Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

৫০ হাজার মেট্রিক টন আম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা

সাতক্ষীরা থেকে আবদুল ওয়াজেদ কচি | প্রকাশের সময় : ১২ মার্চ, ২০১৯, ১২:০৫ এএম

সাতক্ষীরায় চলতি মৌসুমে ৫০ হাজার মেট্রিক টন আম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে, সাম্প্রতিক ঝড়-বৃষ্টিতে মুকুল ঝরে যাওয়ায় আমের ফলন নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে চাষিদের মনে। তারপরও চাষিরা আমের গুটি রক্ষায় এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন বাগান পরিচর্যায়।

যদিও কৃষি বিভাগের দাবি, ঝড়-বৃষ্টিতে আমের মুকুলের সামান্য ক্ষতি হলেও আগামীতে বড় ধরনের প্রাকৃতিক বিপর্যয় দেখা না দিলে লক্ষ্যমাত্রা অর্জন সম্ভব।

সাতক্ষীরা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর জানায়, চলতি মৌসুমে জেলায় আম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৫০ হাজার মেট্রিক টন। এ লক্ষ্যে জেলার প্রায় ৪ হাজার ১শ হেক্টর জমির ৩ হাজার ৯শ ৮৯টি বাগানে আম গাছ পরিচর্যা হচ্ছে। এর মধ্যে সদর উপজেলার ১ হাজার ২শ ৩০ হেক্টর জমির ১ হাজার ৫শ ৪০টি বাগানে ১২ হাজার ৫শ ১০ মেট্রিক টন, কলারোয়ার ৬শ ৫০ হেক্টর জমির ১ হাজার ৩শ ৫০টি বাগানে ৬ হাজার ৩৫ মেট্রিক টন, তালায় ৭শ ১৫ হেক্টর জমির ১ হাজার ৪শ ৫০টি বাগানে ৭ হাজার ৬০ মেট্রিক টন, দেবহাটায় ৩শ ৮০ হেক্টর জমির ৪শ ৭৭টি বাগানে ৩ হাজার ৬শ ৮৫ মেট্রিক টন, কালিগঞ্জে ৮শ ২৫ হেক্টর জমির ১শ ৪২টি বাগানে ৮ হাজার ৮শ ২০ মেট্রিক টন, আশাশুনিতে ১শ ৪০ হেক্টর জমির ১শ ৯০টি বাগানে ১ হাজার ২শ ৫০ মেট্রিক টন ও শ্যামনগরে ১শ ৬০ হেক্টর জমির ১শ ৫০টি বাগানে ১ হাজার ৬শ মেট্রিক টন আম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে।
এদিকে, সাতক্ষীরা জেলা থেকে ২০১৬-১৭ অর্থবছরে ৩১.৮৩ মেট্রিক টন এবং ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ২৭ মেট্রিক টন নিরাপদ ও বালাইমুক্ত আম রপ্তানির পর চলতি মৌসুমেও আম রপ্তানির লক্ষ্যে জেলার ৫শ কৃষককে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।
এ লক্ষ্যে সলিডারিডাড নেটওয়ার্ক এশিয়া ও বেসরকারি সংস্থা উত্তরণ সদর উপজেলার ১ হাজার ৫শ ৩০ বিঘা, তালায় ৩শ ৫০ বিঘা, আশাশুনিতে ৩শ ৫৫ বিঘা, দেবহাটায় ৩শ ২০ বিঘা, কলারোয়ায় ৩ হাজার ২শ বিঘা জমিতে রপ্তানিযোগ্য আম প্রস্তুতে কৃষকদের আন্তঃপরিচর্যা, সুষম সার প্রয়োগ, আগাছা দমন, ডাল ছাটাই ও স্প্রে করার বিষয়ে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিচ্ছে।
কলারোয়ার আম চাষি ডাবলু বলেন, গত কয়েকদিন বর্ষায় মুকুলের কিছুটা ক্ষতি হলেও গাছে গুটি ধরা শুরু করেছে। পরবর্তীতে প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত না হলে ভাল ফলন পাওয়া যাবে।

সদর উপজেলার ব্রহ্মরাজপুরের আম চাষি জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, অন্য বছরের তুলনায় এ বছর বেশ ভালো মুকুল হলেও অতি বৃষ্টিতে নষ্ট হয়ে গেছে। তারউপর আবার মুকুলে কালো ছত্রাক আক্রমণ করেছে। সব প্রতিকূলতা মোকাবেলা করার চেষ্টা করছি, আশা করি উৎপাদন ভাল হবে।
সাতক্ষীরা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক অরবিন্দ বিশ্বাস বলেন, এখন পর্যন্ত কিছুটা ক্ষতি হলেও পুরোটাই ভালো বলা যায়। আমের গুটি আসা শুরু করেছে। এখন বিভিন্ন বিষয়ে কৃষকদের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। এসব পরামর্শ নিয়ে কৃষক কাজে লাগালে অবশ্যই সফল হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: আম

২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ