Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

পর্যটন স্থানসমূহে পরিবেশ দূষণ

মোহাম্মদ মোশাররফ হোসেন (এলীন) | প্রকাশের সময় : ১১ এপ্রিল, ২০১৯, ১২:০৪ এএম

১৯৯৪ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগে অনার্স পড়ার সময় শিক্ষা সফর করার জন্য কক্সবাজার, টেকনাফ ও সেন্ট মার্টিনে শিক্ষা সফরে গিয়েছিলাম। আমাদের উদ্দেশ্য ছিল বিভিন্ন ধরনের গাছের নমুনা সংগ্রহ। সে সময় আজকের মতো বড় বড় জাহাজ ছিল না। ট্রলারে করে আমরা দ্বীপে গিয়েছিলাম। অর্থাৎ পর্যটন স্থান হিসেবে দ্বীপটি ছিল অত্যন্ত দুর্গম। অল্প কয়েকটি পরিবারের বসবাস ছিল। কোনো হোটেল-মোটেল ছিল না। সে কারণে বিকালের মধ্যেই আবার টেকনাফে ফিরে আসতে হতো। আবার প্রায় ২২ বছর পর সে অঞ্চলে গেলাম কুমিল্লা সরকারি কলেজের শিক্ষক পরিষদের উদ্যোগে। এই ২২ বছরে এসব স্থানের ব্যাপক পরিবর্তন ঘটে গেছে। রাস্তা, হোটেল-মোটেল, মার্কেট, পরিবহন ইত্যাদির বিশাল পরিবর্তন এসেছে। বলা হচ্ছে, সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় চলে গেছে বাংলাদেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপটি। সেখানে এখন প্রবাল খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। কেউ কেউ আশঙ্কা করছেন পুরো দ্বীপটিই হয়তো বিলুপ্ত হয়ে যাবে। এর মূল কারণ হচ্ছে সেখানকার পরিবেশ দূষণ। এই দূষণের বড় নির্দেশক হচ্ছে কুকুর ও কাকের আবির্ভাব। ১৯৯৪ সালে সেখানে কোনো কুকুর বা কাক দেখতে পাইনি। তখন আমাদের এক শিক্ষক বলেছিলেন, এখানে কুকুর নিয়ে আসলে পাগল হয়ে যায়। আর এখন আপনি সেখানে প্রচুর কুকুর দেখতে পাবেন। এটার কারণ হলো আবর্জনার পরিমাণ বৃদ্ধি।
মূলত পঞ্চাশের দশক হতে পর্যটন ধারণার সৃষ্টি হয়। ১৯৯৯ সালে বাংলাদেশে পর্যটনকে শিল্প ঘোষণা করা হয়। এরপর বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশনের হাত ধরে বাংলাদেশের পর্যটন স্থানগুলো বিকশিত হতে থাকে। পর্যটনের ক্ষেত্রে সবচেয়ে অগ্রসর বিভাগ হচ্ছে চট্টগ্রাম। এর সবচেয়ে জনপ্রিয় পর্যটন স্থান হলো বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজার। এখানে রয়েছে ১২৫ কিলোমিটার দীর্ঘ অখন্ডিত সমুদ্র সৈকত। এর পরেই আসে সেন্টমার্টিন দ্বীপের কথা। রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবান পার্বত্য এলাকায় বহু দর্শনীয় স্থান রয়েছে। রাঙ্গামাটি জেলার উল্লেখযোগ্য স্থান হলো কাপ্তাই হ্রদ, পাবলাখালী অভয়ারণ্য ও সাজেক ভ্যালি। সাজেক ভ্যালিতে অবশ্য খাগড়াছড়ি জেলা হয়ে যেতে হয়। খাগড়াছড়ি জেলায় রয়েছে রিসাং ঝর্ণা, আলুটিলা গুহা, বৌদ্ধ মন্দির, দীঘিনালার হাজাছড়া ঝর্ণা ইত্যাদি। চট্টগ্রামের গুরুত্বপূর্ণ স্থানের মধ্যে রয়েছে পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত, ফয়েজ লেক, হেরিটেজ পার্ক, ওয়ার সিমেট্রি, সার্কিট হাউস ইত্যাদি। সিলেট বিভাগের আকর্ষণীয় পর্যটনস্থানগুলোর মধ্যে রয়েছে বিছানাকন্দি, জাফলং, মাধবপুর হ্রদ, রাতারগুল জলাবন, লাউয়াছড়া অভয়ারণ্য, মাধবকুণ্ড ঝর্ণা ইত্যাদি। আর এ এলাকায় বেড়াতে গেলে সেখানকার চাবাগানগুলো অবশ্যই আমাদেরকে মুগ্ধ করে। ঢাকা বিভাগেও অনেক গুরুত্বপূর্ণ দর্শনীয় স্থান রয়েছে। এর মধ্যে আছে লালবাগ কেল্লা, আহসান মঞ্জিল, শহীদ মিনার, জাতীয় স্মৃতিসৌধ, সংসদ ভবন ইত্যাদি। রাজশাহী ও রংপুর বিভাগে গেলে আপনারা দেখতে পারেন সোমপুর বিহার, মহাস্থানগড়, বেহুলা-লক্ষিন্দরের বাসরঘর, কান্তজিউ মন্দির, বরেন্দ্র গবেষণা যাদুঘর, বাঘা মসজিদ ইত্যাদি। পটুয়াখালীর সবচেয়ে আকর্ষণীয় স্থান হলো কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত। আবার এখান থেকে সুন্দরবনেও যাওয়া সম্ভব। খুলনার কথা আসলে অবশ্যই আমরা মনে করি বিশ্বের অন্যতম ম্যানগ্রোভ বন সুন্দরবনের কথা। এটিকে ইতোমধ্যে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ ঘোষণা করা হয়েছে। জীববৈচিত্র্যের দিকে দিয়ে এটি একটি অনন্য বন।
এসব পর্যটন স্থানের মধ্যে অনেকগুলোতেই আমার যাওয়ার সৌভাগ্য হয়েছে। আমার দেখা পর্যটন স্থানগুলোর মধ্যে রয়েছে গোপালগঞ্জে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মাজার, বাগেরহাটের খান জাহান আলী (রহ.) এর মাজার, যশোরের মাইকেল মধুসূদন দত্তের বাড়ি ও কুষ্টিয়ার লালনের আখড়া ও রবিঠাকুরের কুঠিবাড়ি, সীতাকুণ্ড ইকোপার্ক, সিলেটের রাতারগুল জলাবন, হযরত শাহজালাল (রহ.) ও হযরত শাহপরান (রহ.) এর মাজার, জাফলং, শ্রীমঙ্গলের চা বাগান, মাধবকুন্ড, খাগড়াছড়ির আলুটিলা গুহা, রিসাং ঝর্ণা, সাজেক ভ্যালি, কুমিল্লার শালবন, ময়নামতি বৌদ্ধবিহার ইত্যাদি। আর কক্সবাজার, টেকনাফ ও সেন্টমার্টিনের কথাতো পূর্বেই উল্লেখ করেছি। এছাড়া এখন প্রায় সকল জেলায় বহু বিনোদন পার্ক গড়ে উঠেছে, যা বাচ্চাদের নিকট অত্যন্ত জনপ্রিয়। এরকম একটি ব্যতিক্রমী পার্ক হচ্ছে কুমিল্লার ডাইনো পার্ক। এতে বিনোদনের পাশাপাশি ডাইনোসরদের সম্পর্কে ভালো জ্ঞান অর্জন করা সম্ভব। এসব স্থান ঘুরার অভিজ্ঞতা হতে বাংলাদেশের পর্যটনের সম্ভাবনা, সমস্যাসমূহ ও আমাদের করনীয় নিয়ে কিছু আলোচনা করতে চাই।
পর্যটন অত্যন্ত সম্ভাবনাময় একটি শিল্প। পৃথিবীর মোট জনসংখ্যার প্রতি ১১ জনের মধ্যে গড়ে ১ জন বর্তমানে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে পর্যটন পেশার সঙ্গে জড়িত। বাংলাদেশের পর্যটন শিল্প দিন দিন জনপ্রিয় হচ্ছে। এর প্রমাণ পাওয়া যায় বিভিন্ন পর্যটন স্পটগুলোতে জনসমাগম ও অবকাঠামো উন্নয়ন দেখে। ইতোমধ্যে বাংলাদেশের প্রায় দশ লাখ মানুষ প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে পর্যটন শিল্পের সাথে জড়িত হয়েছে। গত তিন-চার বছর ধরে দেখেছি ঈদের ছুটি, পূজার ছুটি ও শীতকালীন ছুটিতে কক্সবাজার, রাঙ্গামাটি বা বান্দরবানের হোটেল, মোটেল ও রিসোর্টগুলো পরিপূর্ণ হয়ে যায়। এমনও দেখেছি, হোটেলে জায়গা না পেয়ে অনেকে গাড়িতেই রাত কাটিয়েছেন। আবার এসব বিখ্যাত স্থানগুলোর বাইরেও মানুষ এখন নতুন চর, কাশবন, নতুন বাঁধ, নতুন ব্রিজ এসব স্থান দেখলে সেখানে বেড়াতে যায়। অর্থাৎ মানুষ এখন আর ঘরকুনো নয়। তাদের মধ্যে ঘুরে বেড়ানোর আগ্রহ এখন প্রবল।
বর্তমানে সারা পৃথিবীতে পর্যটকের সংখ্যা ধরা হয় প্রায় ১০০ কোটি। ধারণা করা হচ্ছে, ২০২০ সাল নাগাদ এ সংখ্যা প্রায় ২০০ কোটি হবে। পর্যটন বিশেষজ্ঞদের মতে, এই বিপুল সংখ্যক পর্যটকের মধ্যে প্রায় ৮৩ শতাংশ এশিয়ার দেশগুলোতে ভ্রমণ করবে। এছাড়াও বিশ্ব পর্যটন সংস্থার তথ্যমতে, ২০১৮ সালের মধ্যে এ শিল্প হতে ২৯ কোটি ৭০ লাখ লোকের কর্মসংস্থান হবে, যা বিশ্ব অর্থনীতিতে ১০.৫ ভাগ অবদান রাখবে। ওয়ার্ল্ড ট্রাভেল এন্ড ট্যুরিজমের তথ্যমতে, ২০১২ সালে বাংলাদেশের পর্যটন শিল্পে ১২,৮১,৫০০ জন কর্মরত ছিল যা বাংলাদেশের মোট কর্মরত জনসংখ্যার ১.৮%। এর ফলে বাংলাদেশ পর্যটনের ক্ষেত্রে ১৭৮টি দেশের মধ্যে ১৫৭তম অবস্থান অর্জন করে। প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে এ খাতে মোট কর্মরত জনসংখ্যা হলো ২৭,১৪,৫০০ জনের মতো, যা মোট কর্মরত জনসংখ্যার ৩.৭%। এই প্রতিষ্ঠানের মতে, আগামী ২০২৩ সালে বাংলাদেশের পর্যটনের ক্ষেত্রে সরাসরি কর্মসংস্থান হবে ১৭,৮৫,০০০ জনের এবং সার্বিকভাবে এ সংখ্যা হবে ৩৮,৯১,০০০; যা মোট কর্মরত জনসংখ্যার ৪.২% হবে। ২০১২ সালে জিডিপির হিসেবে বাংলাদেশের র‌্যাংক ছিল ১৭৬টি দেশের মধ্য ১৪২তম। পর্যটন শিল্পের সঙ্গে জড়িত বিভিন্ন সেক্টর, যেমন- পরিবহন, হোটেল, মোটেল, রেস্তোরাঁ, রিসোর্ট, এয়ারলাইন্স ও অন্যান্য যোগাযোগের মাধ্যম থেকে পৃথিবীর অনেক দেশ প্রতি বছর প্রচুর রাজস্ব আয় করে, যা অন্য যে কোনো বড় শিল্প থেকে পাওয়া আয়ের চেয়ে অধিক।
উপরোক্ত আলোচনা থেকে এটা সুস্পষ্ট যে, পর্যটন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি খাত। তাই এ খাতের সমস্যা, সম্ভাবনা ও প্রতিকার সম্পর্কে আমাদের অধিক গুরুত্ব আরোপ করতে হবে। বাংলাদেশের পর্যটন স্থানসমূহের প্রথম অসুবিধা ছিল যাতায়াত সমস্যা। সে সমস্যা এখন অনেকটাই দূর হয়েছে। এসব স্থানে এখন প্রচুর হোটেল-মোটেল-রিসোর্ট গড়ে উঠেছে। ফলে সেখানে জনসমাগম বাড়ছে। এতে করে যে সমস্যাটি বর্তমানে প্রকট হয়ে উঠেছে সেটি হলো আবর্জনা। বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি জনসমাগম ঘটে কক্সবাজারে। তাই এখানে বর্জ্যরে পরিমাণ প্রতিনিয়ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। এক পরিসংখ্যানে দেখা যায়, এখানে প্রতিদিন ৩০ টন বর্জ্য সৃষ্টি হয়। এসব বর্জ্য ফেলা হচ্ছে নদী ও সমুদ্রে। এর ফলে ধারণা করা হচ্ছে, আগামী ১০-১৫ বছরের মধ্যে এখানকার সমুদ্র সৈকত দুর্গন্ধময় হয়ে উঠবে। তখন এটি হয়ে উঠবে পরিত্যক্ত এক পর্যটন নগরী। একই অবস্থা দাঁড়াবে টেকনাফ ও সেন্ট মার্টিন দ্বীপের। সেন্ট মার্টিন যাওয়া বা আসার সময় দেখেছি কিছু লোক চিপস জাতীয় খাবার গাঙচিল পাখিকে খাওয়ায়। এটি কোনভাবেই পরিবেশসম্মত বিষয় নয়। এর ফলে গাঙচিলদের খাদ্য স্বভাবের পরিবর্তন ঘটছে, যা প্রকৃতিতে বিরূপ প্রভাব ফেলবে। মোটামুটি আপনি যেখানেই বেড়াতে যাবেন সর্বত্র দেখবেন একই সমস্যা। কোনো পর্যটন স্থানেই সুষ্ঠু বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নেই। লোকজন সেখানে যাচ্ছে, যত্রতত্র ময়লা ফেলছে, ফলে সেখানকার পরিবেশ ক্রমাগতভাবে দূষিত হচ্ছে। জীববৈচিত্র্য নষ্ট হচ্ছে। অনেক গুরুত্বপূর্ণ প্রজাতি বিলুপ্ত হচ্ছে। উদ্ভিদ ও প্রাণির সংখ্যা কমে আসছে। এভাবে আমরা একটি সম্ভাবনাময় শিল্পকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাচ্ছি। তাই পর্যটন শিল্পকে টিকিয়ে রাখার জন্য এখন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা জরুরি হয়ে পড়েছে।
পর্যটন শিল্পের আরো কিছু সমস্যা রয়েছে। যেমন- নিরাপত্তা সমস্যা। কক্সবাজারসহ বিভিন্ন পর্যটন স্থানে রাতের বেলা ঘুরাফেরা করা কঠিন। ছিনতাইয়ের সমস্যা আছে। রাঙ্গামাটির সাজেক ভ্যালিতে আসা-যাওয়ার সময় আর্মিদের সহায়তা নিতে হয়। দিনের একটি নির্দিষ্ট সময়ে সেখানে যেতে হয় এবং আসতে হয়। এই সময়ের বাইরে সেখানে আসা-যাওয়া করা যায় না। সাজেক ভ্যালিতে বেড়াতে গিয়ে একটি সমস্যা অনুভূত হয়েছে, কিছু পর্যটক আছে যারা সারারাত সেখানে মাইক বাজিয়ে নাচ-গান করে। এতে করে পাহাড়ের শান্তি বিঘি্নত হয়। এই বিষয়ে আমাদের অবশ্যই সচেতন হতে হবে। তবে পাশাপাশি আরেকটি ভালো দিক দেখেছি। সেটি হলো সেখানকার উপজাতীয় অধিবাসীরা পর্যটকদের কাছে বিক্রি করার জন্য বিভিন্ন সামগ্রী তৈরি করছে। এতে তাদের আর্থিক অবস্থার উন্নতি হচ্ছে।
পর্যটনস্থানগুলোতে ফেরিওয়ালা ও ভিক্ষুকদের উৎপাত রয়েছে। দ্রব্যমূল্য সমস্যাও লক্ষণীয়। সেখানে দ্রব্যমূল্য স্বাভাবিক থাকাটাই কাম্য। বাংলাদেশের ভিসা ব্যবস্থা আরো সহজ করতে হবে। এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলে পর্যটনে প্রথম দেশ হচ্ছে চীন। সিঙ্গাপুরের আয়ের ৭৫ ভাগ আসে পর্যটন হতে। সেসব দেশের মতো করে আমরা ভিসা ব্যবস্থা সহজ করলে বিদেশি পর্যটকদের আকৃষ্ট করা সহজ হবে।
বাংলাদেশের পর্যটন শিল্পকে ঘিরে বহু বেসরকারি পর্যটন প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। এছাড়া সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় হলো ইন্টারনেট। এর মাধ্যমে আমরা আমাদের পর্যটনস্থানগুলোকে প্রচার করতে পারছি। মানুষ এখন যেখানেই বেড়াতে যাক, সেলফি তুলে তা ফেসবুক, টুইটারসহ নানা সামাজিক মাধ্যমে তুলে ধরছে। এর ফলে পর্যটন শিল্প আরো বিকশিত হচ্ছে। এখন মানুষ ইন্টারনেটের মাধ্যমে হোটেল বুকিং বা পরিবহন ভাড়া করতে পারছে। এছাড়া ইউটিউবে বাংলাদেশের নানা স্থানের ভিডিও আমরা দেখতে পাই। এগুলো আমাদেরকে বেড়াতে উৎসাহিত করছে। আশা করি, বাংলাদেশের পর্যটনের সমস্যাসমূহ দূর করে আমরা আরো সমৃদ্ধ পর্যটন শিল্প গড়ে তুলতে পারব।
লেখক: সহযোগী অধ্যাপক, উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগ, কুমিল্লা সরকারি কলেজ



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: পর্যটন

৩১ ডিসেম্বর, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন