Inqilab Logo

সোমবার ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

করতোয়া দখল মুক্ত হবেতো

উদ্বিগ্ন নাগরিক সমাজের প্রশ্ন ?

বগুড়া থেকে মহসিন রাজু | প্রকাশের সময় : ৯ মার্চ, ২০১৯, ৪:০৪ পিএম | আপডেট : ৪:০৫ পিএম, ৯ মার্চ, ২০১৯

ফেব্রুয়ারি মাসের মাঝামাঝি বগুড়ায় জেলা নদী রক্ষা কমিটির এক সভায় নদী রক্ষা কমিটির চেয়ারম্যানের উপস্থিতিতে বগুড়ার জেলা প্রশাসক ফয়েজ আহম্মাদ দৃঢ়তার সংগে ঘোষণা করেছিলেন মার্চ মাসের প্রথম সপ্তাহের মধ্যেই বগুড়া পৌর এলাকার মধ্যে করতোয়ার অবৈধ দখলদার উচ্ছেদ করা হবে। তবে মার্চের প্রথম সপ্তাহ পেরিয়ে যাবার পরেও করতোয়াকে দখল মুক্ত না করায় উদ্বিগ্ন বোধ করছেন বগুড়ার সচেতন নাগরিক সমাজ ।

বগুড়ায় দীর্ঘদিন ধরেই করতোয়াকে অবৈধ দখলদারদের হাত থেকে রক্ষা , নদীটিকে তার সাবেক নাব্যের ধারায় ফিরিয়ে আনতে চলা আন্দোলনের অন্যতম পুরোধা বগুড়ার সচেতন নাগরিক সমাজ সনাকের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা মাসুদুর রহমান এ প্রসঙ্গে বলেন , সম্প্রতি বগুড়া সার্কিট হাউসে জাতীয় নদী রক্ষা কমিটির এক সভায় জেলা প্রশাসকের অনুমতিক্রমে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) আলীমুন রাজীব তালিকাভুক্ত ৩৮ দখলদারদের নাম প্রকাশ করেন। ওই দখলদারদের বিরুদ্ধে উচ্ছেদের নোটিশ পাঠানোর কথাও তিনি বলেছিলেন। সেখানেই জেলা প্রশাসক সবাইকে আশ্বস্ত করেন যে , মার্চের প্রথম সপ্তাহেই দখলদারের উচ্ছেদ করে দেওয়া হবে ।

সুশাসনের জন্য নাগরিক ( সুপ্র ) বগুড়া জেলা শাখার সদস্য সচিব কে জি ফারুক বলেন , গত মাসের ১৬ ফেব্রুয়ারি বগুড়ায় জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মুজিবুর রহমান স্পষ্ট করে বলেন, নদীকে দখলমুক্ত
করতে গেলে যত বড় শক্তিই বাধা দেওয়ার চেষ্টা করুক , সব বাধাই গুড়িয়ে দেওয়া হবে। ফলে আমরা আশাবাদি হয়ে উঠেছিলাম এবার হয়তো সত্যি সত্যিই দখলমুক্ত হতে যাচ্ছে করতোয়া । তবে মার্চের প্রথম সপ্তাহ গড়িয়ে যাবার পর সত্যিই আশংকা জাগছে সত্যিই করতোয়া দখলমুক্ত হবেতো ?

উল্লেখ্য ৪ বছর আগে বগুড়াবাসীর পক্ষে পবিবেশবাদী সংগঠন বেলা করতোয়া নদী রক্ষায় হাইকোর্টে রীট করলে আদালত এ নদীর দখল ও দূষনরোধসহ নদীর স্বাভাবিক প্রবাহ নিশ্চিত করতে নির্দেশ দেন।
এছাড়া পানি উন্নয়ন সুত্রে জানা গেছে করতোয়ার পানি প্রবাহ স্বাভাবিক করার পাশাপাশি দখল ও দূষণ রোধ বিউটিফিকেশন প্রকল্পের আওতায় ২ হাজার ৭শ ৫০ কোটি টাকার প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে । তাই প্রকল্পের স্বার্খেই দ্রুত নদীতীর দখল মুক্ত করা জরুরী হয়ে পড়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ