Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

প্রার্থী-সমর্থকদের সংঘর্ষে আহত ৬

তিনটি উপজেলা পরিষদে নির্বাচনী সরঞ্জাম সরবরাহ

শেরপুর জেলা সংবাদদাতা : | প্রকাশের সময় : ২৪ মার্চ, ২০১৯, ১২:০৯ এএম

নালিতাবাড়ী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে শুক্রবার রাতে নৌকার প্রার্থী মোশারফ হোসেনের সমর্থক ও বিদ্রোহী প্রার্থী মোকছেদুর রহমান লেবুর মোটরসাইকেলের সমর্থকদের মাঝে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এতে দুইপক্ষের ৬ জন আহত হয়েছে। ভাঙচুর করা হয়েছে ১২টি মোটরসাইকেল।
উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ ও দুই পক্ষের কর্মী-সমর্থকরা জানায়, দুপুরে রামচন্দ্রকুড়া ইউনিয়নের উত্তর কালাকুমায় মোটরসাইকেলের সমর্থক মো. জহুরুল হককে মোটরসাইকেলের কার্যালয় বন্ধ করতে এবং নির্বাচন করতে নিষেধ করেন নৌকা সমর্থকরা। এ সময় জহুরুল ও তার বোন জাহানারা বেগমের সাথে নৌকা সমর্থকদের বাক-বিতÐা হয়। বিকেলে ৫০-৬০জন নৌকার সমর্থক জহুরুলদের মোটরসাইকেলের কার্যালয়, দোকান ও বাড়ি-ঘর ভাংচুর করে। এসময় সবুজ মিয়া, জহুরুল ও জাহানারাকে মারধর করে নৌকা সমর্থকরা। খবর পেয়ে মোটরসাইকেলের প্রার্থী মোকছেদুর রহমান লেবু ও তার সমর্থকরা ওই এলাকায় সড়কে মোটরসাইকেল রেখে ঘটনাস্থলে যান। এসময় সড়কে রেখে যাওয়া ৮টি মোটরসাইকেল নৌকার সমর্থকরা ভাঙচুর করে। পরে এ নিয়ে দুই পক্ষের সমর্থকদের মাঝে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়। এতে নৌকার তিন সমর্থক কালাকুমা গ্রামের ফরহাদ আলী, কুদরত আলী ও হাফিজুর রহমান মারধরের শিকার হন।
নালিতাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল খায়ের বলেন, পুলিশ, বিজিবি ও র‌্যাবের উপস্থিতিতে কালাকুমা ও পৌর শহরের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। মারধরের ঘটনায় এখনো কোন মামলা করা হয়নি। ইউএনও ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা আরিফুর রহমান জানান, দুই পক্ষের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়েছে। এতে কালাকুমায় মোটরসাইকেলের ৮টি ও শহরের নৌকার পক্ষের ৪টি মোটরসাইকেল ভাংচুর করা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

অন্যদিকে, তৃতীয় ধাপের পঞ্চম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে শেরপুরের তিনটি উপজেলায় নির্বাচনী সরঞ্জাম সরবরাহ করা হয়েছে। গতকাল শনিবার দুপুরে শ্রীবরদী, ঝিনাইগাতী ও নালিতাবাড়ী উপজেলা নির্বাচন অফিস থেকে ব্যালট বাক্স ও ব্যালট পেপারসহ যাবতীয় মালামাল স্ব-স্ব কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসারের কাছে বিতরণ করা হয়। আইন শৃঙ্খলা বাহিনী ও কেন্দ্রে দায়িত্বরত লোকজন এসব মালামাল নিয়ে কেন্দ্রে যান।
জেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা যায়, শ্রীবরদী উপজেলায় ভোটার সংখ্যা ২ লাখ ৩শ ৯০ টি। কেন্দ্র সংখ্যা ৬৭টি। এখানে উপজেলা চেয়ারম্যান পদে ৮ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১০ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৩ জন প্রার্থী প্রতিন্দ্বিতা করছেন।
ঝিনাইগাতী উপজেলায় ভোটার সংখ্যা ১ লাখ ২৫ হাজার। ভোট কেন্দ্র ৫৩টি। উপজেলা চেয়ারম্যান পদে ৬ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৬ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিদ্বতা করছেন।
নালিতাবাড়ী উপজেলায় ভোটার সংখ্যা ১ লাখ ৯৭ হাজার ৬শ। কেন্দ্র সংখ্যা ৭৩টি। উপজেলা চেয়ারম্যানে পদে ৪জন ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৬জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৩ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
তিনটি উপজেলায় মোট ১শ ৯২টি কেন্দ্রকে ঝুকিপূর্ণ আর ৫০টি কেন্দ্র সাধারণ কেন্দ্র হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এসব কেন্দ্রে ১৮ জন ম্যাজিস্ট্রেট, ৭ প্লাটুন বিজিবি, কেন্দ্রে ৭শ ১৮জন পুলিশ, ২হাজার ৩শ ৪ জন আনসার, ৪৮ জন র‌্যাব সদস্য দায়িত্বে নিয়োজিত থাকবেন। এছাড়াও পুলিশের স্ট্রাইকিং ফোর্স তো থাকবেই।
জেলা নির্বাচন অফিসার মোহাম্মদ শুকুর মাহমুদ মিয়া সাংবাদিকদের জানান, নিরাপত্তার জন্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা সম্পন্ন। নির্বাচন সুষ্ঠু করতে সবধরনের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। নিরাপদে ভোট হবে। তিনি ভোটারদের নির্ভয়ে ভোট কেন্দ্রে আহ্বান জানান।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: সংঘর্ষ


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ