পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী শিক্ষার্থী রবিউল ইসলামের ওপর হামলার বিচারের দাবিতে ফের আন্দোলনে নেমেছে প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীরা। গতকাল রোববার দুপুরে দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী রবিউল ইসলামসহ প্রায় ২৫জন দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী শিক্ষার্থী অংশ নেয়। মিছিল শেষে বিশ^বিদ্যালয় কলাভবনের সামনে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে হামলাকারীদের শাস্তি দাবি করা হয়।
বিক্ষোভকারীরা জানান, গত সপ্তাহের মঙ্গলবার বিশ^বিদ্যালয়ের মাস্টার-দ্যা সূর্যসেন হলের তিনতলার করিডরে রবিউলের উপর হামলা চালায় এক দুর্বৃত্ত। এসময় তিনি কেন ডাকসুর পুনর্নিবাচনের দাবিতে অনশন করেছিল তা জানতে চেয়ে রবিউলকে মারধর এবং গালিগালাজ করা হয়। রবিউল অন্ধ হওয়ায় হামলাকারীকে চিনতে পারেনি। আহত অবস্থায় রবিউলকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়া হয়। চিকিৎসা শেষে তাকে হলে নিয়ে আসা হয়। বিক্ষোভকারীদের মধ্যে বাংলা বিভাগের চতুর্থ বর্ষের দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী শিক্ষার্থী আমজাদ বলেন, দখলদারের সময়ে প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীরাও নিরাপদ নয়। তিনি ওই হামলাকারীকে সনাক্ত করে তার বিচার দাবি করেন। ভুক্তোভূগী রবিউল ডাকসুর সমাজসেবা সম্পাদক পদে স্বতন্ত্রভাবে প্রতিদ্ব›দ্বীতা করছিলেন। নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগ এনে পুনর্নিাবচনের দাবিতে গত ১৪ই মার্চ অনশনে যোগ দেন তিনি। তিনি মাস্টার দা সূর্যসেন হলের আবাসিক ছাত্র।
সমাবেশে আরো উপস্থিত ছিলেন, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক প্রগতি বর্মণ তমা। সমাবেশে রবিউলের ওপর হামলার সুবিচার না হলে রাজপথ ছাড়বেন না বলে হুঁশিয়ারি দেন প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীরা। এ সময় শিক্ষার্থীদের হাতে ‘হামলার দায় প্রশাসন এড়াতে পারে না’, ‘রবিউলের ওপর হামলার বিচার চাই’, ‘হামলায় জড়িতদের অবিলম্বে শাস্তি চিহ্নিত কর’, ‘অবিলম্বে সন্ত্রাসীদের শাস্তি নিশ্চিত কর’ ইত্যাদি প্ল্যাকার্ড বহন করতে দেখা গেছে। সমাবেশে দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী শিক্ষার্থী ইব্রাহিম খলীল বলেন, সূর্যসেন হলে রবিউলের ওপর হামলার পরপরই সূর্যসেন হল প্রাধ্যক্ষ এবং বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দকে আমরা বিষয়টি অবহিত করেছি। তখন প্রাধ্যক্ষ আমাদেরকে লিখিত আকারে অভিযোগ দিতে বললেন। কিন্তু আমরা লিখিত অভিযোগ নিয়ে গেলে তিনি বলেন, অভিযোগ লাগবে না। কিন্তু পাঁচ দিন অতিবাহিত হয়ে গেলেও হামলার বিচারে আমরা ফলপ্রসু কিছু দেখছি না। বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য বিষয়কে যেভাবে অবহেলার দৃষ্টিতে দেখা হয়, রবিউলের ওপর হামলাকেও সে একইভাবে দেখে এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। আমরা স্পষ্ট বলে দিতে চাই, সুবিচার না পেলে আমরা প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীরা রাজপথে থাকবো, রাজপথ ছাড়বো না।
এ বিষয়ে হল হল প্রভোস্ট ও বিশ^বিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রফেসর ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল বলেন, আমরা ঘটনার পরপরই হলের আবাসিক শিক্ষক অধ্যাপক ড. মোমেনের নেতৃত্বে তিন সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছিলাম। আজ আমি আবার খোজ নিব। আসলে ভুক্তোভুগী যদি কোন ক্লু দিতে না পারে তবে অভিযুক্তকে খুজে বের করা অনেক কঠিন। তারপরেও আমি বিষয়টি দেখছি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।