Inqilab Logo

শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সিলেটে প্রধান শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেয়ার দাবিতে বিক্ষোভ

সিলেট ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ৩১ মার্চ, ২০১৯, ৫:৪৪ পিএম

সিলেটের দক্ষিণ সুরমার জহির-তাহির মেমোরিয়াল উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারি প্রধান শিক্ষক অরবিন্দ ভট্টাচার্যকে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেয়ার দাবিতে সাবেক ও বর্তমানে শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার (৩১ মার্চ) সকাল সাড়ে ৯টা থেকে সাড়ে ১১টা পর্যন্ত দক্ষিণ সুরমার শিববাড়ি এলাকায় প্রাক্তন ও বর্তমান শিক্ষার্থীদের ব্যানারে এ মানবন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এতে শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি স্থানীয় ব্যবসায়ী ও অভিভাবকরাও এসে মানবন্ধনে যোগ দেন। এসময় সিলেট ফেঞ্চুগঞ্জ সড়কের দুপাশে দেখা দেয় তীব্র যানজট। অপ্রীতকর ঘটনা এড়াতে মোগলবাজার থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে উপস্থিত হয়। মানবন্ধন চলাকালে বিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষক সবাইকে শান্ত করেন। এসময় তারা উপস্থিত সবাইকে জানান, যেসব দাবির প্রেক্ষিতে মানববন্ধন করা হচ্ছে সেগুলো বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সাথে আলাপ-আলোচনা সাপেক্ষে সব দাবি মেনে নেয়ার সর্বাত্মক চেষ্ঠা করা হবে। এরপর উপস্থিত সবাই জহির-তাহির মেমোরিয়াল উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারি প্রধান শিক্ষক অরবিন্দ ভট্টাচার্য লাঞ্চনাকারিদের শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে বিদ্যালয়ে যান। সেখানে গিয়ে দাবি সম্বলিত একটি লিখিতপত্র বিদ্যালয়ের শিক্ষকের কাছে দাখিল করা হয়।

মানবন্ধনে বক্তারা বলেন, একজন মানুষ গড়ার কারিগরকে এভাবে লাঞ্চনা করার কোন মানে নেই। এতে প্রতিয়মান হয় বিদ্যালয়কে ধ্বংস করার জন্য একটি চক্র পরিকল্পিতভাবে আর্থিক লেনদেনের মাধ্যমে ফেঞ্চুগঞ্জের একটি স্কুলের শিক্ষককে ঐতিহ্যবাহী জহির-তাহির বিদ্যালয়ে বসানোর পায়তারা শুরু হয়েছে। এটা কোনভাবেই মেনে নেয়া যায়। এছাড়াও অরবিন্দ স্যারের প্রতি সম্মান জানিয়ে যখন শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ে বিক্ষোভ করে তখনও আওয়ামী লীগ নেতা ছয়েফ ও বিদ্যালয়ের খন্ডকালিন শিক্ষক শমসের সিরাজ সুহেল পরিকল্পিতভাবে শিক্ষার্থীদের উপর হামলা চালান। এসময় বিদ্যালয়ের ৭ম ও ১০ম শ্রেণীর দুই শিক্ষার্থী মারাত্মকভাবে আহত হন।

উল্লেখ্য- বিদ্যালয়ের বর্তমানে দায়িত্ব থাকা প্রধান শিক্ষক তমাল কান্তি দে’র মেয়াদ প্রায় ৩ বছর আগেই শেষ হয়ে যায়। তবুও প্রধান শিক্ষককে নিয়োগ কমিটিতে রাখা হয়। এছাড়াও সিলেট শিক্ষা বোর্ড থেকে প্রধান শিক্ষক তমাল কান্তি দে’কে অপসারণ করে বিদ্যালয়ের সহকারি প্রধান শিক্ষক অরবিন্দ ভট্টাচার্যকে দায়িত্ব দেয়ার জন্য চিঠি দেয়া হয়। কিন্তু এই চিঠি অগ্রাহ্য করে তিনি ম্যানেজিং কমিটিকে ম্যানেজ করেই অবৈধভাবে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করে আসছেন।

দাবিগুলো হচ্ছে- সকল ষড়যন্ত্র ভেঙে অরবিন্দ ভট্টাচর্যকে প্রধান শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দিতে হবে। তদন্তের মাধ্যমে লাঞ্চনাকারীদের দৃষ্ঠান্তমূলক শাস্তি ও প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়া। হামলার শিকার দুই শিক্ষার্থীর যাবতীয় চিকিৎসার খরচ বহন করতে হবে। এছাড়াও অভিভাবক সদস্য ছয়েফ খান ও বিদ্যালয়ের খন্ডকালিন শিক্ষক শমসের সিরাজ সুহেলেকে সার্বিক দায়িত্ব থেকে বহিষ্কার করা।



 

Show all comments
  • Shagor Ahmed ৩১ মার্চ, ২০১৯, ১১:৪৮ পিএম says : 0
    Ki mante parlam na
    Total Reply(0) Reply
  • Shagor Ahmed ৩১ মার্চ, ২০১৯, ১১:৪৮ পিএম says : 0
    sir er priyo chatro ami..Shagor nam nollei chinbe.ghotonati shunar por doure giyechilam...sir k lanchito kora mante parchilam..suhel sir k ami pray salam ditam.uni ekjon teacher hoye emonti korben asha korini..
    Total Reply(0) Reply
  • Aimee ১০ এপ্রিল, ২০১৯, ২:০৪ এএম says : 0
    Hello! I simply wish to give you a huge thumbs up for the excellent info you have got right here on this post.
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বিক্ষোভ


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ