যেভাবে মাছ ভাজলে ভেঙে যাবে না
বাঙালির প্রতিদিনের খাবারে মাছ তো থাকেই। এটি সব খাবারের মধ্যে পুষ্টির অন্যতম উৎস। তাড়াহুড়ো করে
ইংরেজি নাম জিনজার। আদা শুধু মসলাই নয়, বিভিন্ন ওষুধের উপকরণ হিসেবেও ব্যবহার হয়। আদায় ২৫টিরও বেশি উদ্বায়ন তেল থাকে। আদার রাইজোমে তিক্ত স্বাদের ‘অলিও রেজিন’ ও কিছু উদ্বায়ী তেল থাকে। ব্যবহারের দিক দিয়ে আদার গুরুত্ব অনেক বেশি। গোশত রান্নায় এটি অপরিহার্য। খাবারে ঘ্রাণ ও ঝাঁজ আনার জন্য আদার প্রয়োজন সবচেয়ে বেশি। নানা প্রকার আচার, চাটনি, কেচাপ ও কেক তৈরিতে আদার ব্যবহার হয়। আদা চা একটি জনিপ্রয় ও উৎকৃষ্ট পানীয়। আদা বিভিন্ন খাদ্যের পচন রোধের জন্য ‘প্রিজারভেটিভ’ হিসেবেও ব্যবহার হয়। ওষুধ ও প্রসাধন সামগ্রী তৈরিতে আদার ব্যবহার হয়। কফের ওষুধ হিসেবে আদার ব্যবহার প্রচলিত আছে। পাহাড় এলাকায় চাকমা ও মারমা আদিবাসীরা আদার ফুল সবজি হিসেবে রান্না করে খায়।
আদার দুটো জাত রয়েছে। একটি হচ্ছে আম আদা। দ্বিতীয়টি জিনজিরার আফি। দ্বিতীয়টি আমরা বিভিন্ন তরকারিতে ব্যবহার করি। আম আদার ব্যবহার খুবই কম। শুধুমাত্র আচারে ব্যবহার করা হয়।
* অরুচিতে: খাওয়ার রুচি ফিরিয়ে আনতে সিকিকাপ পানিতে দুই চা চামচ পরিমাণ আদার রস ও সামান্য কিছুটা লবণ মিশিয়ে ৫-১০ মিনিট মুখে দিয়ে রাখুন। সাত-আট দিন ব্যবহার করুন রুচি ফিরে আসবে।
* অতিসারে : পাতলা এবং ঘন ঘন পায়খানা হচ্ছে। প্রথমে আমলকি বেটে নাভির চারদিকে পুরু করে প্রলেপ দিতে হবে। এরপর আদার রসে পাতলা কাপড় ভিজিয়ে আমলকির প্রলেপের ওপর চাপ দেয়া দরকার। আদার রসে ভেজানো কাপড় শুকিয়ে গেলে পুনরায় আদার রস ভিজিয়ে নিতে হবে। দ্রæত ফল লাভের জন্য এক চামচ পরিমাণ আদার রস অল্প ঠান্ডা পানিতে মিশিয়ে খাওয়াতে হবে। অতিসার রোগের এ চিকিৎসা অনেক দিনের পুরানো।
* পুরানো আমাশয় : বহুদিনের আমাশয়ে যারা ভুগছেন, কিছুতেই সারছে না, এক্ষেত্রে আদাকে শুকিয়ে গুঁড়ো করে ১ গ্রাম পরিমাণ গুঁড়ো হাল্কা গরম পানিতে মিশিয়ে খেতে হবে। তবে নিয়মিত খাওয়া দরকার। এতে আম পরিপাক হবে এবং আমাশয় কমে যাবে।
*দাঁতের মাড়ি ফুললে : দাঁতের গোড়ায় যন্ত্রণা এবং মাড়ি ফুলে গেলে, আধা কাপ হাল্কা গরম পানিতে ২ চামচ কাঁচা আদার রস মিশিয়ে দশ-পনের মিনিট মুখে রাখতে হবে। দিনে দুবার করে তিনদিন প্রয়োগ করলে মাড়ি ফুলা এবং যন্ত্রণা দুইই কমবে।
*হিক্কায় : পেটে বায়ু জমলে অনেক সময় সে বায়ু ওপরদিকে উঠে আসে। ফলে বুকে যন্ত্রণা বা অবিরাম হিক্কা হতে থাকে। আধা কাপ পরিমাণ ছাগলের দুধের সঙ্গে আধা চামচ আদার রস মিশিয়ে খেলে হিক্কা কমে যাবে।
* রক্তপাত বন্ধ করতে হলে : শরীরের কোথাও অনেকটা কেটে গেলে কিংবা রক্তপড়া বন্ধ হচ্ছে না, এ সময় খানিকটা শুকনো আদার গুঁড়ো নিয়ে কাটা স্থানে চেপে ধরলে রক্তপাত বন্ধ হবে এবং কাটা স্থানটি তাড়াতাড়ি জোড়া লাগতে সাহায্য করে।
* আমবাত : শরীরে চাকা চাকা দাগ হয় এবং লাল হয়ে ফুলে ওঠে। এক বছর আগে তৈরি ২ চামচ পরিমাণ আখের গুড়ের সাথে এক চামচ আদার রস মিশিয়ে খেলে আমবাত কমে যাবে। তবে ওষুধ খেয়েও পায়খানা পরিষ্কার না হলে আমবাত কমবে না। কাজেই একে নির্মূল করতে হলে পেট পরিষ্কার করার ওষুধ খাওয়া দরকার।
* সর্দিজ্বর : হঠাৎ সর্দি হয়েছে, নাক দিয়ে পানি পড়ছে কিংবা অল্প অল্প শীত করছে, জ্বর ভাব রয়েছে সেক্ষেত্রে ২ চামচ মধুর সাথে মাত্র ১ চামচ আদার রস মিশিয়ে দিনে দু’বার ২ দিন খেলে অবশ্যই উপকার পাওয়া যাবে।
* বসন্ত রোগে : বসন্তের গুটি বের হচ্ছে না, গুটি তাড়াতাড়ি বের হওয়া দরকার। এ অবস্থায় আদা খুবই ফলদায়ক। ১ চামচ কাঁচা আদার রসের সাথে সমপরিমাণ তুলসী পাতার রস মিশিয়ে খেলে গুটিগুলো তাড়াতাড়ি বেরিয়ে যাবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।