নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
ফিফা আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচে স্বাগতিক কম্বোডিয়াকে হারালো বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দল। গতকাল কম্বোডিয়ার রাজধানী নমপেনের পমপেন ন্যাশনাল অলিম্পিক স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ ১-০ গোলে হারায় স্বাগতিকদের। বিজয়ী দলের হয়ে একমাত্র জয়সূচক গোলটি করেন বদলি মিডফিল্ডার রবিউল হাসান।
ফিফা র্যাঙ্কিং, আবাহাওয়া, মাঠ ও দর্শক, কোনো কিছুই আটকে রাখতে পারেনি লাল-সবুজদের জয়। কম্বোডিয়ার বিপক্ষে একমাত্র প্রীতি ম্যাচে সব প্রতিকুলতার বিরুদ্ধে লড়াই করে বাংলাদেশ জিততে পারবে, এমন প্রত্যাশা বাংলাদেশের ব্রিটিশ কোচ জেমি ডে’র থাকলেও ফুটবলপ্রেমীদের
তা বিশ্বাস করা কঠিন ছিল। কোচের কথা রাখলেন ফুটবলারা। জেমি ডে কম্বোডিয়া যাওয়ার আগেই বলেছিলেন,‘ম্যাচটা জিততে চাই।’ অধিনায়ক জামাল ভুঁইয়ার কথা ছিল, ‘আমরা এতদিন একসঙ্গে খেলছি। একটা জয় আশা করতেই পারি।’
কথা রাখলেন কোচ, অধিনায়ক ও পুরো টিম বাংলাদেশ। পমপেন ন্যাশনাল অলিম্পিক স্টেডিয়ামে কম্বোডিয়ার বিপক্ষে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের পর জয় হলো লাল-সবুজদেরই।
ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশ ২০ ধাপ পিছিয়ে কম্বোডিয়ার চেয়ে। র্যাঙ্কিংয়ে যেখানে বাংলাদেশের অবস্থান ১৯২, সেখানে কম্বোডিয়া রয়েছে ১৭২তম স্থানে। এই হিসেবে বাংলাদেশের চেয়ে বেশ এগিয়ে কম্বোডিয়া। পাশাপাশি নিজেদের মাঠ এবং দর্শকদের সামনে খেলে যেখানে তাদের থাকার কথা উজ্জীবিত, সেখানে বাংলাদেশ ছিল ভয়হীন। নমপেনের তাপমাত্রা ৩৫/৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস হওয়ায় বাংলাদেশের ফুটবলার জন্য তা ছিল বেশ গরম। সঙ্গে মাঠটাও ছিল কৃত্রিম।
আগেরদিনও বাংলাদেশ দলের ফুটবলারদের নমপেনে অনুশীলন করতে বেশ কষ্ট হয়েছে। কালও প্রচন্ড গরমের মধ্যে খেলতে হয়েছে জামাল ভুঁইয়া বাহিনীকে। ৫ মাস পর আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলতে নেমে বাংলাদেশের ফুটবলাররা নিজেদের উজার করে দিয়েছেন মাঠে। যা ছিল, এক কথায় অসাধারণ। ম্যাচের শুরু থেকে লাল-সবুজের জাতীয় দল আক্রমণাত্মক ফুটবল উপহার দিয়ে কম্বোডিয়াকে চাপে রাখে। একের পর এক আক্রমণে কম্বোডিয়ার রক্ষণদূর্গকে দিশেহারা করে তোলেন বাংলাদেশের ফরোয়ার্ডরা। কিন্তু স্বাগতিক দলের গোলরক্ষকের অসাধারণ দক্ষতায় ম্যাচের প্রথামার্ধে এগিয়ে যেতে পারেনি কোচ জেমি ডে’র দল। দ্বিতীয়ার্ধেও সেই একই চিত্র। একাধিক সুযোগ পেয়ে কম্বোডিয়ার জালের ঠিকানা খুঁজে পাননি বাংলাদেশ ফরোয়ার্ডরা। একের পর এক গোল মিস করার কারণে বাংলাদেশ দলে পরিবর্তন আনেন কোচ জেমি। ম্যাচের ৬৫ মিনিটের মাথায় মিডফিল্ডার বিপলুকে উঠিয়ে রবিউলকে মাঠে নামানো হয়। আর ৭৬ মিনিটে ফরোয়ার্ড নাবীব নেওয়াজ জীবনের বদলী হিসেবে মাঠে নামেন মাহবুবুর রহমান সুফিল। এ দুই বদলিতেই ভাগ্য ফেরে বাংলাদেশের। এ দু’জনের বোঝাপড়াতেই গোল পায় লাল-সবুজরা।
ম্যাচের ৮৩ মিনিটে পাল্টা আক্রমণে মাঝ মাঠ থেকে লেফট উইংয়ে বল পান মাহবুবুর রহমান সুফিল। লেফট উইং ধরে বল নিয়ে দ্রুত গতিতে এগিয়ে আসেন তিনি। কম্বোডিয়ার এক ডিফেন্ডার তাকে থামানোর জন্য শরীরের সঙ্গে লেগে থাকলেও সুফিল দারুণ দক্ষতায় বক্সের বাম পাশে এগিয়ে আসা রবিউল হাসানকে পাস দেন। চলমান বলে বাম পায়ের টোকা দেন রবিউল। বল কম্বোডিয়ার গোলরক্ষকের মাথা এবং কাঁধের ফাঁক দিয়ে জাল প্রবেশ করলে এগিয়ে যায় বাংলাদেশ (১-০)। গোল হজমের পর ম্যাচের শেষ মুহূর্তে সমতায় ফিরতে মরিয়া হয়ে লড়ে কম্বোডিয়া। তারা একের পর এক আক্রমণে বাংলাদেশ রক্ষণভা কে ব্যস্ত রাখলেও শেষ পর্যন্ত জাল খুঁজে পায়নি। ফলে হারের গøানি নিয়েই মাঠ ছাড়ে স্বাগতিকরা। এর আগে দু’দলের দুই সাক্ষাতে বাংলাদেশের জয় ছিল একটি। অন্য ম্যাচ অমিমাংসিতভাবে শেষ হয়। ২০০৭ সালে ভারতের নেহরু কাপে দু’দলের ম্যাচ ১-১ গোলে ড্র হয়েছিল। ২০০৯ সালে ঢাকায় এএফসি চ্যালেঞ্জ কাপে বাংলাদেশ ২-১ গোলে হারিয়েছিল কম্বোডিয়াকে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
খেলাঘর-প্রাইম ব্যাংক, মিরপুর
খেলাঘর : ৪৬.৫ ওভারে ১৯৫ (রবি ১৬, অঙ্কন ৪, অমিত ৩৬, ইফতেখার ১৯, মেনারিয়া ৩৫, নাজিমউদ্দিন ২৯, মইনুল ০, মাসুম ১৭, রবিউল ১৪*, ইরফান ১, তানভির ৫; মোহর ০/৪২, আল আমিন হোসেন ১/২৭, আরিফুল ৪/২৪, নাহিদুল ০/৩২, আল আমিন ০/১৬, রাজ্জাক ১/২৮, অলক ৩/২০)।
প্রাইম ব্যাংক : ৪৭ ওভারে ১৯৬/৮ (এনামুল ৩৭, রুবেল ৪৬, সুদিপ ১৪, জাকির ৬, আল আমিন ১২, আরিফুল ৩২*, অলক ৪, নাহিদুল ৩১, মোহর ৬, রাজ্জাক ১*; রবিউল ২/৪০, তানভির ০/৩২, ইরফান ৩/৪০, মাসুম ১/২৬, ইফতেখার ১/২১, রবি ১/১৬, মইনুল ০/১৪, মেনারিয়া ০/৬)। ফল : প্রাইম ব্যাংক ২ উইকেটে জয়ী। ম্যাচসেরা : আরিফুল হক
শাইনপুকুর-প্রাইম দোলেশ্বর, ফতুল্লা
শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাব : ৪৭.১ ওভারে ১৭৫ (শুভ ৫, সাব্বির ৩১, আফিফ ১৩, হৃদয় ৩৩, শুভাগত ২, যশপাল ১, ধীমান ২৪, দেলোয়ার ৪০*, টিপু ১৪, সুজন ৩, শরিফুল ১; সানি ২/৩১, রেজা ৩/৩২, মাহমুদুল ১/১৮, সৈকত ০/৪, নাসিম ০/৩৬, এনামুল জুনিয়র ১/৩৬, তাইবুর ০/১৫)। প্রাইম দোলেশ্বর : ৪৩.৪ ওভারে ১৭৬/১ (সৈকত ২৩, সাইফ ৮৩*, ফরহাদ ৬৬*; সুজন ০/২৬, শরিফুল ০/৩৩, দেলোয়ার ০/১৭, শুভ ১/১৮, টিপু ০/২৩, শুভাগত ০/২২, আফিফ ০/২৬, যশপাল ০/৯)। ফল : প্রাইম দোলেশ্বর ৯ উইকেটে জয়ী। ম্যাচসেরা : সাইফ হাসান
গাজী গ্রুপ-মোহামেডান, সাভার
গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স : ৪৫.২ ওভারে ১৮২ (মেহেদি ১, ইমরুল ৭, রনি ০, শামসুর ০, রসুল ৬, রায়হান ২, তারেক ৫৬, শামসুল ৭১*, আবু হায়দার ২৬, রাব্বি ২, রুহেল ০; শফিউল ৫/৩২, আলাউদ্দিন ১/২২, সাকলাইন ০/৩৬, সোহাগ ২/১৭, বিপুল ০/৪৫, আশরাফুল ১/২৮)। মোহামেডান: ৪৫.২ ওভারে ১৮৩/৭ (অভিষেক ২৪, মজিদ ১৩, আশরাফুল ০, রকিবুল ৮২*, শুক্কুর ০, নাদিফ ১, বিপুল ৯, সোহাগ ২৯, আলাউদ্দিন ১৪*; রুহেল ২/৩২, আবু হায়দার ০/৩৭, রাব্বি ২/১৯, মেহেদি ০/৩৬, রসুল ০/২৭, রায়হান ১/২৫)। ফল : মোহামেডান ৩ উইকেটে জয়ী। ম্যাচসেরা : শফিউল ইসলাম
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।