Inqilab Logo

শুক্রবার ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ কার্তিক ১৪৩১, ০৫ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সাভারে পল্লী বিদ্যুতের দুই কর্মচারী কোটিপতি

রয়েছে বাড়ি, প্লট, বহুতল ভবন

সেলিম আহমেদ, সাভার থেকে : | প্রকাশের সময় : ৭ এপ্রিল, ২০১৯, ১২:০৪ এএম

ঢাকার সাভারে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-৩ এর দুই জন কোটিপতি কর্মচারীর হদিস পাওয়া গেছে। তাদের সাভারের বিভিন্ন এলাকায় রয়েছে একাধিক বাড়ি, প্লট ও বহুতল ভবন। রয়েছে ব্যাংক ব্যালেন্স। সরেজমিনে অনুসন্ধান করে শিমুলতলা জোনাল অফিসের কো-অর্ডিনেটর বজলুর রশিদ ও তার ঘনিষ্ঠ বন্ধু কুশুরা জোনাল অফিসের কো-অর্ডিনেটর সাহাবুদ্দিন মোড়ল বিভিন্ন সময় ট্রান্সফর্মা, ফাইলপাশ, মিটারসংযোগ দেয়ার কথা বলে অবৈধভাবে উপার্জিত অর্থদিয়ে এসব সম্পত্তির গড়েছেন।
সম্প্রতি ঢাকা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-৩ এর ডিজিএম টিএম মেজবাহ উদ্দিনের বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ তুলে তার অপসারনের দাবীতে শিমুলতলা জোনাল অফিসের সামনে মানববন্ধন করে শতাধিক লাইসেন্সধারী ইলেকট্রিশিয়ান। এরপরই বেরিয়ে আসে কর্মচারী বজলুর রশিদ ও সাহাবুদ্দিন মোড়লের বিভিন্ন দুর্নীতির চিত্র।
অনুসন্ধানে পাওয়া গেছে, মধ্যগাজীরচট এলাকায় দুই বন্ধু বজলুর রশিদ ও সাহাবুদ্দিন মোড়লের রয়েছে কোটি টাকা মূল্যের ১২ শতাংশ জমির উপর টিন সেড পাকা বাড়ি। যা তারা ভাড়া দিয়ে রেখেছেন। বাড়ির ভাড়াটিয়া মজিবুর রহমান জানান, পাশাপাশি দুটি বাড়ি দুই বন্ধু বজলু ও সাহাবুদ্দিনের। বজলু ১২টি রুম ভাড়া দিয়েছেন। প্রতিমাসে এসে ভাড়া নিয়ে যায়। বজলুর সোনালী ব্যাংক সাভার শাখায় তার নিজের, স্ত্রী ও সন্তানের নামে রয়েছে মাসিক ৩৫হাজার টাকার ডিপিএস।
পলাশবাড়ী এলাকায় ৬শতাংশ করে পাশাপাশি দুই জনের দুটি প্লট রয়েছে। এরমধ্যে ৬তলা ফাউন্ডেশন দিয়ে বুধবার এক তলার ছাদ ঢালাই দিয়েছেন বজলুর রশিদ। আর সাহাবুদ্দিনের প্লটটি খালি রয়েছে। নির্মাণাধীন ভবনটির তত্ত¡বধায়ক রাসেল বাবু জানান, পল্লী বিদ্যুতের বজলুর রশিদ ভবনটির মালিক।
এদিকে নবীনগর জালালাবাদ মডেল টাউনের ভিতরে বিলাসবহুল একটি বহুতল (৬তলা) ভবন নির্মাণ করেছেন পল্লী বিদ্যুতের কো-অর্ডিনেটর সাহাবুদ্দিন মোড়ল। অল্প বেতনের এ দুই কর্মচারীর একাধিক বাড়ি প্লট কিভাবে হলো এনিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
সাহাবুদ্দিনের বিরুদ্ধে পল্লীবিদ্যুতের ট্রান্সফর্মা গোপনে বিক্রির অভিযোগ রয়েছে। এসকল অভিযোগের বিষয়ে সাহাবুদ্দিনের বাড়িতে কয়েক দফায় গিয়ে না পেয়ে তার মুঠফোনে যোগাযোগ করলেও তিনি ফোনটি রিসিভ করেননি।
তবে বজলুর রশিদ একাধিক বাড়ি প্লটের কথা স্বীকার করলেও তিনি বলেন এসবই নিজের রোজগারের টাকায় করা। তবে সাহাবুদ্দিনের নির্মাণাধীন বাড়িতে ট্রান্সফর্মা ও বৈদ্যুতিক তার (ক্যাবল) মজুদ করে রাখার বিষয়ে ঢাকা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-৩ এর জেনারেল ম্যানেজার (জিএম) প্রকৌশলী মো. হারুন মুঠোফোনে বলেন, পল্লী বিদ্যুতের কোন কর্মচারী কিংবা কর্মকর্তার বাড়িতে ট্রান্সফর্মা কিংবা তার (ক্যাবল) রাখার এখতিয়ার নেই। বিষযটি তিনি দেখবেন বলেও জানান।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: পল্লী বিদ্যুত

২০ সেপ্টেম্বর, ২০১৯
২৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৮

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ