বাংলাদেশী হজযাত্রীদের সউদী আরবের পরিবর্তে ঢাকা বিমান বন্দরেই প্রি-এরাইভাল ইমিগ্রেশন চালু করতে সম্মত হয়েছে সউদী কর্তৃপক্ষ। উভয় দেশের কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে পারস্পরিক সর্বাত্মক সহযোগিতার বিষয়ে ঐক্যমত পোষণ করেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হজযাত্রীদের ইমিগ্রেশন কষ্ট লাঘবে জেদ্দার পরিবর্তে বাংলাদেশে সম্পন্ন করতে যা যা করণীয় তা করার জন্য নিদের্শনা দিয়েছেন। চলতি বছর থেকে জেদ্দার পরিবর্তে ঢাকায় ইমিগ্রেশন চালু হলে হজযাত্রীদের বিমান থেকে অবতরণের পর আর কোনো কষ্ট থাকবে না। তারা সরাসরি মক্কার হোটেলে চলে যেতে পারবেন।
জেদ্দা বিমান বন্দরে তাদের ল্যাগেজও খুঁজতে হবে না। মক্কার নিজ নিজ বাসায় ল্যাগেজও পৌছে দেয়া হবে। গতকাল শুক্রবার দুপুর ১২টায় ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সভা কক্ষে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী আলহাজ শেখ মো. আব্দুল্লাহ একথা বলেন। সউদী আরবের ডাইরেক্টর জেনারেল (পাসপোর্ট) মেজর জেনারেল সুলাইমান আব্দুল আজিজ ইয়াহ ইয়াহর নেতৃত্বে ১৪ সদস্যের প্রতিনিধি দল গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে হোটেল শেরাটনে ধর্ম প্রতিমন্ত্রীর সাথে সৌজন্য সাক্ষাতে মিলিত হন। এসময়ে ঢাকায় প্রি-এরাইভাল ইমিগ্রেশন চালু করতে সম্মতি দেন।
প্রেস ব্রিফিংয়ে আরো উপস্থিত ছিলেন, ধর্ম মন্ত্রণালয় বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী এমপি, ধর্ম সচিব মো. আনিছুর রহমান, যুগ্ম-সচিব আমিন উল্লাহ নূরী, মক্কাস্থ কাউন্সেলর হজ মাকসুদুর রহমান ও হাব মহাসচিব এম শাহাদাত হোসাইন তসলিম। ধর্ম মন্ত্রী বলেন, হজযাত্রীদের ইমিগ্রেশন জেদ্দা বিমানবন্দরের পরিবর্তে শাহজালাল (রহ.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সম্পন্ন করার ব্যাপারে সউদী আরব সম্মত হলেও শিডিউল ফ্লাইটের যাত্রীরা সুযোগ থেকে বঞ্চিত হবেন। তাদের আগের বছরের মতো জেদ্দা বিমানবন্দরেই ইমিগ্রেশন করতে হবে।
ধর্ম প্রতিমন্ত্রী জানান, হজ ভিসার জন্য দূতাবাসে পাসপোর্ট জমা দেয়ার আগেই দেশের আটটি বিভাগে প্রত্যেক হজযাত্রীর দশ আঙ্গুলের ছাপ নেয়া হবে। এতে বিমান বন্দরে ইমিগ্রেশনের কাজ সহজ হবে। চলতি বছর মক্কা-মদিনায় সরকারী হজযাত্রীদের ভালো বাড়ী ভাড়া করা হয়েছে বলেও প্রেস ব্রিফিংয়ে জানানো হয়। চট্টগ্রাম ও সিলেট থেকে যাওয়া হজযাত্রীদের ইমিগ্রেশন সউদী আরবেই সম্পন্ন করতে হবে।