বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
বকেয়া মজুরি পরিশোধ এবং মজুরি কমিশন বাস্তবায়নসহ ৯ দফা দাবিতে আবারও রাজপথে আন্দোলনের ঘোষণা দিয়েছে রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল শ্রমিকরা। শ্রমিক জনসভার মধ্যদিয়ে পাটকল ধর্মঘটসহ সড়ক ও রেলপথ অবরোধ কর্মসূচির ডাক দিয়েছে শ্রমিক নেতারা। এর আগে বিজেএমসি’র চেয়ারম্যানসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার সঙ্গে দুই দফা বৈঠক করেও কোনো ফল পাওয়া যায়নি। এমন পরিস্থিতিতে কঠোর আন্দোলন ছাড়া দাবি আদায় সম্ভব নয় বলে মনে করছেন পাটকল শ্রমিক নেতারা।
খুলনা মহানগরীর খালিশপুর বিআইডিসি সড়কে অনুষ্ঠিত শ্রমিক জনসভা থেকে তৃতীয় দফা আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। বাংলাদেশ পাটকল শ্রমিক লীগ ও রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল সিবিএ-নন সিবিএ পরিষদের পক্ষ থেকে ওই কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। খুলনাসহ সারাদেশের রাষ্ট্রায়ত্ত ২২টি পাটকলের শ্রমিকরা এ কর্মসূচি পালন করবেন।
ঘোষিত কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে, রবিবার পহেলা বৈশাখ সকাল ৯টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত রাজপথে বিক্ষোভ মিছিল, আগামী ১৫, ১৬, ১৭ ও ১৮ এপ্রিল টানা ৯৬ ঘন্টা পাটকল ধর্মঘট এবং প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ৪ ঘণ্টা করে সড়ক ও রেলপথ অবরোধ। এছাড়া আগামী ২৫ এপ্রিল গেটসভা এবং ২৭, ২৮ ও ২৯ এপ্রিল ৭২ ঘন্টার পাটকল ধর্মঘটসহ প্রতিদিন সকাল ৭টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত ৬ ঘণ্টা করে সড়ক ও রেলপথ অবরোধ।
পাটকল শ্রমিকরা জানায়, অন্যান্য খাতে ২০১৫ সালে মজুরি কমিশন গঠন ও বাস্তবায়ন করা হলেও পাটকল শ্রমিকদের জন্য তা করা হয়নি। কিন্তু বাংলাদেশ পাটকল শ্রমিক লীগ এটা নিয়ে শ্রমিকদের কোনো আন্দোলন করতে দেয়নি। শ্রমিক লীগের পক্ষ থেকে শ্রমিকদের বোঝানো হয়েছে সংগঠনটি ব্যাপারটি নিয়ে সরকারের সঙ্গে আলোচনা করছে। তবে দীর্ঘদিনেও ওই আলোচনার ফল শ্রমিকরা দেখতে না পাওয়ায় সাধারণ শ্রমিকদের চাপে এবার পাটকল শ্রমিক লীগ আন্দোলনে নামতে বাধ্য হয়েছে। সে কারণেই সংগঠনটির পক্ষ থেকে গত দুই মাসে পর পর কয়েক দফা কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে। আর শ্রমিক লীগের আহ্বানে সারাদেশের পাটকল শ্রমিকরা ওই কর্মসূচি সফল করতে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন।
বাংলাদেশ পাটকল শ্রমিক লীগের খুলনা-যশোর অঞ্চলের আহ্বায়ক ও খুলনার ক্রিসেন্ট জুট মিলের সিবিএ সভাপতি মুরাদ হোসেন বলেন, গত ৬ এপ্রিল ঢাকায় বিজেএমসি’র কর্মকর্তাদের সঙ্গে শ্রমিক লীগ নেতাদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। প্রথম দফা বৈঠক ফলপ্রসু না হওয়ায় বিকেলে আবারও বিজেএমসি’র চেয়ারম্যানসহ অন্যান্যদের নিয়ে ছোট পরিসরে বৈঠক করা হয়। কিন্তু সেখানেও দাবি মেনে নেওয়ার কোনো সিদ্ধান্ত তারা দিতে পারেননি। সরকার টাকা দিলে শ্রমিকদের বকেয়া মজুরি দেওয়া হবে বলে জানান কর্মকর্তারা। কিন্তু কবে নাগাদ ওই টাকা পাওয়া যাবে তা নিশ্চিত নয়।
অনুমোদন পেল খালিশপুর থানা
আ’লীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি
খুলনা ব্যুরো:
প্রায় সাড়ে চার বছর পরে অনুমোদন পেল খালিশপুর থানা আ’লীগের কমিটি। এ কে এম সানাউল্লাহ নান্নুকে সভাপতি এবং মনিরুল ইসলাম বাশারকে সাধারণ সম্পাদক রেখে খালিশপুর থানা আ’লীগের ৭১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি এবং ১৫ সদস্যের উপদেষ্টা মন্ডলীর অনুমোদন দিয়েছেন দলের কমিটি।
উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের ৫ জুলাই খালিশপুর থানা আ’লীগের সম্মেলন সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। ৪ বছর ৯ মাস ৫ দিন পরে এ কমিটির অনুমোদন হলো।
নগর আ’লীগ সভাপতি ও সিটি মেয়র আলহাজ্ব তালুকদার আব্দুল খালেক এবং সাধারণ সম্পাদক, ১৪ দলের সমন্বয়ক ও সাবেক সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মিজানুর রহমান মিজান এ কমিটির অনুমোদন দেন।
কমিটির সহ-সভাপতি হলেন মোঃ তৈয়েবুর রহমান, শেখ নাসির উদ্দিন, শেখ আফসার উদ্দিন, মোঃ আবু হানিফ, মোঃ শহিদুল ইসলাম, মোঃ তাজুল ইসলাম, আলহাজ্ব মোঃ শাজাহান, কাজী ফয়েজ আহমেদ, খান হুমায়ুন কবীর আইয়ুব, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক এস এম গিয়াস উদ্দিন, বিএম ওবায়েদুর রহমান ডাবলু, মুজিবুর রহমান মুজিব, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল মজিদ বকুল, মৃধা বেলায়েত হোসেন, হাজী জাহাঙ্গীর হোসেন, আইন বিষয়ক সম্পাদক এড. আবুল কালাম আজাদ, কৃষি বিষয়ক সম্পাদক মোল্লা আবুল কালাম, তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক হুমায়ুন কবীর (সাংবাদিক), ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক মোল্লা হুমায়ুন কবীর, দপ্তর সম্পাদক সমীর কুমার সরকার, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক আলহাজ্ব মক্কী মিজানুর রহমান, প্রচার সম্পাদক মোঃ ইমরুল ইসলাম, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক মৃধা কাওসার আলী, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক প্রকৌশলী পরিমল বাবু, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক কাউন্সিলর এড. মেমরী সুফিয়া রহমান শুনু, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক সৈয়দ আরব আলী, যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক শেখ খালিদ আহমেদ, শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক তৌহিদুল ইসলাম ঝন্টু, শ্রম বিষয়ক সম্পাদক মোঃ তরিকুল ইসলাম, সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক কাজী আব্দুর রশিদ, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ডাঃ আবু সায়েম, সহ-দপ্তর সম্পাদক কাজী শরিফুল ইসলাম মিঠু, সহ-প্রচার সম্পাদক আবু হেনা মোস্তফা ফিরোজ, কোষাধ্যক্ষ মোঃ রিপন খাঁন, নির্বাহী সদস্য কাউন্সিলর মুন্সি আব্দুল ওয়াদুদ (বীর মুক্তিযোদ্ধা), ডাঃ মুজিবুর রহমান, আব্দুস সাত্তার লিটন, মোঃ হাফিজুর রহমান (বীর মুক্তিযোদ্ধা), এস এম মোর্শেদ আহমেদ মনি, কাজী এনায়েত আলী আলো, এস এম খসরুল আলম, মোস্তাফিজুর রহমান ফিরু, শেখ সেলিম আহমেদ, মোঃ হাসান হাফিজুর রহমান, ওয়াহিদুজ্জামান খান ডারউইন, স. ম মঞ্জুরুল আলম, কাইজার আহমেদ, মোঃ জাকির হোসেন, জিয়াউল আলম খান খোকন, কাজী সাফায়াত হোসেন প্যারেট, মোল্লা হায়দার আলী, কামরুজ্জামান বাবলু, আব্দুল জব্বার, শাজাহান জোয়াদ্দার, আসলাম খান মুরাদ, কাউন্সিলর পারভীন আক্তার, কাউন্সিলর রাহিমা আক্তার হেনা, মোঃ দেলোয়ার হোসেন (শিক্ষক), শেখ মিরাউল ইসলাম, মোঃ মুরাদ হোসেন (সিজেএম), মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন (পিজেজেএম), মোর্ত্তুজা আলম মাহবুব, গোলাম মাহমুদুন্নবী ডলার, মোঃ জামাল হোসেন মৃধা, এড. আহাদুজ্জামান, মোঃ মুন্সি গোলাম নবী, মোঃ আলমগীর খান, মোঃ কামাল হোসেন চৌধুরী, মোল্লা মুরাদ হোসেন রিপন। উপদেষ্টা মন্ডলী হলেন- অধ্যক্ষ আব্দুর রউফ (বীর মুক্তিযোদ্ধা), ওয়াহিদুর রহমান জিন্নাহ্, অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদ, ফ ম আবুল হোসেন, (বীর মুক্তিযোদ্ধা), এড. আব্দুল জলিল, আলহাজ্ব শিকদার মোজাফফর হোসেন, আলহাজ্ব শেখ সুলতান আহমেদ, কে এম আলম (বীর মুক্তিযোদ্ধা), খন্দকার মোকাদ্দেছ হোসেন টিপু, মোঃ শাজাহান (বীর মুক্তিযোদ্ধা), মুন্সি হারুন অর রশিদ, মোল্লা হারুন অর রশিদ, নজরুল ইসলাম, মিসেস শেখ আরশাদ আলী, দীপক কুমার দত্তকে উপদেষ্টা করে পূর্ণাঙ্গ কমিটির অনুমোদন দিয়েছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।