Inqilab Logo

বুধবার ২০ নভেম্বর ২০২৪, ০৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ভোলার তজুমুদ্দিন নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতা, আহত ৫

ভোলা জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২ এপ্রিল, ২০১৯, ৩:২৩ পিএম

ভোলার তজুমদ্দিন উপজেলা নির্বাচন পরবর্তী সময়ে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর নেতা-কর্মীদের দোকান ও বাড়ি-ঘরে ভাংচুর ও পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ উঠেছে বিজয়ী স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. মোশারেফ হোসেন দুলালের সমর্থকদের বিরুদ্ধে। রোববার থেকে এ পর্যন্ত তিনটি হামলা, ভাংচুরের ঘটনায় পাঁচ নেতাকর্মী আহত হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ প্রশাসন আওয়ামী লীগ ও আওয়ামী লীগ বিদ্রোহী (স্বতন্ত্র) প্রার্থীর দুই সমর্থককে আটক করে সহিংসতার অপরাধে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে।
স্থানীয় ও হামলার শিকার নেতাকর্মীরা জানান, রোববার সন্ধ্যার পর থেকে উপজেলা নির্বাচনে স্বতন্ত্র বিজয়ী প্রার্থী মো. মোশারেফ হোসেন দুলাল (আনারস) ৬ নং ওয়ার্ড কেন্দ্রে বিজয় লাভ করলে ইউপি সদস্য মো. শাহাবুদ্দিনের নেতৃত্বে বিজয় মিছিল বের করে। মিছিল নিয়ে আনারস প্রতীকের সমর্থকরা বাগানের খাল মাছঘাটে হামলা চালায়। এ সময় নৌকার কর্মী ৬নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহ মো. মহিউদ্দিনের মাছের আড়ৎ, মো. মিজানুর রহমানের মুদি দোকান ও রেস্টুরেন্টসহ কয়েকটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা ও ভাংচুর চালায়।
স্থানীয়রা আরও জানায়, একই সময় আনারসের কর্মীরা বিজয় মিছিল থেকে এলাকায় নৌকার কর্মী আ. রশিদ মিজির দোকানে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করে। ওই রাতে ভাংচুরে বাঁধা দিলে মহিউদ্দিন আখন্দকে পিটিয়ে আহত করে। এবং সোমবার নৌকায় ভোট দেওয়ার অপরাধে উপজেলার মুচিবাড়ির কোনা এলাকার মো. তরিকুল ইসলামকে পিটিয়ে জখম করেছে।
হামলার শিকার শাহ মো. মহিউদ্দিন সাজি বলেন, আনারস প্রতিকের সমর্থক শাহাবুদ্দিনের নেতৃত্বে দুই শতাধিক লোক তাঁর দোকানে হামলা চালায়। রাম দা দিয়ে কুপিয়ে দোকানে ভাঙচুর করে। এসময় তারা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের আসবাবপত্র ও জালসহ প্রায় ৫ লাখ টাকার মমালামাল লুুট করেছে। এসময় মিছিল কারিরা তার বাড়িতেও হামলা করে। ঘটনাস্থলে পুলিশ, বিজিবি ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এসে পরিসিথতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। প্রশাসন ঘটনাস্থল থেকে তাঁকে (মহিউদ্দিন সাজি) ও ইউপি সদস্য মো. শাহাবুদ্দিনকে আটক করে। পরে ভ্রাম্যমান আদালত তাঁদের দুজনের ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা করে ছেড়ে দেন। পরে পুলিশ কোস্টগার্ডের ওপর হামলার ঘটনায় করা মামলায় শাহাবুদ্দিনকে গ্রেফতার করে জেল-হাজতে প্রেরণ করেছে। নৌকা মার্কার প্রার্থী ফজলুল হক দেওয়ান বলেন নির্বাচন পরবর্তী সময়ে অামার অনেক সর্থকের বাড়ি ঘাড়ে হামলা করে পিটিয়ে অনেককে অনাহত করেছে এবং সামনে দিনগুলোতে কারো সহিংসতা হতে পারে।
স্বতন্ত্র প্রার্থী বিজয়ী তজুমদ্দিন উপজেলা চেয়ারম্যান মোশারেফ হোসেন দুলাল বলেন, ‘নৌকার কর্মীদের ওপর হাত তোলার প্রশ্নই ওঠে না। আমরা এক দলের মানুষ। নির্বাচন চলাকালীন সময়ে ওরা আমার অনেক নেতা-কর্মীকে পিটিয়ে, কুপিয়ে জখম করেছে। পোস্টার লাগাতে দেয়নি। নির্বাচনী কার্যালয় ভাংচুর করেছে। তারপরেও আমি নেতা-কর্মীদের ধৈর্য্য ধারণ করতে বলেছি। যেগুলো ঘটেছে সেগুলো বিচ্ছিন্ন ঘটনা।
তজুমদ্দিন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকতা (ওসি) আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘তাঁদের দুটি টহল দল বিভিন্ন ইউনিয়নে ঘুরছে। এলাকায় র‌্যাব-বিজিবি অবস্থান করছে। কারও ওপর সন্ত্রাসী হামলার প্রশ্নই ওঠে না। এখন পরিস্থিতি শান্ত আছে। তবে অনেকে ব্যক্তিগত সমস্যা বিরোধ নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতা বলে চালিয়ে দিচ্ছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: সহিংসতা

৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ