বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
ভার্চুয়াল জগতের ব্যাপক আলোচিত স্ত্রী নির্যাতন কথিত যৌতুক মামলায় বর্তমানে বগুড়া কারাগারে আটক আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম কি গুজব ও চক্রান্তের শিকার ? এই প্রশ্ন তার পিতা মাতা ও ঘনিষ্টজনদের।
এব্যাপারে হিরো আলমের ঘনিষ্টজন , তার আইনজীবী , পুলিশ ও সংশ্লিষ্ট কিছু সূত্রের সাথে যোগাযোগ করে জানা যায় , বগুড়ায় তার পৈতৃক নিবাসে চলমান কেবল নেটওয়ার্কের ব্যবসার দখলকে ঘিরেই মূলত ষড়যন্ত্র আর ওই ষড়যন্ত্রের হোতারাই একটি পরিকল্পিত গুজব রটিয়ে তার পরিবারে অশান্তির আগুন জালিয়ে দিয়েছে। গুজবের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়েছে হিরো আলমের নির্মিত শর্টফিল্মের একটি বিয়ের ছবি। ওই ছবিটি অন লাইন থেকে কপি ও প্রিন্ট করে তার তরুনী স্ত্রী সাদিয়া আলম সুমিকে দেখিয়ে চক্রান্তকারীদের কেউ বুঝিয়েছে । হিরো আলম ঢাকায় বিয়ে করেছে। কাজেই সুমির ও উচিৎ নিজের ও তার তিন সন্তানের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে বগুড়ায় হিরো আলমের যে ডিসের ( কেবল নেটওয়ার্ক ) ব্যবসা রয়েছে তার মালিকানা যেন নিজের নামে লিখে নেয়।
এব্যাপারে যেদিন হিরো আলমকে পুলিশ গ্রেফতার করে সেদিন থানা হাজতে সাংবাদিকদের কাছে জানায় , হারুন নামে তার এক চাচা শ্বশুর ও রাব্বি নামের একজন তরুণ তার স্ত্রী সুমির ঘনিষ্ঠ হয়ে তাকে বিভ্রান্ত করছে।
উল্লেখ্য গত বুধবার হিরো আলমের স্ত্রীর করা একটি নারী নির্যাতন ও যৌতুকের মামলায় পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে পরদিন কোর্ট হাজতে প্রেরণ করে। কোর্টে হিরো আলমের নিযুক্ত এ্যাডভোকেট সামসউদ্দিন স্বপন তার জামিনের আবেদন করলে আদালত তার জামিন বাতিল করে তাকে কোর্ট হাজতে প্রেরণ করে। এ্যাডভোকেট স্বপন জানান, এর পর তিনি উচ্চ আদালতে জেলা জজকোর্টে আপিল করে তার মক্কেল হিরো আলমের নির্দোষিতার প্রমাণ উপস্থাপন করবেন। তিনি উচ্চ আদালতে সঠিক বিচার পাবেন বলেও আশাবাদী ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।