Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

খলিফা হারুনুর রশীদের চরিত্রের একটি বিশেষ দিক

কে. এস. সিদ্দিকী | প্রকাশের সময় : ৩০ মার্চ, ২০১৯, ১২:০৯ এএম

মুসলিম সাম্রাজ্য বিস্তারে আব্বাসীয় খলিফাদের মধ্যে হারুনুর রশীদ ছিলেন অদ্বিতীয়। তার সুখ্যাতি, প্রভাব-প্রতিপত্তি, শান-শওকত এবং জাঁক-জমকপূর্ণ শাসন-ব্যবস্থা ও সুশাসন ছিল ঈর্ষণীয়। তৎকালীন বিশ্বের প্রতাপশালী সম্রাটগণ পর্যন্ত খলিফা হারুনুর রশীদের শান-শওকত ও অসাধারণ বীরত্ব ও দুঃসাহসিকতার কথা শুনলে থর থর করে কেঁপে উঠত। রাষ্ট্রের নানা ক্ষেত্রে তাঁর অসামান্য উন্নয়ন, কীর্তি এবং অবিস্মরণীয় অবদানের জন্য ইসলামী ইতিহাসে খলিফা হারুনুর রশীদ ও তাঁর পুত্র মামুনুর রশীদের যুগকে বলা হয় ‘সোনালি যুগ’। ইসলামের নানা দিকের ব্যাপক উন্নতি সাধিত হয় এ যুগে।
খলিফা হারুনের সৌভাগ্য হয়েছিল, রাষ্ট্র শাসনে তিনি বার্মাকি বংশের অসাধারণ যোগ্যতাসম্পন্ন ও প্রতিভাশালী শাসকদের পেয়েছিলেন, যারা শিক্ষাদীক্ষা, প্রশাসন, অর্থনৈতিক উন্নয়ন, সংস্কার এবং জ্ঞানবিজ্ঞান চর্চার এক নতুন দ্বার খুলে দিয়েছিল। অভাব ও দারিদ্র্যমুক্ত এক সমৃদ্ধ সমাজ গঠনে তাদের অসাধারণ অবদান ছিল। তাদের ওপর খলিফা সম্পূর্ণ নির্ভরশীল হয়ে সকল ক্ষমতা তাদের ওপর অর্পণ করলেও প্রকৃত লাগাম তাঁর হাতেই ছিল। প্রয়োজনে তিনি তা টেনে ধরতেন। বার্মাকিদের প্রভাব প্রতিপত্তি খর্ব করতেও তিনি কুণ্ঠিত হননি। তাদের পতনের পেছনে খলিফার অসীম ক্ষমতা ও প্রভাব লক্ষ করা যায়।
খলিফা হরুনের জীবন নিয়ে ঐতিহাসিকগণ বহু কিছু লিখেছেন। তাঁর চারিত্রিক গুণাবলী সম্পর্কেও বহু গুরুত্বপূর্ণ মতামত রয়েছে। বলা হয়, তিনি ছিলেন একজন বীর ও বিক্রমশালী ব্যক্তিত্ব, দুঃসাহসী বাহাদুর। তিনি কয়েক মাস, কয়েক বছর ঘোড়ার পিঠে কাটিয়ে দিতেন। ধর্মীয় ও আধ্যাত্মিক দিক থেকে হারুনুর রশীদকে বলা হয়, তিনি ছিলেন সূফীগণের মধ্যে অতি উচ্চ মানের সূফী, ফকীহগণের মধ্যে অতি উচ্চ স্তরের ফকীহ এবং মোহাদ্দেসগণের মধ্যে সর্বোচ্চ স্থানের অধিকারী। তিনি ভিন্ন মাজহাবের অনুসারীদের সাথে উত্তম আচরণ ও সদ্ব্যবহার করতেন, কিন্তু ‘মোলহেদ’দের (নাস্তিক) শত্রু ছিলেন।
খলিফা হারুনুর রশীদ নারী সমাজের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করতেন। প্রতিদিন একশ রাকাত নফল নামাজ পড়তেন। তিনি দৈনিক এক হাজার দেরহাম খয়রাত করতেন। প্রায় প্রতি বছরই হজ্জ করতেন এবং একশ আলেম ও ফকীহকে সঙ্গে নিয়ে যেতেন। আর যে বছর তিনি হজ্জে যেতে পারতেন না, সে বছর তিনশ লোককে নগদ অর্থ সামগ্রী প্রদান করে হজ্জে প্রেরণ করতেন। খলিফা হারুনুর রশীদ ছিলেন খাঁটি রসূল প্রেমিক। হুজুর (সা.) এর পবিত্র নাম শ্রবণকরা মাত্র তিনি বলে উঠতেন ‘সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আলা সাইয়িদি’। একবার বিখ্যাত মোহাদ্দেস আবু মোআবিয়া কোনো হাদীস বর্ণনা করেন। এতে কোনো এক ব্যক্তি প্রশ্ন করে। খলিফা হারুনুর রশীদ ভীষণ রাগান্বিত হয়ে তৎক্ষণাৎ তরবারি তলব করেন এবং আবু মোআবিয়া অতি কষ্টে খলিফাকে নিবৃত করেন।
খলিফা হারুনুর রশীদ আলেম ও ছালেহগণের সং¯্রবে থাকাটা নিজের সৌভাগ্য মনে করতেন এবং এতে গর্ব বোধ করতেন। হজরত সুফিয়ান সওরী, ফোযাইল ইবনে আয়ায এবং ইবনে সাম্মাকের প্রতি বিশেষ ভক্তি প্রদর্শন করতেন এবং তাদের উপদেশ শ্রবণ করে অভিভ‚ত হতেন। হজরত ফোযাইল ইবনে আয়ায হারুন সম্পর্কে বলতেন, ‘লোকেরা এই ব্যক্তিকে অপছন্দ করে, কিন্তু আমার নিকট তিনি অতি প্রিয়।’
খলিফা হারুনুর রশীদের যুগে সাম্রাজ্য বিস্তার তথা বিজয় মালা এক গুরুত্বপূর্ণ স্থান দখল করে আছে। তার আমলে বিশেষভাবে রোমানদের সাথে বহু লড়াই সংঘটিত হয়। কোনো কোনো অভিযানে তিনি স্ব-শরীরে অংশ গ্রহণ করেন এবং কোনো কোনো অভিযানে তাঁর বংশের বিশিষ্টজনদের নেতৃত্বে বাহিনী প্রেরণ করেন। রোমান রাষ্ট্রগুলোতে প্রায় প্রতি বছরই সেনা হামলা চলত। হিজরি ১৮১ সালে খোদ খলিফা হারুনুর রশীদ ‘ছাফ ছাফ’ দুর্গ জয় করেন এবং একই বছর আবদুল মালেক ইবনে ছালেহ এশিয়া মাইনরে আংকারা পর্যন্ত অগ্রসর হন এবং ‘মাতমূরা’ জয় করেন। হিজরি ১৮৭ সালে কাসেম ইবনে রশীদ ‘কাররা’ অবরোধ করেন এবং আব্বাস ইবনে জাফর ‘সেনান’ দুর্গ অবরোধ করেন, সেখানকার অধিবাসীরা অবরোধে ভীত, বিচলিত হয়ে তাদের হাতে বন্দি তিনশ কুড়ি জন মুসলমানকে ছেড়ে দিয়ে সন্ধি করে।
খলিফা হারুনুর রশীদের আমলের সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা হচ্ছে, কুসতুনতিনিয়ার রাজা ‘নাকফুরে’র হুমকিমূলক পত্রের অপর পৃষ্ঠায় তাকে ‘রূমী কুকুর’ ও ‘কাফের মায়ের বাচ্চা’ আখ্যায়িত করে জবাব প্রেরণ করা। উল্লেখ্য, খলিফা হারুনুর রশীদের আমলে বাইজেনটাইন রাষ্ট্রের ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত ছিলেন রাণী ইরিনা (৭৯৭-৮০২)। তার স্বামী লাওনের মৃত্যুর পর তারই উপদেশ অনুযায়ী পুত্র কুসতুনতিনের স্থলে ইরিনা রাণী হিসেবে সিংহাসন লাভ করেন এবং বাগদাদের খলিফা হারুনুর রশীদকে ‘জিযিয়া’ প্রদান করতে থাকেন। ৮০২ সালে রোমানরা তাকে ক্ষমতাচ্যুত করে এবং নাকফুর (নেসিফোরাস) কে ক্ষমতায় বসায়। ৮০২ থেকে ৮১১ সাল পর্যন্ত সে ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত ছিল। নতুন রূমী স¤্রাট হিসেবে নাকফুর ৮০২ সালে ক্ষমতাসীন হয়েই খলিফা হারুনুর রশীদের নামে দাম্ভিকতায় পূর্ণ একখানা পত্র প্রেরণ করে। পত্র খানা ছিল এইরূপ:
রূমক সম্রাট নেসিফোরাসের পক্ষ হতে আরবের বাদশাহ হারুনুর রশীদের নামে- ‘জেনে রাখা উচিত, আমার পূর্বে এখানে যিনি ক্ষমতাসীন ছিলেন, তিনি নিজেকে দুর্বল ও তোমাকে খুবই ক্ষমতাশালী মনে করতেন। তাই তোমাকে তিনি জিযিয়া প্রদান করতেন। অথচ এ ধরনের খেরাজ তোমারই প্রদান করা উচিত। যেহেতু তিনি নারী ছিলেন এবং তোমাকে খেরাজ প্রদান করাটা তার দুর্বলতা ও বোকামি ছিল। তাই তোমাকে বলা হচ্ছে, তুমি এ যাবত রূম সাম্রাজ্য হতে যে পরিমাণ খেরাজ উসূল করেছ, তার সমুদয় এবং তাছাড়া আরো অর্থ নিজের এ অপরাধের ক্ষমার বিনিময়ে দিতে হবে। এসব কিছু আমার নিকট প্রেরণ কর। তা না হলে আমার ও তোমার মধ্যে তরবারি চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত করবে।’
খলিফা হারুনুর রশীদ চিঠিখানা পাঠ করে দারুণভাবে বিক্ষুব্ধ ও উত্তেজিত হয়ে পড়েন, তার চেহারা লাল হয়ে যায়, কারও তার সামনে আসার সাহস হলো না। তিনি নিজ হস্তে নেসিফোরাসের পত্রের অপর পৃষ্ঠায় লিখলেন:
‘কাদ কারাতু কিতাবাকা ইয়া ইবনাল কাফেরাহ, ওয়াল জাওয়াবু মা তারাহু, দূনা মা তাসমাউহু’ অর্থাৎ ‘হে কাফের মহিলার বাচ্চা! তোমার পত্র আমি পড়েছি, পত্রের জবাব দেখবে, শ্রবণের প্রয়োজন নেই।’
জবাব প্রেরণ করে তৎক্ষণাৎ খলিফা সেনাবাহিনীকে যাত্রা করার নির্দেশ প্রদান করেন এবং এশিয়া মাইনরে হামলা করে সৈন্যরা ‘হিরাক্লা’ জয় করে বহু জনপদ ধ্বংস করে। নেসিফোরাস মোকাবিলায় অক্ষম হয়ে খেরাজ প্রদান করত সন্ধি করে। এটি ছিল শীতকাল, মুসলমানগণ এশিয়া মাইনরে সে শীত সহ্য করতে পারতেন না, তাই খলিফা হারুনুর রশীদের প্রত্যাবর্তনের সাথে সাথে নেসিফোরাস চুক্তি ভঙ্গ করে। প্রত্যাবর্তনের পথেই হারুন এ খবর পেয়ে যান। তিনি সেখান থেকে আবার উল্টো যাত্রা করেন। তিনি একই দিন সৈন্যবাহিনীসহ ইউনান (গ্রীক) এর দিকে যাত্রা করেন এবং হিরাক্লি শহর (হিরাক্লা) জয় করে তা জ¦ালিয়ে পুড়িয়ে ধ্বংস করে দেন। অতঃপর ইউনানের বহু এলাকা জয় করেন। নেসিফোরাস তখন তার এক এলাকার বিদ্রোহী দমন করতে ব্যস্ত ছিল, খবর পেয়ে সন্ধির জন্য অনুরোধ জানাতে বাধ্য হয়। শেষ পর্যন্ত সন্ধি করতে খলিফা এই শর্তে রাজি হন যে, সে প্রত্যেক ৬ মাসে খেরাজ প্রদানে বাধ্য থাকবে, কিন্তু খলিফা হারুনুর রশীদ যখন চুক্তি করে প্রত্যাবর্তন করে ‘রিক্কা’তে পৌঁছেন তখন নেসিফোরাস পুনরায় হিরাক্লা জয় করে নেয় এবং মনে করে যে, বর্তমানে তীব্র শীত, তাই হারুন বাহিনী প্রত্যাবর্তন করে তার দেশে হামলা করতে পারবে না, তাই সে চুক্তি ভঙ্গ করে।
এ তথ্য যখন রিক্কায় পৌঁছে তখন তা খলিফাকে জানানোর মতো সাহস কারও ছিল না। কেননা এ কঠিন শীতের মওসুমে খলিফা খবরদাতাকে যুদ্ধে প্রেরণ করতে পারেন এ আশঙ্কা ছিল অনেকের। অবশেষে এক কবি কয়েকটি কবিতার মাধ্যমে খলিফাকে জানান দেন যার মর্ম ছিল;
‘আমিরুল মোমেনীনের সাথে সম্পাদিত চুক্তি নেসিফোরাস ভঙ্গ করেছে। কিন্তু আশার কথা, এ চুক্তি ভঙ্গ দ্বারা সেই ধ্বংস হবে। খলিফকে এই সুসংবাদ প্রদান করা উচিত। আল্লাহ তাআলা আপনাকে এক মহাবিজয় দান করবেন এবং তা হবে এমন বিজয় যা আমাদের যুগের সকল বিজয় হতে অধিক শান-শওকতের অধিকারী।’ কবিতার মাধ্যমে খালিফা এ অবস্থা জানার পর তিনি জিজ্ঞাসা করলেন, ‘নেসিফোরাস চুক্তি ভঙ্গ করেছে?’
তিনি উজিরদের প্রতি নারাজ হলেন, কেন তারা খবরটি না জানিয়ে তাকে অন্ধকারে রাখলেন। তিনি তৎক্ষণাৎ ‘ইউনান’ সীমান্তের দিকে যাত্রা করেন। তীব্র শীতের দরুন মুসলমানদের কঠিন বিপদের সম্মুখীন হতে হয়। কিন্তু খলিফা হারুনুর রশীদ নেসিফোরাসকে শোচনীয়ভাবে পরাজিত করেন। ইউনানের চল্লিশ হাজার সৈন্য যুদ্ধে নিহত হয়। এরপর খলিফা হারুনুর রশীদ একটার পর একটা ইউনানী (রোমান) এলাকা অধিকার করতে থাকেন। সবশেষে নেসিফোরাস অত্যন্ত বিনয়ের সাথে শর্তাবলী মেনে নিতে বাধ্য হয় এবং চুক্তি করে পরিবারবর্গসহ আত্মরক্ষা করে।
রোমান সম্রাট নেসিফোরাসকে ‘কুকুর’ আখ্যায়িত করে খলিফা হারুনুর রশীদ তার অসৌজন্যমূলক পত্রের যে জবাব দিয়েছিলেন, তার সে সামারিক বিজয় অভিযানের বিবরণ আমরা ওপরে তুলে ধরেছি। এ প্রতিশোধ গ্রহণকারী খলিফা ঐ রোমান স¤্রাটের প্রতি কি উদার আচরণ করেছিলেন তারও এক অভিনব উদাহরণ রয়েছে, সে ঐতিহাসিক ঘটনাটি নিম্নরুপ:
খলিফা হারুনুর রশীদ ছিলেন ইসলাম প্রিয়, সাহিত্যপ্রেমিক এবং কুতুবখানার (গ্রন্থাগার) প্রতি আসক্ত। তাছাড়া তিনি জ্ঞান-বিজ্ঞান, শিল্প-সংস্কৃতির প্রতি ছিলেন অতি উৎসাহী, আগ্রহী এবং দুর্লভ ও দুস্প্রাপ্য গ্রন্থাবলী সংগ্রহ করতে তিনি বিশিষ্ট স্থানের অধিকারী ছিলেন। স্মরণীয় ঘটনাটি হচ্ছে এই যে, রোমান সম্রাট নেসিফোরাসকে বিভিন্ন যুদ্ধে পরাজিত করে তার বিরাট ভ‚খন্ড খলিফা হারুনুর রশীদের অধিকারে এসে যায়। এরপর তিনি নেসিফোরাসের নামে প্রেরিত এক পত্রে লিখেন:
‘আমি তোমার সা¤্রাজ্যের এক বিশাল এলাকা জয় করেছি, এখন তা আমার মালিকানায় এবং আমার অধিকার। কিন্তু তুমি যদি প্রতিশ্রুতি দান কর যে, তোমার সা¤্রাজ্যে সাহিত্য ও বিজ্ঞান বিষয়ক যতগুলো গ্রন্থ রয়েছে সেগুলোর নকল (কপি) আমাকে প্রদান করবে, তা হলে আমি সন্তুষ্ট চিত্তে বিজিত এলাকাগুলো তোমাকে ফেরত দেব।’
রোমান শাসক আনন্দের সাথে খলিফার প্রস্তাব গ্রহণ করেন। খলিফা অধিকৃত সকল এলাকা ফেরত দেওয়ার জন্য এবং রোমান সাম্রাজ্যের সকল লাইব্রেরিতে বিদ্যমান সাহিত্য ও বিজ্ঞান সংক্রান্ত সকল গ্রন্থ নকল করার জন্য মুসলমান আলেমদের প্রেরণ করেন। শাহজাদা আল মামুনও ছিলেন বড় আলেম, তার শাসনামলে তিনিও রোমান সা¤্রাজ্যের লাইব্রেরিগুলোর কিতাবসমূহ নকলের কাজ অব্যাহত রাখেন।
শত্রু দমনে খলিফা হারুন ছিলেন যেমন আপোসহীন, কঠোর, তেমনি কোনো কোনো সময় তাঁর উদারতা ও ক্ষমাশীলতায় শত্রু অবাক হতো। বর্ণিত ঘটনাটিতে তার চরিত্রের এই বিশেষ দিকটি ফুটে উঠে।
খলিফা হারুনুর রশীদ ২২ মার্চ ৮০৯ খ্রিস্টাব্দ, মোতাবেক ৩ জমাদিউস সানি ১৯৩ হিজরি সালে ‘ত‚স’ নামক স্থানে ইন্তেকাল করেন এবং সেখানেই তাকে সমাহিত করা হয়।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: খলিফা হারুনুর রশীদ
আরও পড়ুন