Inqilab Logo

সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সরকারের নিয়ন্ত্রণ চেয়েছে ফেসবুক

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৩১ মার্চ, ২০১৯, ৭:১৯ পিএম

ইন্টারনেট ভিত্তিক সব সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমকে একই নীতিমালা মেনে চলার জন্য নতুন আইন প্রণয়ন করার দাবি জানিয়েছেন মার্ক জাকারবার্গ। ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জাকারবার্গ বলেছেন, ইন্টারনেটের কন্টেন্ট নিয়ন্ত্রণে সরকার এবং নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষগুলোর আরো সক্রিয় ভূমিকা পালন করা প্রয়োজন। ওয়াশিংটন পোস্টে প্রকাশিত হওয়া এক লেখায় ফেসবুক প্রধান জাকারবার্গ এই দাবি করেন।
ক্ষতিকর কন্টেন্ট যাচাই-বাছাই করার দায়িত্ব শুধুমাত্র প্রযুক্তি সংস্থাগুলোর কাছে থাকা তাদের জন্য অতিরিক্ত চাপ তৈরি করবে জানিয়ে জাকারবার্গ চারটি ক্ষেত্রে নতুন আইনের দাবি জানান, ‘ক্ষতিকর কন্টেন্ট, নির্বাচনের বিশুদ্ধতা, গোপনীয়তা এবং তথ্যের বহনযোগ্যতা।’
নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে হামলার ভিডিও বন্দুকধারী লাইভ স্ট্রিম করার দুই সপ্তাহ পর এই বক্তব্য এলো। জাকারবার্গ বলেছেন যে ফেসবুক ‘একটি স্বাধীন কর্তৃপক্ষ গঠন করছে যেন মানুষ আমাদের সিদ্ধান্তের (কী পোস্ট করা হচ্ছে এবং কোন পোস্ট সরিয়ে নেয়া হচ্ছে) বিরুদ্ধে আবেদন করতে পারে।’ প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্যও এই সংক্রান্ত নতুন আইন যেন বাস্তবায়ন করা হয় সেবিষয়েও জোর দিয়েছেন তিনি। তিনি বলেন, এই নতুন নিয়মগুলো সব ওয়েবসাইটের জন্য একই হওয়া উচিত, সেক্ষেত্রে ‘ক্ষতিকর কন্টেন্ট’ ছড়িয়ে পড়া দ্রুতবেগে রোধ করা সম্ভব। ক্ষতিকর কন্টেন্ট ছড়িয়ে পড়া রোধে সব সামাজিক মাধ্যম ওয়েবসাইটকে একই নীতিমালা মেনে চলতে হবে এবং একটি স্বতন্ত্র কর্তৃপক্ষ নিয়ন্ত্রকের ভূমিকায় থাকবে। শীর্ষস্থানীয় প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোকে প্রতি তিনমাসে একটি প্রতিবেদন দাখিল করতে হবে যেন প্রতিষ্ঠানের আর্থিক প্রতিবেদনের সাথে সামঞ্জস্য রাখা যায়।
আইন শুধু শুধু নির্বাচনের সময় বা নির্বাচনের প্রার্থীর ক্ষেত্রেই নয়, ‘রাজনৈতিকভাবে বিভাজিত বিষয়’ এবং আনুষ্ঠানিকভাবে প্রচারণার সময় পার হওয়ার পরও যেন কার্যকর হতে পারে।
অনলাইনে ভোটারদের তথ্য ব্যবহার করে তাদের উদ্দেশ্যে কীভাবে প্রচারণা চালানো হয়, তা নিয়ন্ত্রণে আইন প্রনয়ণ।
গত বছর কার্যকর হওয়া ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন’স জেনারেল ডাটা প্রোটেকশন রেগুলেশনের (জিডিপিআর) মত গোপনীয়তা নিশ্চিত করা আইন আরো বেশি দেশে কার্যকর করা উচিত মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘সাধারণ বৈশ্বিক কাঠামো'তে এসব আইনকে অন্তর্ভূক্ত করা যেন দেশ ভেদে এসব আইন বিভিন্ন রকম না হয়।’
তার মতে, একটি সেবা থেকে অন্য একটি সেবায় ডাটা স্থানান্তরিত করা হলে সেই ডাটা’র সুরক্ষা নিশ্চিত করার দায়িত্ব কার থাকবে, সেবিষয়ে পরিস্কার আইন প্রণয়ন করা প্রয়োজন।
ক্রাইস্টচার্চের ঘটনার প্রেক্ষিতে এর আগে ফেসবুক ঘোষণা দিয়েছিল যে তারা লাইভ স্ট্রিমিং সেবায় কড়াকড়ি আরোপ করার চিন্তা করছে। বৃহস্পতিবার ফেসবুকে ‘শ্বেতাঙ্গ আধিপত্যবাদ’ এবং ‘বিচ্ছিন্নতাবাদী’ মতবাদ প্রচারে নিষেধাজ্ঞা জারি করারও ঘোষণা দেয়া হয়। শুক্রবার থেকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলোর ক্ষেত্রে ফেসবুকে প্রকাশিত রাজনৈতিক বিজ্ঞাপনের সাথে বিভিন্ন তথ্যও সংযুক্ত করা শুরু করেছে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ। যেমন, এই বিজ্ঞাপন কে দিয়েছেন এবং বিজ্ঞাপণের পেছনে কী পরিমাণ অর্থ খরচ করা হয়েছে ইত্যাদি



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ফেসবুক


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ