মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
কেনিয়ায় যাওয়ার পথে ইথিওপিয়ান এয়ারলাইন্সের একটি বোয়িং ৭৩৭ ম্যাক্স ৮০০ বিমান বিধ্বস্ত হওয়ায় এর মোট ১৫৭ জন আরোহীর সবাই নিহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে ১৪৯ জন যাত্রী ও ৮ জন ক্রু ছিলেন। ইথিওপিয়ার রাষ্ট্রীয় বিমান সংস্থা ইথিওপিয়ান এয়ারলাইন্স এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। বিমানটি ইথিওপিয়ার রাজধানী আদ্দিস আবাবা থেকে নাইরোবির উদ্দেশে যাত্রা করেছিলো। ওড়ার মাত্র ৬ মিনিট পরই এটি বিধ্বস্ত হয় বলে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট পর্যবেক্ষণকারী একটি সংস্থা জানিয়েছে। খবর বিবিসি।
ইথিওপিয়ান এয়ারলাইন্স জানিয়েছে, মাত্র ৪ মাস আগে বিমানটি বহরে যোগ করেছিলো এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষ। বিমান সংস্থার একজন মুখপাত্র বলেন, স্থানীয় সময় রোববার সকাল ৮ টা ৪৪ মিনিট নাগাদ দুর্ঘটনাটি ঘটে। রাজধানী আদ্দিস আবাবা থেকে ৬২ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বদিকের বিশোফতু শহরের কাছে বিমানটি বিধ্বস্ত হয়। তিনি আরও জানান, বিমানের আরোহীদের মধ্যে ৩৩টি ভিন্ন ভিন্ন দেশের নাগরিক ছিলেন।
স্থানীয় সময় সকাল ৮টা ৩৮ মিনিটের দিকে আদ্দিস আবাবার বোলে বিমানবন্দর থেকে যাত্রা করেছিল ফ্লাইট ইটি ৩০২। এর কয়েক মিনিট পরই নিয়ন্ত্রণ কক্ষের সঙ্গে এর যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। এক বিবৃতিতে ইথিওপিয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তল্লাশি ও উদ্ধার অভিযান চলছে।
ইথিওপিয়ার প্রধানমন্ত্রী আবি আহমেদ এক টুইট বার্তায় নিহতদের পরিবারের প্রতি গভীর শোক জানিয়েছেন। নিহতদের জন্য প্রার্থনা করার আহ্বান জানিযে টুইট করেছেন কেনিয়ার প্রেসিডেন্ট উহুরু কেনিয়াত্তাও।
উল্লেখ্য, আফ্রিকার অনেকগুলো এলাকায় ইথিওপিয় এয়ারলাইন্সের বিমানগুলো যাতায়াত করে থাকে। বিবিসির ভাষ্য অনুযায়ী, আফ্রিকা মহাদেশে এ এয়ারলাইন্সের বিমান বেশ জনপ্রিয়। নিরাপত্তার দিক থেকে এগুলোর বেশ ভালো সুনাম রয়েছে। অবশ্য, ২০১০ সালে কোম্পানিটির একটি বিমান বৈরুত থেকে যাত্রা করার পর পরই ভূমধ্যসাগরে বিধ্বস্ত হয়েছিল। ওই ঘটনায় বিমানের ৯০ আরোহীর প্রাণহানি হয়। ১৯৯৬ সালের নভেম্বরে আদ্দিস আবাবা থেকে নাইরোবি যাওয়ার সময় ছিনতাইকারীর কবলে পড়েছির ইথিওপীয় এয়ারলাইন্সের একটি বিমান। ওই বিমানের জ্বালানি ফুরিয়ে যাওয়ায় একটি ইঞ্জিন বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। এরপরও বিমানটি জরুরিভাবে পানিতে অবতরণের প্রচেষ্টা চালিয়েছিলেন পাইলট। তবে শেষ পর্যন্ত বিমানটি ভারত মহাসাগরে একটি প্রবাল প্রাচীরের সঙ্গে ধাক্কা খায়। এতে বিমানে থাকা ১৭৫ আরোহীর মধ্যে ১২৩ জন প্রাণ হারায়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।