বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
কয়েকদিনের বিরতীর পর দখলদারদের থাবামুক্ত করতে তুরাগ নদের দুই তীরে আবারও উচ্ছেদ অভিযান চালাচ্ছে বিআইডব্লিউটিএ।
সোমবার সকাল থেকে ঢাকার সাভারে কাউন্দিয়ার, বড় দিয়াবাড়ি এলাকার তুরাগ নদের অংশে উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়। এসময় গুড়িয়ে দেয়া হয় অবৈধ কয়েটি বহুতল স্থাপনা।
বিআইডব্লিউটিএ’র নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মোস্তাফিজুর রহমান ও যুগ্ম পরিচালক আরিফ উদ্দিনের নেতৃত্বে সকাল পৌনে ১০টা থেকে বিকাল চারটা পর্যন্ত মিরপুরের বড় দিয়াবাড়ি ঘাট থেকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের মাধ্যমে ফের এ অভিযান শুরু করেছে বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষ। তুরাগ তীরে দিয়াবাড়ি ঘাটে বেশ কয়কটি অবৈধ স্থাপনা গুড়িয়ে দিয়েছে তারা।
বিআইডব্লিউটিএ’র যুগ্ম পরিচালক আরিফ হাসানাত জানান, ২২তম দিনের অভিযানে চারতলা পাকা ভবন একটি, তিনতলা চারটি, দোতলা সাতটি, একতলা ১৩টিসহ ২৫টি পাকা ভবন উচ্ছেদ করা হয়েছে। পাশাপাশি আধা পাকা ভবন আটটি, টিনের ঘর ২৩টিসহ ৫৬টি স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়।
রাজধানীর আশপাশের ৫০ কিলোমিটার নদী অবৈধ দখল মুক্তকরনের লক্ষ মাত্রায় পৌছানো পর্যন্ত অভিযানের ধারাবাহিকতার অংশ হিসেবে এ অভিযান চলবেই। ইতিমধ্যে ঢাকার আশপাশের বুড়িগঙ্গা ও তুরাগ নদীর সদরঘাট, বসিলা, আমিনবাজার, গাবতলী, বড়বাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে বিপুল সংখ্যক স্থায়ী-অস্থায়ী স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে।
এরআগে গত বুধবার অভিযান চালাতে গিয়ে বাধার মুখে পড়েছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডাব্লিউটিএ)। স্থানীয় প্রভাবশালীরা এক কর্মকর্তাকে লাঞ্ছিতও করেছে। এ সময় কাউন্দিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আতিকুল ইসলাম শান্তকে আটক করা হয়। পরে তিনি ক্ষমা চেয়ে ছাড়া পান।
রাজধানীর কোল ঘেঁঘে বয়ে চলা তুরাগের পানিপ্রবাহ যেমন দূষিত হয়ে কালো রং নিয়েছে, ঠিক তেমনি দখলদারদের কালো থাবায় দুই পাশের তীর এখন দখলদারের থাবার মুখে রয়েছে। তারা তীর দখল করে নির্মাণ করেছে বসতবাড়ি, বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান। কিছু অংশে চলছে নতুন আবাসন গড়ার ভরাটকাজ।
কাউন্দিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আতিকুর রহমান খান শান্ত নদীর জায়গা দখল করে সড়ক তৈরি করেছে। বালু ভরাট করে বিশাল এলাকা নিজের কবজায় রেখেছেন।
বিআইডাব্লিউটিএর যুগ্ম পরিচালক আরিফ হাসানাত বলেন, ইউপি চেয়ারম্যান শান্ত বিশাল এলাকায় বালু ভরাট করেছেন। সেখানে ঈদগাহ ও মসজিদ বানাবেন বলে দাবি করেন। সাত-আট মাস আগে একবার অভিযানে বাধা দিলে তাঁকে আটক করা হয়। তখন মুচলেকায় ছাড়া পান। গত বুধবারের অভিযানেও আবারও তিনি বাধা দিতে এসে এক কর্মকর্তার গায়ে হাত তুলেছেন। এ ধরনের ঘটনায় আরো কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে। যত বাধাই আসুক অভিযান চলবে।
তিনি বলেন, গতকালের (সোমবার) অভিযান শান্তিপূর্নভাবে করা হয়েছে। কোন বাধার মুখে পরতে হয়নি।
অভিযানকালে বড় দিয়াবাড়ি এলাকায় তরুগ নদীর তীরে চার তলা, তিনতলা ভবনসহ ৩টি আবাসিক ভবন উচ্ছেদ করতে বাধা না এলেও ভবনটি এমনভাবে নির্মাণ করা যা তড়িঘড়ি উচ্ছেদ করতে গেলে দুর্ঘটনার ঝুঁকি ছিল। এভাবে তুরাগের দুই পাশেই রয়েছে দখলদারদের কালো থাবার নিশানা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।