মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
অনেক পরিবারের জন্য স্কুলের নতুন সেমিস্টার প্রত্যাশাময়। তবে, যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের ইউভাল্ডি শহরের নাগরিক আলফ্রেড গারজারের জন্য এটি একটি শোকের স্মৃতি। তিন মাসে আগে একজন বন্দুকধারী স্থানীয় রোব প্রাথমিক স্কুলে প্রবেশ করে ১৯ শিক্ষার্থী ও দুই শিক্ষককে হত্যা করেছিল। গারজারের মেয়ে তাদের মধ্যে একজন।
সে সময় মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এ ক্ষেত্রে বাস্তব পদক্ষেপ গ্রহণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন এবং গত জুন মাসে কথিত ৩০ বছর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বন্দুক নিয়ন্ত্রণ আইনে সই করেছেন। তবে, দেশটিতে বন্দুক সহিংসতার ঘটনা কমেনি। সদ্য সমাপ্ত সপ্তাহান্তে দেশটির নানা স্থানে বন্দুক সহিসংতা ঘটেছে।
সর্বশেষ এক পরিসংখ্যান থেকে জানা গেছে, চলতি বছর ৩১ হাজার মানুষ বন্দুক সহিংসতায় নিহত হয়েছে। প্রতিদিন গড়ে ১২২ জন নিহত হয়েছে। ফলে মার্কিন সমাজে মারাত্মকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে বন্দুক সহিংসতার আতঙ্ক। গতকাল (বুধবার) চায়না মিডিয়া গ্রুপের (সিএমজি) এক সম্পাদকীয়তে এ মন্তব্য করা হয়েছে।
সম্পাদকীয়তে বলা হয়েছে, সেদেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ক্যাম্পাসগুলো হল বন্দুক সহিংসতার প্রধান স্থান। মিশিগান স্টেট বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষণা থেকে জানা গেছে, ৭৫ শতাংশ মার্কিন তরুণ মনে করে, বন্দুক সহিংসতা তাদের মানসিক চাপের প্রধান উৎস। নতুন সেমিস্টারে নানা ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের পড়ালেখার পাশাপাশি বন্দুক সহিংসতা মোকাবিলার প্রস্তুতি নিতে দেখা যায়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কিছু কিছু মার্কিন শিক্ষক ক্যাম্পাসে বন্দুক সহিংসতা মোকাবিলার অভিজ্ঞতা ও কৌশল শেয়ার করেছেন।
বিশ্বের বৃহত্তম উন্নত দেশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রে কেন বন্দুক সহিংসতার ঘটনা এত বেশি ঘটে? বিশ্লেষকরা মনে করেন, এর মূল কারণ হচ্ছে মার্কিন সংবিধানের দ্বিতীয় সংশোধনী আইনে প্রদত্ত বন্দুকের অধিকার। পাশাপাশি, দেশটির দুই পার্টির বন্দুক নিয়ন্ত্রণে ব্যাপক মতভেদও এ ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখছে।
নিউইয়র্ক টাইমস এর মতে, ‘বন্দুক সহিংসতা যুক্তরাষ্ট্রে অহরহ দেখা যায়। প্রায় সবাই আতঙ্কের মধ্যে জীবন-যাপন করছে’। আসলে মার্কিন স্বার্থপর একটি গ্রুপের বন্দুক ক্রয়-বিক্রয়ের মাধ্যমে সম্পদ অর্জনের লালসাও এ জন্য কম দায়ী নয়। সূত্র: সিএমজি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।