিনি বলেন, ‘সব সম্প্রদায়ের সব মানুষ একজোট হয়ে তৃণমূলকে ভোট দিন।’
পশ্চিমবঙ্গ ও উত্তর প্রদেশ মিলে মোট ১২২টি লোকসভা আসন রয়েছে। উত্তর প্রদেশে এসপি এবং বিএসপি একজোট হয়ে লড়ছে। তৃণমূলের অন্দরের হিসেব, বিভিন্ন নির্বাচনী সমীক্ষায় দেখা গেছে, উত্তর প্রদেশে মায়াবতী-অখিলেশ জোট ভাল ফল করতে পারে। একই ভাবে পশ্চিমবঙ্গে অন্যদের থেকে তারা কয়েক কদম এগিয়ে বলে মনে করছে তৃণমূল।
যেখানে যে শক্তিশালী, সেখানে তার এককভাবে লড়াইয়ের তত্ত¡ মাথায় রেখেই যে পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল একা লড়ছে, সেটা এ দিন তাঁর কথায় আবার স্পষ্ট হয়ে যায়। কিন্তু তারা যে একই সঙ্গে অন্য বিরোধী আঞ্চলিক দলগুলোর সঙ্গে জোটবদ্ধও, সেটাও তিনি বুঝিয়ে দেন। সূত্র : এই সময় ও আনন্দবাজার পত্রিকা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।