২০৩৫ সালের মধ্যে মাত্রাতিরিক্ত মোটা হবেন ৪০০ কোটি মানুষ
২০৩৫ সালের মধ্যে মাত্রাতিরিক্ত ওজন বা মোটা হবেন বিশ্বের অর্ধেকেরও বেশি মানুষ। সংখ্যার বিচারে যা
প্রচ- গরমে সারা দেশ পুড়ছে। সকল বয়সের মানুষ একটু বেশি সতর্ক থাকা উচিৎ। তবে যাদের ডায়াবেটিস আছে তাদেরকে আরও বেশি যতœবান হওয়া জরুরি, না হলে পানি শূন্যতা থেকে শুরু করে, প্রস্রাবের প্রদাহ, ত্বকের সংক্রমন, এলার্জিসহ বিভিন্ন রকম জটিলতা হতে পারে। এসব সমস্যা যেসব ডায়াবেটিস রোগীর কিডনি অবস্থা ভালো নয়/উচ্চ রক্তচাপ আছে/হৃদরোগ আছে অথবা যাদের বেশি পরিমাণে ইন্সুলিন লাগে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের জন্য, ডাইউরেটিক্স জাতীয় উচ্চ রক্তচাপের ওষুধ সেবন করতে হয়, তাদের জোরালোভাবে আক্রান্ত করতে পারে।
প্রখর উত্তাপ ও স্যাঁতসেঁতে পরিবেশে সময় কাটানো আপনার শরীরে ডায়াবেটিসের মতো দীর্ঘমেয়াদি রোগের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। উষ্ণ আবহাওয়া মানুষের কর্মশক্তি বাড়ালেও অতিরিক্ত তাপমাত্রা এবং স্যাঁতসেঁতে পরিবেশ ডায়াবেটিস রোগের ক্ষেত্রে যে অসুবিধাগুলো সৃষ্টি করে-
ডায়াবেটিস রোগীর ক্ষেত্রে গরম আবহাওয়া কি ধরনের সমস্যা সৃষ্টি করে?
* গরম আবহাওয়ায় শরীরের জলবিয়োজন একটি গুরুতর সমস্যা। এর ফলে রক্তে গুকোজের পরিমাণ বেড়ে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে। ডায়াবেটিস রোগীদের উচিত এ সময়ে অধিক পরিমাণে তরলজাতীয় খাবার গ্রহণ করা এবং ঘন ঘন জলপানের প্রতি গুরুত্ব দেয়া।
* অতিরিক্ত গরমে ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য আরেকটি উদ্বেগজনক দিক হলো এ সময় শরীরে ব্লাডসুগার অস্বাভাবিক পরিমাণে বাড়ে-কমে এবং হাইপোগ্লাইসেমিয়া ও হাইপারগ্লাইসেমিয়ার সম্ভাবনা থাকে।
গরম আবহাওয়ার ডায়াবেটিসের ঝুঁঁকিগুলো কি কি?
* যারা ব্লাডসুগার কমানোর জন্য চিকিৎসা নিচ্ছেন গরম আবহাওয়ায় তাদের হাইপোগ্লিসেমিয়া বাড়ার ঝুঁঁকি রয়েছে। গরম এবং আদ্র আবহাওয়ায় শরীরে মেটাবোলিজমের পরিমাণ বেড়ে যাওয়ার ফলে হাইপোগ্লিসেমিয়া বাড়ারও সম্ভাবনা থাকে।
* গরমে ঘর্মাক্ত বা ক্লান্ত হয়ে পড়া হাইপোগ্লেসিমিয়ার লক্ষণ হতে পারে। তাই এগুলো এড়িয়ে যাওয়া ঠিক হবে না। গাড়ি চালানোর সময় নিজের বাড়তি যতœ নিন এবং প্রতিবার দীর্ঘভ্রমণের আগে ও পরে ব্লাডসুগার পরীক্ষা করুন।
* হাইপো প্রতিরোধে, বিশেষত যখন গরমের মধ্যে শারীরিক পরিশ্রম করেন, রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ ঘন ঘন পরীক্ষা করান। কার্বোহাইড্রেট থেকে দূরে থাকার জন্য গ্লুকোজ ট্যাবলেটজাতীয় ওষুধ সঙ্গে রাখুন।
* স্থান এবং তাপমাত্রা পরিবর্তনের সময় আপনার দেহে ইন্সুলিনের মাত্রা দেখে নিন। যদি ব্লাডসুগার কম বা বেশি হয় ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
ষ ডাঃ শাহজাদা সেলিম
সহকারী অধ্যাপক
এন্ডোক্রাইনোলজি বিভাগ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়
হরমোন ও ডায়াবেটিস বিশেষজ্ঞ
কমফোর্ট ডক্টর’স চেম্বার, ১৬৫-১৬৬, গ্রীনরোড, ঢাকা
ফোন : ৮১২৪৯৯০, ০১৯১৯০০০০২২
ঊসধরষ : ংবষরসংযধযলধফধ@মসধরষ.পড়স
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।