পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
পীরগঞ্জ (রংপুর) উপজেলা সংবাদদাতা : রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলায় করতোয়া নদীতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের মহোৎসব চলছে। রংপুরের পীরগঞ্জ ও দিনাজপুর জেলার নবাবগঞ্জ উপজেলাকে বিভক্ত করে বয়েচলা করতোয়া নদীর দু ধারে পৃথক ৪০টি স্থানে অভিন্ন পদ্ধতীতে গত ৩ মাস ধরে দিবারাত্র অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের প্রতিযোগিতা ও মহোৎসব চলছে। মাঝে মধ্যে উপজেলা প্রশাসন বালু উত্তোলন বন্ধে অভিযান চালালেও পরদিন থেকে আবারও যথারীতি বালু উত্তোলন শুরু হয়। গত রোবাবার উপজেলার টুকুরিয়া ইউনিয়নের কোমরসই গ্রাম থেকে ওই গ্রামের সোলায়মান আলী ও গোলাম রসুল নামে ২ ব্যক্তির ২টি বালু উত্তোলনের বোমা মেশিন আটক করে পৃলিশ থানায় নিয়ে আসে। স্থানীয় লোকজনের অভিযোগের ভিত্তিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশে ওই স্যালো ২টি আটক করা হয়েছে বলে পীরগঞ্জ থানার ওসি রেজাউল করিম জানিয়েছেন। অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছিল,কোমরসই গ্রামে বালু উত্তেলনের ফলে এলাকার ঘরবাড়ি, রাস্তা বসতভিটা ও ফসলী জমি ভেঙে গেছে। এলাকার লোকজনের দীর্ঘদিনের চলাচলের একমাত্র রাস্তাটি ধ্বসে মাটিতে মিশে গেছে। স্যালো মেশিন আটকের ব্যাপারে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত থানায় কোন মামলা হয়নি। শুধুমাত্র একটি জিডি করা হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার পরবর্তী নির্দেশের অপেক্ষায় রয়েছে থানা পুলিশ। উল্লেখ্য,ইতিপুর্বেও বেশ কয়েকটি স্যালো মেশিন আটক করা হলেও পরবর্তীতে মামলা না করে সেগুলো ফেরত দেয়া হয়েছে। অভিযোগ রয়েছে,সংশ্লিষ্ট এলাকায় সহঃ তহসীলদারদের সাথে বালু উত্তেলনকারীদের বিশেষ চুক্তিতেই এসব বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। প্রতিমাসে কর্মকর্তারা বালু উত্তোলনকারিদের কাছে চুক্তির টাকা নিয়ে আসেন মর্মে অভিযোগ রয়েছে। এজন্য বালু উত্তোলন বন্ধে উপজেলা ভুমি অফিস থেকে কোন ধরনের পদক্ষেপ নেয়া হয় না। মওকা বুঝে করতোয় নদীতে শুধুমাত্র পীরগঞ্জ উপজেলার সীমানাতেই ৪০টি স্থানে প্রতিযোগিতা মুলক বালু উত্তোলন চলছে। এ ব্যাপারে জিজ্ঞেস করা হলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কমল কুমার ঘোষ বলেন-নির্দিষ্ট অভিযোগ পাওয়া গেলে অবশ্যই পদক্ষেপ নেয়া হবে। উপজেলা সহকারী কমিশনার ভুমি প্রশিক্ষনের উদ্দেশ্যে দেড় মাস কর্মস্থলে অনুপস্থিত। টুকুরিয়া ইউপি চেয়ারম্যান আতোয়ার রহমান বলেন- আমাদের কথা কেউ শোনে না। এদিকে অপরিকল্পিতভাবে বালু উত্তোলনের ফলে এলাকার রাস্তাঘাট, ঘরবাড়ি, ফসলী জমি স্থাপনা ধ্বসে নষ্ট হয়ে যাওয়া ছাড়াও নদীর গতিপথ পরিবর্তন হচ্ছে। যা ভাবিষ্যৎ প্রজন্মকে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দিচ্ছে। বিষয়টিতে সংশ্লিষ্ট নীতনির্ধারক মহল জরুরী ভিত্তিতে আাইনগত পদেক্ষেপ নেবেন এমনটাই প্রত্যাশা করছেন এালাকার সাধারণ মানুষ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।