সাতক্ষীরার তালা উপজেলার খলিষখালিতে আওয়ামী লীগের নির্বাচনি প্রচার অফিসে হামলা চালিয়েছে দূর্বৃত্তরা। হামলায় ইউনিয়ন সাধারণ সম্পাদকসহ ছয়জন আহত হয়েছেন। এ সময় ভাঙচুর হয়েছে নির্বাচনি কার্যালয়। বুধবার রাতে এ ঘটনা ঘটে। আহতদের বিভিন্ন ক্লিনিক ও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। খলিষখালি ইউপি চেয়ারম্যান মোজাফফর রহমান জানান, তালা উপজেলা চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী ঘোষ সনৎ কুমারের পক্ষে নৌকার মিছিল ও সমাবেশ শেষে নেতাকর্মীরা নির্বাচনি কার্যালয়ে ফিরে আসতেই এই হামলার ঘটনা ঘটে। 

হামলায় গুরুতর আহত ইউনিয়ন সাধারণ সম্পাদক সমীর কুমার জানান, এক সময়ের বিএনপি নেতা বর্তমানে আওয়ামীলীগের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের বহিস্কৃত সভাপতি সুলতান সরদার ও তার সহযোগিরা এই হামলা করে। এতে তিনি ছাড়াও আহত হন যুগ্ম সম্পাদক শরিফুল ইসলামসহ ছয় জন। তিনি জানান, হামলাকারীরা অতর্কিতে লাঠিসোটা লোহার রড নিয়ে তাদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। তারা নির্বাচনি কার্যালয় ভাঙচুর করে।
সমীর কুমার আরো জানান, সম্প্রতি স্থানীয় জামায়াত নেতা আবদুল মজিদকে আওয়ামী লীগের সদস্য হিসাবে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সম্পাদক সুলতান সরদার একটি প্রত্যয়ন পত্র দেন। এ কারণে সুলতানকে সম্প্রতি দল থেকে বহিস্কার করা হয়েছে। এরই জেরে সুলতান তার লোকজনকে নিয়ে এই হামলা চালায় বলে তিনি জানিয়েছেন।
তালা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মেহেদী রাসেল জানান, এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। হামলাকারীদের গ্রেফতারে পুলিশ মাঠে নেমেছে।
সাতক্ষীরায় আটক ৫৬, মাদকদ্রব্য উদ্ধার
সাতক্ষীরায় পুলিশি অভিযানে ৫৬ জনকে আটক করা হয়েছে। বুধবার সন্ধ্যা থেকে বৃহস্পতিবার সকাল পযর্ন্ত জেলার আটটি থানার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। এসময় উদ্ধার করা হয়েছে ১৬০ বোতল ফেন্সিডিল।
আটককৃতদের মধ্যে সাতক্ষীরা সদর থানা ১৩ জন, কলারোয়া থানা ৬ জন, তালা থানা ৫ জন, কালিগঞ্জ থানা ৭ জন, শ্যামনগর থানা ৮ জন, আশাশুনি থানা ৯ জন, দেবহাটা থানা ৩ জন ও পাটকেলঘাটা থানা এলাকা থেকে ৫ জনকে আটক করা হয়।
সাতক্ষীরা জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার পরিদর্শক আজম খান জানান, আটককৃতদের বিরুদ্ধে মাদক ও নাশকতাসহ বিভিন্ন মামলা রয়েছে।