Inqilab Logo

শুক্রবার ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১, ১২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

দেশি পাতায় বিদেশি আম

স্টাফ রিপোর্টার, কুমিল্লা থেকে : | প্রকাশের সময় : ১৬ এপ্রিল, ২০১৯, ১২:০৩ এএম

ষড়ঋতুর বাংলাদেশে জ্যৈষ্ঠ মাসকেই সাধারণত মধুমাস হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়। কিন্তু এ মধুমাস জ্যৈষ্ঠ আসতে আরও একমাস বাকি থাকলেও বাঙলা নববর্ষের প্রথম মাস বৈশাখেই ভারতীয় আমে বাজার ধরতে চায় বিক্রেতারা। দেশি আম গাছের পাতা দিয়ে আমদানি করা ভারতীয় আম সাজিয়ে ক্রেতা আকর্ষণ করছেন বিক্রেতারা। কুমিল্লা নগরীর ফলের দোকান থেকে শুরু করে পথে-ঘাটেও মিলছে দেশি পাতায় সাজানো বিদেশি আম।
কুমিল্লা নগরীর রাজগঞ্জ, কান্দিরপাড়, শাসনগাছা, টমছমব্রীজ, চকবাজার এলাকার ফল দোকান ও ফুটপাতের ফল বিক্রেতারা মধুমাস জ্যৈষ্ঠ আসার আগেই ভারতীয় বৈশাখী আম বিক্রিতে ক্রেতা ধরতে নানা কৌশল অবলম্বন করছেন। লালমনি, গোলাপফ্রেশ পিএম নামের এসব ভারতীয় আম বাইরে সুন্দর দেখালেও ভেতরে স্বাদের দিক থেকে বাংলাদেশের আমের ধারে-কাছেও নেই।
তারপরও বৈশাখ বলে কথা! তরমুজের পাশাপাশি বৈশাখী ফল হিসেবে ভারতীয় আমের দিকে ক্রেতাদের দৃষ্টি ফেরাতে কৌশলী হয়ে উঠেছেন। ফল দোকান ও ফুটপাতের বিক্রেতাদের দেখা গেছে সরু ডালাসহ এদেশের আম গাছের পাতা সংগ্রহ করে ঝুড়িতে বা কাঠের গ্যালারিতে রাখা ভারতীয় আমের চারিদিকে সাজিয়ে রেখেছে। এটি ক্রেতা আকর্ষণের কৌশল বলে অনেকেই মনে করছেন।
নগরীর ফল বিক্রেতাদের সাথে কথা বলে জানা যায়, আমদানিকারকরা বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান ভারত থেকে এসব আম এনে থাকেন। চট্টগ্রামের কদমতলী, ফেনীর মহিপাল ও ঢাকার বাদামতলীর আড়ত থেকে কুমিল্লার ফল বিক্রেতারা ভারতীয় আম এনে থাকেন। কুমিল্লার বাজারে বিক্রেতারা বৈশাখ মাস বলেই বিপুল পরিমান আম দোকানে তুলেছেন।
প্রতিকেজি ২০০ থেকে ২৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। নগরীর রাজগঞ্জের কয়েকজন ফল বিক্রেতা জানান, চৈত্রের মাঝামাঝি সময়েই ভারত থেকে আম আমদানি করা হয়ে থাকে। সম্পূর্ণ কাঁচা এ আম বাংলাদেশে আনা হয়। ঢাকা, চট্টগ্রাম ও ফেনীর বিভিন্ন আড়ত থেকে কুমিল্লার ফল বিক্রেতারাও কাঁচা আম এনে থাকেন। তারপর পত্রিকার কাগজ, কাঁথা দিয়ে ঢেকে কাঁচা আম জাঁকে পাকানো হয়।
ভারত থেকে আমদানি করা আমের চাহিদা বাজারে বৈশাখের শেষ সপ্তাহ পর্যন্ত থাকে। এরপরই বাজারে আসতে শুরু করবে মেহেরপুর, চুয়াডাঙ্গা ও কুষ্টিয়ার আম। আর মধুমাস জ্যৈষ্ঠের প্রথম সপ্তাহেই বাজারে আসবে রাজশাহী ও রংপুরের আম। এদিকে কয়েকজন ক্রেতার সাথে কথা হলে তারা জানান, শখের বশেই ভারতের আম কিনে নেয়া। দেশি আমের স্বাদ তো আর ভারতের আমে মিলবে না। বৈশাখের গরমে পরিবারের লোকজন আম খাবে, তাই কেনা।

 

 



 

Show all comments
  • Nazmul Hoque Nazeem ১৬ এপ্রিল, ২০১৯, ২:১৫ এএম says : 0
    সবসময় েএকটা বিষয় ভালো করে মাথায় রাখতে হবে, ভারত কখনও আমাদের ভালো জিনিস দিতে পারে না। তারা যাই দেয় তাতেই সমস্যা থাকে।# I Hate India
    Total Reply(0) Reply
  • মিরাজ মাহাদী ১৬ এপ্রিল, ২০১৯, ২:১৫ এএম says : 0
    এসব লোভী ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে প্রশাসনের কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।
    Total Reply(0) Reply
  • জয়নাল হাজারি ১৬ এপ্রিল, ২০১৯, ২:১৬ এএম says : 0
    প্রতারক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা না নেওয়ার কারণে তারা এমন প্রতারণা করার সাহস পা্য়। এজন্য প্রশাসনকে কঠোর হতে হবে।
    Total Reply(0) Reply
  • নূর ব্যাপারী ১৬ এপ্রিল, ২০১৯, ২:১৮ এএম says : 0
    ক্রেতাও দেখি হুজুগে বাঙালি। বাংলাদেশে এখনও আম বড় হয়নি। কেবল গুটি গুটি। তাই বুঝতে হবে দেশি আম এগুলো হতে পারে না।
    Total Reply(0) Reply
  • রবিউল ১৬ এপ্রিল, ২০১৯, ২:১৯ এএম says : 0
    ভারত যেসব আম খেতে পা রে না সেসব আম বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেয়। আর আমরা সহজেই তা গ্রহণ করি।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: আম

২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ