নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
ইউরো বাছাইয়ে টানা জয় পেয়েছে দুই ফেভারিট দল ইতালি ও স্পেন। ঘরের মাঠে লিখটেনস্টেইনের জালে রিতিমত গোল উৎসব করে ইতালি। আলভারো মোরাতার জোড়া গোলে মাল্টার মাঠ থেকে জয় নিয়ে ফিরে স্পেনও। কিন্তু ডেনমার্কের বিপক্ষে ঘরের মাঠে তিন গোলে এগিয়ে থেকেও শেষ ছয় মিনিটে তিন গোল খেয়ে নাটকীয় ড্রয়ের হতাশা নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয়েছে সুইজারল্যান্ডকে।
পরশু ‘জে’ গ্রুপের ম্যাচে ঘরের মাঠে দশ জনের লিখটেনস্টেইনকে ৬-০ গোলে উড়িয়ে দেয় ইতালি। নয় বছর পর জাতীয় দলে ফিরে সবচেয়ে বেশি বয়সী ইতালিয়ান হিসেবে এদিন গোল করেন কুয়াগলিয়ারেল্লা। ২০০৮ সালে ৩৫ বছর ৬২ দিন বয়সে গোল করে এতদিন এই তালিকার শীর্ষে ছিলেন ক্রিশ্চিয়ান পানুচ্ছি। এদিন দুই গোল করে তার রেকর্ড ভেঙ্গে দেন ৩৬ বছর বসয়ী কুয়াগলিয়ারেল্লা, দুটিই পেনাল্টি থেকে।
ইতালির হয়ে ২৭টি আন্তর্জাতিক ম্যাচে নবম গোল করার পর অভিজ্ঞ এই ফরোয়ার্ড বলেন, ‘আমি আমার বয়স নিয়ে কখনই চিন্তা করিনা। এখনো আমি নিজেকে বেশ ফিট মনে করি। আজকের রাতটা দারুন ছিল। এতদিন পর জাতীয় দলের জার্সি গায়ে মাঠে নামার অনুভূতি সত্যিই বিশেষ কিছু। আমি সতীর্থদের ধন্যবাদ জানাতে চাই। ঐ দুই গোলের পর তারা আমাকে দারুনভাবে উৎসাহিত করেছে। একইসাথে আমি জর্জিনহো ও লিওনার্দো বনুচ্চিকেও বিশেষ ধন্যবাদ জানাতে চাই। কারন তারাই পেনাল্টি আদায় করেছিল এবং দুজনেই আমাকে কিক নিতে বলেছিল।’
২০০৭ সালের মার্চে কুয়াগলিয়ারেল্লা আন্তর্জাতিক ম্যাচে প্রথমবারের মত মূল একাদশে সুযোগ পান। ২০১০ সালের জুনে খেলেছিলেন সর্বশেষ ম্যাচ। কোচ রবার্তো মানচিনির দলে আবারও ডাক পেলেন তিনি। এ ব্যাপারে ইতালিয়ান কোচের মন্তব্য, ‘কুয়াগলিয়ারেল্লার জাতীয় দলে ডাক পাওয়াটা ছিল সময়ের ব্যপার। কারন এবারের মৌসুমে সিরি-এ লিগে সেই সর্বোচ্চ গোলদাতা।’
প্রথমার্ধে তার পাশাপাশি মানচিনির দলের হয়ে একটি করে গোল করেন সেনসি ও ভেরাত্তি। প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে সরাসরি লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন লিখটেনস্টেইনের খেলোয়াড় কাফমান। দ্বিতীয়ার্ধে দশজনের সফরকারী দলের জালে আরো দুইবার বল পাঠান কিন ও অভিষিক্ত পাভোলেত্তি। দুই ম্যাচে শতভাগ জয়ে ৬ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপের শীর্ষে ইতালি। সমান ম্যাচে ৪ পয়েন্ট করে গ্রীস ও বসনিয়া অ্যান্ড হার্জেগোভিনার। গোল ব্যবধানে এগিয়ে দুইয়ে গ্রীস।
‘এফ’ গ্রুপে মাল্টাকে তাদের মাঠে ২-০ গোলে হারায় স্পেন। দুই অর্ধে গোল দুটি করেন আলভারো মোরাতা। পারিবারিক কারণে এই ম্যাচে স্পেনের ডাগ আউটে ছিলেন না কোচ লুইস এনরিকে। পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালানোর জন্য একাদশে ছিল বেশ কিছু পরিবর্তন। যে কারণে ফিফা র্যাঙ্কিংয়ের ১৭৩ নম্বর দলের বিপক্ষে গোলের দেখা পেতে বেগ পেতে হয়েছে তিনবারের ইউরো চ্যাম্পিয়নদের। স্পেনের হয়ে সর্বোচ্চ ম্যাচ জয়ে এদিন ইকার ক্যাসিয়াসের রেকর্ড (১২১ ম্যাচ) স্পর্শ করেন দলপতি সার্জিও রামোস। দুই ম্যাচ থেকে পূর্ণ ৬ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপের শীর্ষে স্পেন। নরওয়ের মাঠে ৩-৩ ড্র করা সুইডেনের পয়েন্ট ৪। ৩ পয়েন্ট নিয়ে তিনে রোমানিয়া।
রাতের সবচেয়ে নাটকীয় ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয় সুইজারল্যান্ডে। ঘরের মাঠে ৮৪ মিনিট পর্যন্তও ফ্রুয়েলার, জাকা ও এম্বোলোর গোলে ৩-০ ব্যবধানে এগিয়ে ছিল সুইসরা। কিন্তু বাকি সময়ে তিন গোল করে স্কোরলাইনে ৩-৩ সমতা আনে সফরকারী ডেনমার্ক।
জর্জিয়াকে ১-০ গোলে হারানো রিপাবলিক অব আয়ারল্যান্ড দুই ম্যাচ থেকে পূর্ণ ৬ পয়েন্ট নিয়ে ‘ডি’ গ্রুপের শীর্ষে। একটি করে জয় ও ড্রয়ে ৪ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে সুইজারল্যান্ড।
ইউরো বাছাইয়ের ফল
ইতালি ৬ : ০ লিখটেনস্টেইন
রিপাবলিক অব আয়ারল্যান্ড ১ : ০ জর্জিয়া
সুইজারল্যান্ড ৩ : ৩ ডেনমার্ক
মাল্টা ০ : ২ স্পেন
নরওয়ে ৩ : ৩ সুইডেন
আর্মেনিয়া ০ : ২ ফিনল্যান্ড
বসনিয়া অ্যান্ড হার্জেগোভিনা ২ : ২ গ্রীস
রোমানিয়া ৪ : ১ ফারো আইল্যান্ড
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।