বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
অবশেষে যশোর শহরের বুক চিরে বয়ে যাওয়া ভৈরব নদপাড়ের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ শুরু হয়েছে। এতে অবিভক্ত বাংলার প্রথম জেলা যশোর শহরের প্রাণকেন্দ্র দড়াটানার অর্ধশত বছরের জঞ্জাল পরিস্কার হচ্ছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল থেকে উচ্ছেদ অভিযানে দোকানপাট ভাঙচুর হলে হাজার হাজার উৎসুক জনতা ভিড় জমায়। দীর্ঘকাল পৈত্রিক সম্পত্তির মতো ভোগদখল করে আসছিল দখলকারীরা। দখলদাররা প্রভাবশালী হওয়ায় বছরের পর বছর ধরে বারবার লাল নোটিশ ইস্যু আর বারবার থেমে যাওয়ার মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল উচ্ছেদ অভিযান। যার কারণে যশোরবাসী উচ্ছেদ হবে এমনটি বিশ্বাস করতে পারছিল না। শেষপর্যন্ত উচ্চ আদালতের নির্দেশ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রতিশ্রুত ২শ’৭২ কোটি টাকা ব্যয়ে নদ খনন প্রকল্প শুরু হওয়ায় বাধ্য হয়ে প্রশাসন অনেক গড়িমসির পর উচ্ছেদ শুরু করেছে।
জেলা প্রশাসন ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের যৌথ জরিপে ১শ’১৮টি অবৈধ স্থাপনা প্রাথমিকভাবে চিহ্নিত করা হয়েছে। সূত্র জানায়, আরো প্রায় শতাধিক অবৈধ স্থাপনা রয়েছে শুধুমাত্র শহরের দড়াটানা অংশে। পর্যায়ক্রমে সেগুলো পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে উচ্ছেদ হবে বলে জানিয়েছেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী প্রবীর কুমার গোস্বামী। যশোর শহরের ভৈরব নদপাড়ের লেপ তোষক বিক্রেতা কামরুল ইসলাম বলেছেন, ‘আমাদের ক্ষুদে দোকানীদের উচ্ছেদ হলো। বড় বড় বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান উচ্ছেদ হয় কিনা দেখবো’। তার মতো অনেকেই সংশয় প্রকাশ করেছেন, বড় বড় অট্টালিকা উচ্ছেদ নিয়ে। বরাবরের মতো ভুল মাপযোগ করে পাশ কাটিয়ে যাওয়া হবে কিনা এমন প্রশ্নও রয়েছে। অভিযোগ, দৃশ্যত নদের জমি দখল করে বড় বড় অট্টালিকা তৈরী হয়েছে। নদপাড়ের এক শতক জমি ৯৯ বছরের লীজ নিয়ে সেখানে ১০/১৫ শতক পর্যন্ত জমি ভোগ দখল করে আসছে দখলদাররা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।