মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ভারতের আসন্ন লোকসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বাজারে নিজেদের থিম সং নিয়ে এসেছিল ক্ষমতাশীল দল ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি)। যা নিয়ে দীর্ঘদিন যাবত চলা বিতর্কের পর অবশেষে কড়া পদক্ষেপ নিল দেশটির নির্বাচন কমিশন। বাবুল সুপ্রিয়র গাওয়া বিজেপির সেই থিম সংটিকে ইতোমধ্যে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
সম্প্রতি বাবুল সুপ্রিয়র গাওয়া সেই গানটি সামনে আসতেই তীব্র বিতর্কের শুরু হয় ভারতীয় রাজনীতিতে। ‘ফুটবে এবার পদ্মফুল, বাংলা ছাড়ো তৃণমূল’ শিরোনামে গাওয়া এই গানটি তাৎক্ষণিক ভাইরাল হয়ে যায় সর্বত্র। অভিযোগ, এই গানের ছত্রে ছত্রে রাজ্য সরকারকে সমালোচনা করা হয়েছে।
নির্বাচনকে কেন্দ্র করে প্রচারে ব্যবহারের জন্য থিম সংটি তৈরি করা হলেও, এই গান প্রকাশের আগে নির্বাচন কমিশনের কাছ থেকে কোনো ধরনের অনুমতি নেননি বাবুল। একইসঙ্গে মিডিয়া সার্টিফিকেশন ছাড়া বিজেপির জন্য তৈরি এই গানটি ইউটিউবে প্রচার করেন তিনি। মূলত সে প্রশ্ন তুলে এরপরই সঙ্গীত শিল্পী বাবুল সুপ্রিয়কে শোকজ করে দেশটির নির্বাচন কমিশন। রোববার এই শোকজের প্রেক্ষিতে বাবুল বলেন, ‘গানটি আনুষ্ঠানিকভাবে এখনো প্রকাশ করা হয়নি। যদিও গানটির বিষয়ে পরামর্শ নিতে হোয়াটসঅ্যাপে দলের কয়েকজন কর্মীর কাছে পাঠানো হয়েছিল। মূলত সেখান থেকেই ছড়িয়ে পড়ে গানটি। আমি নিজে কখনোই গানটি প্রকাশ্যে আনিনি। শুধু মিডিয়াই এই গানটিকে সামনে এনেছে।’
তবে বাবুলের এই উত্তরে কোনো ধরনের কর্ণপাত করেনি ভারতের নির্বাচন কমিশন। তারা বাবুলকে স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দেয়, ‘তিনি নিজেই তার গানটি টুইট করেছিলেন।’ অথচ বাবুলের দাবি, মিডিয়া তার এই গানটি বাইরে এনেছে। সেক্ষেত্রে তার আর কোনো কিছুই করার ছিল না। কিন্তু কমিশনের কাছে যে তথ্য আছে তাতে এটাই প্রমাণিত হয় যে, বাবুল নিজেই তার গান টুইট করে সকলের সামনে এনেছেন। আর এরপরই থিম সং নিষিদ্ধ করল নির্বাচন কমিশন।
এবারের নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এরইমধ্যে জোরেশোরে চলছে প্রচারণা। প্রার্থীরা একে অপরকে করছেন দোষারোপ আর নিজেদের ইমেজকে রাখার চেষ্টা করছেন পরিষ্কার। এমনই এক সময় বিজেপির এই থিম সং নিষিদ্ধ হওয়াতে এক রকম বিপাকে পড়েছে দলটির শীর্ষ নেতারা। যা নিয়ে এরইমধ্যে ভোটারদের মধ্যেও মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। আগামী ১১ এপ্রিল শুরু হবে নির্বাচনের ভোট গ্রহণ। প্রায় ৬ সপ্তাহ যাবত বিভিন্ন রাজ্যে একে একে চলবে এর কার্যক্রম।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।