বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
খুলনার বেশির ভাগ বহুতল ভবন অগ্নিদুর্ঘটনার ঝুঁকিতে রয়েছে। অনুমোদন ছাড়া বেড়ে ওঠা বহুতল ভবন চিহ্নিত করার কাজ মঙ্গলবার শুরু করেছে খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (কেডিএ)।
তাদের হিসাব মতে, খুলনায় ৬ তলার অধিক ভবন রয়েছে ৪৯টি। এর বাইরে যাদের ভবন রয়েছে সেগুলো চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে। এদিকে খুলনা বিভাগের বহুতল ভবনগুলোতে অগ্নিদুর্ঘটনা মোকাবেলার জন্য পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেই ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের।
নগরীর নূরনগর এলাকায় অবস্থিত বিভাগীয় ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের অফিসে জনবল ও জলযান পর্যাপ্ত থাকলেও অগ্নিপ্রতিরোধক আধুনিক সরঞ্জাম খুবই সীমিত। তবে এ বিষয়ে একাধিকবার ওপর মহলে জানানো হয়েছে বলে দাবি স্থানীয় দায়িত্বশীলদের। এদিকে খুলনার আলোচিত মার্কেটগুলোর আশপাশে পানির উৎস এবং ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি প্রবেশের জন্যও পর্যাপ্ত রাস্তা নেই বলে অভিযোগ মিলেছে। যার ফলে যে কোনো বড় অগ্নিদুর্ঘটনা ঘটলেই হিমশিম খেতে হবে ফায়ার সার্ভিসকে।
স্থানীয় অফিস সূত্রে জানা যায়, বহুতল ভবনের অগ্নিদুর্ঘটনা প্রতিরোধের জন্য টার্ন টেবিল লেদার (টিপিএল) ১৫ তলা মইবিশিষ্ট কোনো গাড়ি নেই খুলনায়। এছাড়া বহুতল ভবনগুলোতে ফায়ার এক্সিটিংগুইসার (ছোট সিলিন্ডার, যা হাত দিয়ে স্প্রে করা যায়) তুলনামূলক খুবই কম। এমনকি ভবনগুলোতে ফায়ার অ্যালার্মিং সিস্টেম, ফায়ার প্রটেকশন ডোর (৩-৪ ঘণ্টা অগ্নিপ্রতিরোধক দরজা), বিকল্প সিঁড়ির ব্যবস্থা থাকার কথা থাকলেও সেই ব্যবস্থা থাকে শতকরা ১-২টা ভবনে। এই সমস্যা বাণিজ্যিক এবং বাণিজ্যিক কাম আবাসিক ভবনগুলোয়। বিভাগীয় অফিসের একমাত্র ভরসা একটি মাত্র এসনরকেল (১২ তলা মই, যা বিভিন্নভাবে ডানে এবং বামদিকে নেয়া যায়), যা খুবই অপ্রতুল।
সম্প্রতি পুরান ঢাকা, বনানী, গুলশানসহ বিভিন্ন জায়গায় অগ্নিকা-ের ঘটনার পর খুলনার বহুতল ভবনগুলোতে থাকা মানুষদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। কারণ গত কয়েক বছরে খুলনায় একের পর এক গড়ে উঠেছে বহুতল ভবন। অভিযোগ রয়েছে, নিয়মবহির্ভূতভাবে অনেক ভবন গড়ে উঠলেও তার বিরুদ্ধে অভিযান খুবই কম। যার ফলে এর পরিমাণ বেড়েই যাচ্ছে। খুলনার একাধিক বাসিন্দা অভিযোগ করেন, খুব অল্প সময়ে বহুতল ভবনের সংখ্যা বেড়ে গেছে।
খুলনা ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সহকারী পরিচালক মো. রেজাউল করিম বলেন, ‘খুলনায় শতাধিক বহুতল ভবন রয়েছে। বিভাগীয় অফিসে ১২ তলা পর্যন্ত অগ্নিদুর্ঘটনা মোকাবেলার জন্য ১টি এসনরকেল রয়েছে। আরও আধুনিক সরঞ্জাম প্রয়োজন। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। তিনি আরও বলেন, খুলনায় ১৫ এবং ২০ তলা ভবনের সংখ্যা বাড়ছে। কিন্তু আমাদের এসব ভবনের অগ্নিদুর্ঘটনা মোকাবেলার জন্য টিপিএল দরকার। যা আমাদের নেই।
এছাড়া তিনি বলেন, নগরীর দৌলতপুর, নিউমার্কেট, বড় বাজার এলাকাসহ আশপাশের বহুতল ভবনের আশপাশে পানির কোনো উৎস নেই। যা দুর্ঘটনা প্রতিরোধের সময় বড় ধরনের সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে। এ বিষয়গুলো নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।