Inqilab Logo

শুক্রবার, ০৫ জুলাই ২০২৪, ২১ আষাঢ় ১৪৩১, ২৮ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

চসিকের সেবক নিবাসে যাচ্ছে ‘নগর ভবন’

রফিকুল ইসলাম সেলিম | প্রকাশের সময় : ৪ এপ্রিল, ২০১৯, ৪:২৮ পিএম

বন্দরনগরীর টাইগারপাসে নবনির্মিত সেবক নিবাসেই যাচ্ছে নগর ভবন। ২৩ তলা নতুন নগর ভবন নির্মাণের কাজের জন্য চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের অফিস সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে সেখানে। সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ সামসুদ্দোহা দৈনিক ইনকিলাবকে বলেন, কর্পোরেশনের কার্যক্রম ও সেবার পরিধি বেড়ে চলেছে। এ জন্য নতুন নগর ভবন নির্মাণ জরুরী হয়ে পড়েছে। নতুন ভবনের কাজ পুরোদমে শুরু করতে অফিস টাইগারপাসে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। চলতি মাসের মধ্যে চসিক অফিসের যাবতীয় জিনিসপত্র অস্থায়ী অফিসে নিয়ে যাওয়া হবে। সেখান থেকে করপোরেশনের কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে।

সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, নগরীর সুইপারদের জন্য নির্মিত ৭ তলা ভবনে অফিস সাজানো হচ্ছে। চলছে আসবাবপত্র বসানো ও সাজসজ্জার কাজ। পাহাড় ঘেরা এলাকায় অনেকটা নিরিবিলি এ ভবনটি। কর্পোরেশনের কর্মকর্তারা বলছেন, কোলাহলমুক্ত পরিবেশে তারা কাজ করতে পারবেন। তবে সেবকরা কিছুটা নাখোশ। নতুন ভবনে ওঠার স্বপ্নপূরণ পিছিয়ে গেল। এ নিয়ে হতাশাও আছে তাদের মধ্যে।
এদিকে ২০২ কোটি ২৬ লাখ টাকা ব্যয়ে ২৩ তলা নগর ভবন নির্মাণকাজ শিগগির শুরু করবে চসিক। নাগরিক সেবা ও চসিকের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিরাপদ কর্ম পরিবেশ নিশ্চিত করতে ৩৩ হাজার ৯৫৫ বর্গফুট জমির ওপর ভবন নির্মাণ প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। এতে লিফট, শীততাপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা ও সার্বক্ষণিক বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিতে সাবস্টেশন, জেনারেটর এবং সোলার প্যানেল স্থাপন করা হবে। এ প্রকল্পের আওতায় কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আনা-নেওয়ার জন্য ২টি বাস, ৩টি এরিয়াল লিফট, ৩টি ওয়াটার ভাউজার, ১৪টি ডাবল কেবিন পিকআপ, ৮টি জিপ, ১টি পাজেরো সংগ্রহ করা হবে।
নগরীর আন্দরকিল্লায় করপোরেশনের বর্তমান ভবন ও পাশের খোলা জায়গায় এ নতুন নগর ভবন নির্মাণ কাজ শুরু হচ্ছে খুব শিগগির। পুরাতন ভবনটি ভেঙ্গে ফেলা হবে। ২৩ তলা এই ভবনের প্রথম দুইতলা রাখা হয়েছে গাড়ি রাখার জন্য। পরের পাঁচটি তলা শিল্প ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানকে ভাড়া দেওয়া হবে। এর ওপরের তলাগুলোতে সিটি কর্পোরেশনের কার্যক্রম চলবে। বর্তমান নগর ভবন পশ্চিমমুখী হলেও নতুন ভবনটি হবে দক্ষিণমুখী। ভবনটিতে সম্মেলন কক্ষ ও ফুড কোর্ট রাখা হবে।
চসিক কর্মকর্তারা জানান, চসিকের সেবক পরিবারগুলোর জন্য সাত তলা এই ভবনটি নির্মাণ করা হয়েছে। তবে এখনও তা বরাদ্দ দেওয়া হয়নি। নতুন ভবন নির্মাণ না হওয়া পর্যন্ত চসিকের কার্যক্রম এই ভবন থেকে পরিচালনা করা হবে। পরে এ ভবনটি বরাদ্দ দেওয়া হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: চসিক


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ