গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
রাজধানীর হাতিরঝিলে তৈরি করা পোশাকশিল্প মালিকদের শীর্ষ সংগঠন বিজিএমইএ ভবন ডিনামাইট দিয়ে ভেঙে ফেলা হবে। আজ মঙ্গলবার দুপুরে ভবনটির উচ্ছেদ অভিযানের নেতৃত্বে থাকা রাজউকের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জেসমিন আক্তার সাংবাদিকদের এই তথ্য জানান।
জেসমিন আক্তার বলেন, ভবনটি ভাঙতে এক সপ্তাহ সময় লাগতে পারে। অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ডিনামাইট ব্যবহার করে আমরা ভাঙার কাজ করবো। সেই অনুযায়ী আমাদের প্রস্তুতি চলছে।
তিনি আরও বলেন, আজ থেকে ভাঙার কার্যক্রম শুরু হবে। প্রথমে আমরা তাদের মালামাল সরিয়ে নেয়ার জন্য সময় দিয়েছি। তারা এখনও মালামাল সরাচ্ছে। মালামাল সরানো শেষ হলেই আমরা ভাঙার কাজ শুরু করব। ভাঙার প্রক্রিয়াটি হবে এমনভাবে, পার্ট বাই পার্ট ডেকোরেশন খুলে নেয়া হবে। এরপর ডিনামাইট ব্যবহার করে ভবনটি ভেঙে ফেলা হবে।
মঙ্গলবার সকাল ৯টার দিকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সঙ্গে নিয়ে ১৬তলা ওই ভবনে যান রাজউকের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। ভবন ভাঙার আধুনিক সব যন্ত্রপাতিও রয়েছে তাদের সঙ্গে। ভবন থেকে মালামাল সরাতে দুই ঘণ্টা সময় দেওয়া হয়। পরে তা আরও একঘণ্টা বাড়ানো হয়।
জমির স্বত্ব না থাকা ও জলাধার আইন লঙ্ঘন করায় হাতিরঝিল প্রকল্প এলাকায় বিজিএমইএর বর্তমান ভবনটি ভেঙে ফেলার নির্দেশনা আসে উচ্চ আদালত থেকে। সেজন্য ভবনটি ছাড়তে গত ১২ এপ্রিল পর্যন্ত বিজিএমইএ কর্তৃপক্ষকে সময় দিয়েছিল আদালত।
২০১১ সালের ৩ এপ্রিল হাইকোর্ট এক রায়ে ওই ভবনটিকে ‘হাতিরঝিল প্রকল্পে একটি ক্যানসারের মতো’উল্লেখ করে রায় প্রকাশের ৯০ দিনের মধ্যে ভেঙে ফেলতে নির্দেশ দেন। এর বিরুদ্ধে বিজিএমইএ লিভ টু আপিল করে, যা ২০১৬ সালের ২ জুন আপিল বিভাগে খারিজ হয়। সর্বশেষ ১২ এপ্রিলের মধ্যে ভবনটি সরিয়ে নিতে সময় দেয় আদালত। নির্দিষ্ট সময় পার হওয়ার পর আদালতের নির্দেশনা বাস্তবায়নে নামে রাজউক।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।