চরিত্র মানুষের শ্রেষ্ঠতম অলঙ্কার
সৃষ্টির সেরা জীব আশরাফুল মাখলুকাত- মানবজাতি। এ শ্রেষ্ঠত্ব মানুষ তার চরিত্র দিয়ে অর্জন করে নেয়।
শেষ
কাদিয়ানীদের অমুসলিম ঘোষনার দাবী কেন?
কাদিয়ানীদের বিভ্রান্তি থেকে সাধারণ ও সরলপ্রাণ মুসলমানদের আকিদা বিশ্বাস রক্ষার্থে তাদের অমুসলিম ঘোষনা করা জরুরী। কারণ কাদিয়ানী সম্প্রদায় শরীয়তের শাখাগত বিষয়ে মতভেদকারী কোনো দল নয়। এরা ইহুদি, খৃস্টান ও হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের মতোই ইসলাম থেকে সম্পূর্ণ আলাদা একটি ধর্মমতের অনুসারী। তবে পার্থক্য এই যে, অন্য সব ধর্ম নিজস্ব নাম ও পরিচয় ব্যবহার করে, কিন্তু কাদিয়ানী সম্প্রদায় ইসলামের নাম ও পরিচয় ব্যবহার করে। এই ধর্মমত একদিকে যেমন সস্পূর্ণ পরাশ্রয়ী অন্যদিকে তা সরলপ্রাণ মুসলমানদের জন্য চরম বিভ্রান্তিকর। এ কারণে মুসলিম বিশ্বের সবস্তরের জনগণের যৌক্তিক দাবি হলো কাদিয়ানীদের অবশ্যই অমুসলিম পরিচয়ে পরিচিত হতে হবে এবং ইসলামের পরিচয় ও পরিভাষা ব্যবহার থেকে বিরত রাখতে হবে। কাদিয়ানীদের মত ভন্ড নবীদের ব্যপারে রসুলুল্লাহ (সা.) এর ভবিষ্যদ্বানী হচ্ছে, ‘আমার উম্মতর মধ্য থেকে ত্রিশজন মিথ্যাবাদী আসবে প্রত্যেকেই নিজেকে নবী বলে দাবী করবে। অথচ আমি হলাম শেষ নবী; আমার পরে কোন নবী নেই।’ (তিরমিযী : ৩৭১০)।
কাদিয়ানীদের ব্যপারে মুসলিম বিশ্বেরর অবস্থান
প্রায় সবকটি মুসলিম দেশে কাদিয়ানীদেরকে সরকারীভাবে অমুসলিম ঘোষণা করে তাদের যাবতীয় বই-পুস্তক, ও কার্যক্রমকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। যেমন ১৯৫৭ সালে সিরিয়া সরকার কাদিয়ানীদের সরকারীভাবে অমুসলিম করেছে এবং কাদিয়ানীদের সংগঠনকে অবৈধ ও বে-আইনী সংগঠন বলে ঘোষণা দিয়েছে। ১৯৫৮ সালে মিসর সরকার কাদিয়ানীদের সরকারীভাবে কাফের এবং তাদের সংগঠনকে বে-আইনী সংগঠন বলে ঘোষণা দিয়েছে। ১৯৭৪ খিষ্ট্রাব্দ মোতাবেক ১৩৯৪ হিজরী ১৪ ই রবিউল আউয়াল হইতে ১৮ ই রবিউল আউয়াল পর্যন্ত পাচ দিন ব্যাপী ১০৪ টি দেশের সম্মিলিত সংগঠন ‘রাবেতা আলমে ইসলামী’ এর অধিবেশনে কাদিয়ানীদের বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে যে, এ দল কাফের ও ইসলাম বহির্ভ‚ত। তাদের সঙ্গে বিবাহ শাদী হারাম এবং মুসলমানদের কবরস্থানে তাদের দাফন করা নাজায়েয। উক্ত প্রস্তাবাবলী ১০৪ টি দেশের প্রতিনিধিগন সম্মিলিতভাবে পাশ করেছেন। তাদের মধ্যে সৌদি আরব, দুবাই, আবুধাবী, কাতার ইত্যাদি দেশসমূহ অন্তর্ভুক্ত। ৭ ই সেপ্টেম্বর, ১৯৭৪ ইং সালে পাকিস্তানের পার্লামেন্টেও কাদিয়ানীদের অমুসলীম ঘোষনা দিয়েছে। কিন্তু দুর্ভাগ্য জনক হলেও সত্য যে, পৃথিবীর তৃতীয় বৃহত্তম মুসলিম দেশ বাংলাদেশে তাদেরকে আজো অমুসলিম ঘোষণা করা হয়নি। যার কারণে বর্তমানে তারা এ দেশে প্রকাশ্যে উস্কানি মূলক অপতৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে। পঞ্চগড়ে তারা ইজতেমা আয়োজন করছে। এনিয়ে সাধারণ মুসলমানদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ বিরাজ করছে। অতএব বাংলাদেশ সরকারের উচিত অনতিবিলম্বে কাদিয়ানীদের সরকারীভাবে অমুসলিম ঘোষনা করে কাদিয়ানী অপতৎপরতা বন্ধ করা। কাদিয়ানীরা অমুসলিম নাগরিক হিসেবে এ দেশের সকল সুযোগ-সুবিধা ভোগ করতে পারে তবে মুসলিম হিসেবে অবশ্যই নয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।