বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
বিবাহনিবন্ধন আইন পুরোপুরি কার্যকর করতে সবচেয়ে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে নোটারী পাবলিকের নিকট দেওয়া এফিডেভিট। প্রেমের সম্পর্কের জেরে অপ্রাপ্ত বয়স্ক কিশোর-কিশোরীরা পরিবারকে উপেক্ষা করে এফিডেভিট করে তাদের বিয়ের বৈধতা দাবী করছে। অনেকসময় এফিডেভিটের সূত্র ধরে অপ্রাপ্ত বয়স্কদের বিবাহ নিবন্ধনে নিবন্ধনকারীদেরকে চাপ দেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা। বুধবার বরিশালে অনুষ্ঠিত বিবাহ নিবন্ধকদের বিভাগীয় সম্মেলনে অংশগ্রহনকারী সব ধর্মের নিবন্ধনকারী, উন্নয়ন সংস্থার প্রতিনিধি ও প্রশাসনের কর্মকর্তারা উম্মুক্ত মতামতে এসব অভিযোগ করেন। বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে উন্নয়ন সংস্থা ইউনিসেফের সহযোগীতায় বরিশাল বিভাগীয় প্রশাসন শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ মিলনায়তনে এ সম্মেলনের আয়োজন করে।
বিভাগীয় কমিশনার রাম চন্দ্র দাস সম্মেলনে প্রধান অতিথি ও মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার অতিরিক্ত আইজিপি মোশারফ হোসেন, ডিআইজি মো. শফিকুল ইসলাম, মহিলা ও শিশু বিষয়ক অধিদপ্তরের উপÑপরিচালক রাশিদা বেগম, জেলা রেজিস্ট্রার শেখ মো. হাবিবুল্লাহ ও ইউনিসেফের প্রতিনিধি এর্ডওয়ার্ড বিগরেডার বিশেষ অতিথি ছিলেন।।
বরিশাল বিভাগের ৬ জেলা থেকে চার শতাধিক বিবাহ নিবন্ধনকারী ছাড়াও প্রতিটি জেলার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট, উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা সহ সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের কর্মকর্তা ও উন্নয়ন সংস্থার প্রতিনিধিরা সম্মেলনে অংশগ্রহন করেন।
আইন মন্ত্রণালয়ের সহকারী সচিব বুলবুল আহম্মেদ তার বক্তব্যে এফিডেভিট নিয়ে অভিযোগ প্রসঙ্গে বলেন, এফিডেভিট দ্বারা বিবাহ কিম্বা বিবাহ বিচ্ছেদের বৈধতা দিতে পারেনা। মানুষের মধ্যে ভ্রান্ত ধারনা থাকার কারনেই অনেকেই এফিডেভিটকেই এসবের বৈধ কাগজপত্র মনে করছেন।
সম্মেলনে অংশগ্রহনকারী অনেক কাজী অভিযোগ করেন, তারা বাল্য বিবাহ নিবন্ধনে রাজি না হলেও স্থানীয় মৌলভীরা গোপনে ধর্মীয় রীতিতে বিয়ে পড়ান। অভিবাবকরা ওই বিয়ে আর নিবন্ধন করেন না। হিন্দু সম্প্রদায়ের পুরোহিতরা বলেন, এ সম্প্রদায়ের জন্য প্রতিটি উপজেলায় মাত্র একজন করে নিবন্ধনকারী নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। প্রত্যন্ত এলাকাগুলোতে পুরোহিতরা বিয়ের কাজ সম্পন্ন করলেও নিবন্ধনকারীদের অবহিত করেন না। নি¤œ বর্ণের হিন্দুদের মধ্যে বাল্যবিয়ে বেশী হচ্ছে বলে নিবন্ধনকারীরা অভিযোগ করেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিভাগীয় কমিশনার রাম চন্দ্র দাস বলেন, সমাজের মানুষগুলো অপ্রাপ্ত বয়স্ক একজন মেয়েকে যদি নিজের মেয়ে হিসাবে দেখেন, তাহলেই ওই মানুষটির মধ্যে বাল্য বিবাহের বিরুদ্ধে বিবেক জাগ্রত হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।