পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আগুন ছাড়া জীবন চলে না; অথচ সেই আগুন এখন হয়ে গেছে রাজধানীবাসীর জন্য ভীতিকর শব্দ। ক্রসফায়ার, গুম, অপহরণ নিয়ে মানুষের মধ্যে যেমন আতঙ্ক ছিল; নতুন করে সেই তালিকায় যুক্ত হয়েছে অগ্নিকান্ড। রাজধানী ঢাকায় কয়েকটি অগ্নিকান্ডে প্রাণহানির ঘটনা মানুষের মধ্যে এই আতঙ্কের সৃষ্টি করে। যাদের অফিস এবং বসবাস বহুতল ভবনে তাদের সবার মধ্যেই যেন ‘আগুন’ হয়ে গেছে মূর্তমান আতঙ্ক। পরপর কয়েকটি অগ্নিকান্ডের রোমহর্ষক ঘটনাগুলো জাতীর ওপর বিনা মেঘে বজ্রপাতের মতোই আছড়ে পড়ছে। আগুনের লেলিহান শিখায় অনেকগুলো তাজা প্রাণ অকালে ঝরে গেছে। হাজার হাজার বছর আগে পৃথিবীতে মানব সভ্যতার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কার আগুন। বিগত ১০ বছরে ঢাকার কয়েকটি ভবনে অগ্নিকান্ডে মানুষের প্রাণ হারানোর দৃশ্য দেখে ‘সভ্যতার বিকাশ সেই আগুনের’ ভয়ে মানুষ উদ্বিগ্ন।
বহুতল ভবন-মার্কেটে ঘন ঘন অগ্নিকান্ডের ঘটনা সর্বস্তরের মানুষকে আতঙ্কিত করে তুলেছে। রাজধানীতে যারা বসবাস করেন তারা কর্মস্থলে যাওয়ার পথে কিংবা কর্মস্থলে, এমনকি বাসায় নিজেকে নিরাপদ মনে করছেন না। বিজ্ঞানের এই যুগে ফায়ার ফাইটিংয়ের দুর্বলতা দেখে আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন। যারা বহুতল বিল্ডিংয়ে বসবাস করেন ও ব্যাবস-বাণিজ্যের অফিসে কর্মরত তাদের ভয় বেশি। চোখের সামনে দুর্গত মানুষ পুড়ে প্রাণ হারাচ্ছেন, প্রাণ বাঁচানোর আর্তি জানাচ্ছেন; কিন্তু মানুষের চেয়ে চেয়ে দেখা ছাড়া করার কিছু নেই। টিভি পর্দায় সচিত্র এই দৃশ্যগুলো মানুষকে বিচলিত করে তুলছে।
জানতে চাইলে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিশেষজ্ঞ গওহার নঈম ওয়ারা বলেন, অস্বাভাবিক কিছু দেখলেই মানুষ আতঙ্কিত হয়, সর্বত্রই ভয়ের সৃষ্টি করে। কোনোখানে আগুন লাগলে মানুষ জানতে চায় তার কাছের মানুষ সুস্থ আছে কিনা। এটাকে প্যানিক বলা যায় কিংবা কন্সেন্ট বলা যায়। আমাদের আগুনের খবর যেভাবে ছড়ায়, সেই খবর মানুষকে আরও অস্থির করে তোলে। সেটা এখন চলছে। ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সাবেক মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আলী আহমদ খান বলেন, আগুন আসলে প্যানিকের বিষয় নয়। আগুন তো লাগতেই পারে। আপনার যদি প্রস্তুতি থাকে, ফায়ারকে মোকাবিলা করার প্রস্তুতি থাকলে প্যানিক ছড়ানো উচিত নয়। গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী শ. ম. রেজাউল করিম বলেছেন, রাজউকের অধীনে রাজধানী ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকায় ৬৬ শতাংশ ভবনই অপরিকল্পিতভাবে নির্মাণ করা হয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ ভবন ও যারা বিল্ডিং কোড মানেননি, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। যদি কোনো ভবন অবৈধভাবে তৈরি করা হয়, তবে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের দায়ী করে ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ ধরনের ব্যবস্থা নিলে তাদের মধ্যে দায়বদ্ধতা তৈরি হবে। এ ছাড়া এ ধরনের পদক্ষেপের মাধ্যমে অবৈধভাবে ভবন তৈরির মানসিকতাও পরিবর্তন হবে।
‘আমরা উন্নয়নে পৃথিবীর রোল মডেল; ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্টে পৃথিবী সেরা’ ক্ষমতাসীনরা এই দাবি করলেও ২৮ মার্চ বিশ্ববাসী দেখেছে বনানীর ২২ তলা ভবনের আগুন নেভানোয় হেলিকপ্টার ব্যবহার করতে গিয়ে তলা ফুটা বালতির পানি পরার দৃশ্য’। পরের দিন ২৬ তাজা প্রাণ ঝড়ে পড়ার খবর। সে জন্যই রাজধানী জুড়ে আগুন নিয়ে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা আর ভয়ের আবহ। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে আগুন নিয়ে ব্যাপক মন্তব্য, বক্তব্য, প্রকাশ চলছে। দায়িত্বশীলদের একে অপরের ওপর দায় চাপানো এবং নিজেদের ব্যর্থতা, অযোগ্যতা দুর্নীতি আড়াল করার প্রাণান্তকর প্রচেষ্টাকে নানা ভাবে ব্যাঙ্গবিদ্রুপ করা হচ্ছে।
২০১০ সালে পুরান ঢাকার নিমতলীতে ঘটে যাওয়া অগ্নিকান্ডে একই পরিবারের ১১ জনসহ ১২৪ জনের প্রাণহানি বিভীষিকাময় পরিস্থিতির সৃষ্টি করে। অতপর কয়েকটি গার্মেন্টে অগ্নিকান্ডসহ অনেকগুলো অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। অনেকেই প্রাণ হারিয়েছে এবং পঙ্গু হয়েছে অসংখ্য মানুষ। ঢাকা মেডিকেল কলেজের বার্ণ ইউনিটে গেলে চিত্রটা বোঝা যায়। তবে গত ২০ ফেব্রুয়ারি চুড়িহাট্টায় অগ্নিকান্ডে ৭১ জনের প্রাণহানির ঘটনা নতুন করে মানবতার বিবেককে নাড়া দেয়। নগরবাসীর মধ্যে ভীতি আতঙ্ক সৃষ্টি করে। ২৮ মার্চ বনানীর এফ আর টাওয়ারে অগ্নিকান্ডে প্রাণহানি গোটা জাতিকে স্তব্ধ করেছে। পরের দিন গুলশানের ডেলটা ইন্সুরেন্স কোম্পানীর বিল্ডিং-এ অগ্নিকান্ড এবং ৩০ মার্চ সকালে গুলশান ডিএনসিসি মার্কেটে অগ্নিকান্ড, রাতে ধানমন্ডিতে অগ্নিকান্ড নাগরিক জীবনে এক বিভীষিকাময় অবস্থার সৃষ্টি করে। আগুন নেভাতে ফায়ার সার্ভিসে প্রাণান্তকর প্রচেষ্টায় পুরে মারা যাচ্ছে মানুষ; ক্ষতি হচ্ছে শত শত কোটি টাকার সম্পদ। অথচ দায়িত্বশীলরা একের অপরের ওপর দোষ চাপাচ্ছেন; আর তদন্ত কমিটি গঠন করেই যেন দায় শেষ করছেন।
এফ আর টাওয়ানের আগুন লাগার দিন ২৮ মার্চ সকালে আগুন নিয়ে ঢাকায় গণশুনানির আয়োজন করে আইন ও শালিস কেন্দ্র, বেলা, ব্লাষ্ট, ব্র্যাক, বাংলাদেশ স্থপতি ইন্সটিটিউট, এএলআরডি এবং নিজেরা করি সংগঠন। সিরডাপ মিলনায়তনে আয়োজিত গণশুনানিতে অগ্নিকান্ড নিয়ে গবেষণাধর্মী প্রতিবেদন তুলে ধরা হয়। সেখানে বলা হয় গত দশ বছরে সারা দেশে ১৬ হাজার অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। এতে ১ হাজার ৫৯০ জন প্রাণ হারিয়েছেন (বনানীর এফ আর ভবনে ২৬ প্রাণহানির ঘটনা নেই)। সবমিলে মৃত্যুর সংখ্যা ১ হাজার ৬শ ৬১জন। বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) প্রধান নির্বাহী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান জানান, ২০১০ সালে পুরান ঢাকার নিমতলীতে ঘটে যাওয়া অগ্নিকান্ডে একই পরিবারের ১১ জন ব্যক্তিসহ ১২৪ জনের প্রাণহানি ঘটে। নিমতলী অগ্নিকান্ডের পর সরকারি পর্যায়ে গঠিত সকল তদন্ত কমিটি এলাকার রাসায়নিক মজুদ দুর্ঘটনার প্রধান কারণ হিসেবে চিহ্নিত করে। তারা পুরান ঢাকার আবাসিক ভবন থেকে রাসায়নিক দোকান কারখানা গুদাম উচ্ছেদের সুপারিশ করে। কিন্তু কোনো উদ্যোগ নেয়া হয়নি। গত ২০ ফেব্রুয়ারি চুড়িহাট্টায় অগ্নিকান্ডে ৭১ জনের প্রাণহানি ঘটে। বিভিন্ন মহল থেকে দোষী ব্যক্তির শাস্তির আশ্বাস মিললেও শাস্তি দৃশ্যমান হয়নি। প্রতিবেদনে নিমতলীর অগ্নিকান্ডের পর গঠিত তদন্ত কমিটির রিপোর্ট বাস্তবায়ন হলে এতো অগ্নিকান্ড ঘটতো না বলেও বিশেষজ্ঞরা মন্তব্য করেন।
চকবাজারের আগুনের রেশ কাটতে না কাটতে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে বনানীর এফ আর টাওয়ারে। গত বৃহস্পতিবার দুপুরে লাগা সেই আগুন নেভানোয় কাজ করে ফায়ার সার্ভিসের ২৫টি ইউনিট। তাদের সহায়তা করেন সেনা-নৌ-বিমান বাহিনীর সদস্যরা। ৭ ঘণ্টা চেষ্টার পর সন্ধ্যা ৭টার দিকে নেভানো সম্ভব হয়। এই অগ্নিকান্ডে ২৬ জনের প্রাণহানি ঘটে। আহত ও অসুস্থ হয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছেন আরও অর্ধ শতাধিক মানুষ। এদের অনেকেই হয়তো সারাজীবনের জন্য পঙ্গু হয়ে যাবেন। বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল বাংলাদেশে মানুষ অগ্নিকান্ডে প্রাণ হারাচ্ছে অঝোরে।
এদিকে আগুনে ক্ষতিগ্রস্থ এফ আর টাওয়ার কিছুটা হেলে পড়েছে তাই ভবনটি আর ব্যবহারের উপযোগী নয় বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। গতকাল এফ আর টাওয়ার পরিদর্শন শেষে বুয়েট ও রাজউকের সমন্বয়ে গঠিত তদন্ত টিমের সদস্য, বুয়েটের সিভিল ইঞ্জিনিয়ার বিভাগের অধ্যাপক মেহেদী আহমেদ আনসারী এই তথ্য দেন। তিনি বলেন, দুর্ঘটনায় ভবনের ভেতরের কলাম ও স্ল্যাব ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। এগুলো ঠিক করতে অন্তত ১৫০ দিনের মতো সময় লাগবে। কমিটির সদস্য মেহেদী আহমেদ আনসারী বলেন, বাংলাদেশ ইমারত নির্মাণ বিধিমালা ও ফায়ার সেফটি কোড অনুযায়ী সংস্কার ছাড়া ভবনটি ব্যবহার করা যাবে না। এই ভবন সংস্কারে কমপক্ষে তিন মাস লাগবে। বুয়েটের আরেকজন অধ্যাপক রাকিব আহসান জানান, পরিদর্শনে দেখা গেছে জরুরি নির্গমন পথটি কোনও কোনও জায়গায় বন্ধ ছিল। রাজউকের প্রধান প্রকৌশলী আবদুল লতিফ হেলালী বলেন, ১৮-তলা ভবনটি ২৩ তলা করায় তা কতটা ঝুঁকি তৈরি করেছে, তা খতিয়ে দেখতেই এই পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে।
এদিকে রোববার এফআর টাওয়ারের অদূরে সাফুরা টাওয়ারে বনানী থানা পুলিশের কন্ট্রোল রুমে ‘গণশুনানি’ আয়োজন করা হয়। সেখানে এফআর টাওয়ারের বিভিন্ন তলায় কর্মরত ২৪ জন ঘটনার সময়ের চিত্র তুলে ধরেন। ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ফয়জুর রহমান গণশুনানিতে পাওয়া তথ্যের বরাত দিয়ে বলেন, ২৪ জনের ভাষ্য অনুযায়ী আমরা জানতে পেরেছি, ভবনের অষ্টম তলায় স্পেক্ট্রা এসএন নামে একটি বায়িং হাউজের অফিস থেকে আগুনের সূত্রপাত। শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত।
অগ্নিকান্ডের পর ভবনটির বিভিন্ন অব্যবস্থাপনার তথ্য বেরিয়ে আসছে। অনেকগুলো বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের কার্যালয় থাকলেও সেখানে অগ্নি নির্বাপনের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা ছিল না বলে অভিযোগ উঠেছে। যতটুকু ছিল, তাও কার্যকর ছিল না। ভবনটির ১৩ তলার ডার্ড নামের একটি পোশাক কারখানার কর্মী শফিকুল বলেছেন, নিরাপত্তাকর্মীরা বাঁশি বাজানোর সঙ্গে সঙ্গে তিনি সিঁড়ি দিয়ে প্রথমে সাত তলায় যান। কিন্তু সেখানে গিয়ে দেখেন নামার মত অবস্থা নেই। পরে তিনি উপরে উঠে যান। ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমান ভাষ্য ছিল, অগ্নিকান্ডের সময় ভবনটির ইমার্জেন্সি গেইট বন্ধ ছিল। এছাড়া বিল্ডিংয়ের সিঁড়ি ছিল সরু। গণশুনানিতেও বিল্ডিং নির্মাণের নানা অব্যবস্থাপনার তথ্য উঠে আসে। অতিরিক্ত সচিব ফয়জুর রহমান বলেন, তারা (শুনানিতে আসা কর্মীরা) অনেকে এক্সিট ডোরের কথা জানত না। এক্সিট ডোরের কোনো দিকনির্দেশনাও ছিল না। তাই তারা এটা ব্যবহার করতে পারেননি। ভবনে অগ্নি নির্বাপন ব্যবস্থা থাকলেও নিরাপত্তা কর্মীরা তা ব্যবহার করতে পারেননি।
নিমতলীর ১২৪ জনের প্রাণহানি থেকে শুরু করে চকবাজারে চুরিহাট্টার ৭১ জনের প্রাণহানির পর বনানীর এফআর টাওয়ারে ২৬ জনের মৃত্যু নগরবাসীর জন্য বিনা মেঘে বজ্রপাতের মতো রোমহর্ষক। চকবাজার অগ্নিকান্ডের পর সর্বস্তরের মানুষ উপলব্ধি করে নিমতলী অগ্নিকান্ড থেকে কেউ শিক্ষা নেয়নি। সে জন্যই নিমতলীর পুনরাবৃত্তি ঘটে চকবাজারে। আবার চকবাজারের ঘটনা থেকেও শিক্ষা নেয়নি প্রশাসনযন্ত্র। নিলে বনানীতে এমন ঘটনা ঘটতো না। দায়িত্বশীলরা একে অপরের উপর দোষ চাপাচ্ছেন; কিন্তু নিজেদের দায়িত্ব এড়িয়ে যাচ্ছেন। প্রশ্ন হলো নিমতলীর পর চকবাজার এবং বনানীর এই পুনরাবৃত্তি কি অনিবার্য ছিল? অগ্নি-বিভীষিকার পুনরাবৃত্তির ঝুঁকি নিয়েই কি ঢাকার নাগরিকরা জীবন চালিয়ে যাবে?
নিমতলী ট্র্যাজেডির পর প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে গঠিত তদন্ত কমিটি তদন্ত শেষে ১৭টি সুপারিশসহ প্রতিবেদন দেয়। সেই সব সুপারিশ যথাযথভাবে বাস্তবায়ন করা হলে চকবাজারে নিমতলী অগ্নিকান্ডের পুনরাবৃত্তি এড়ানো যেত। এড়ানো যেত এতো প্রাণহানির। কিন্তু নতুন ঢাকা বনানী? ১৮ তলার অনুমতি নিয়ে ২৩ তলা নির্মাণের দায় কি শুধু মালিকের? রাজউজ, সিটি কর্পোরেশনসহ তদারকী প্রথিষ্ঠানগুলো কি চোখ বন্ধ করে ছিল? #
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।