পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : দ্বীন ইসলাম অবমাননাকারী হিন্দু শিক্ষক শ্যামল কান্তিকে গ্রেফতার ও ফাঁসি এবং তার সমর্থকদের ধর্ম অবমাননাকে সমর্থন করার অপরাধে বিচারের দাবী করেছেন আওয়ামী ওলামা লীগের নেতৃবৃন্দ ও তাহরীকে খতমে নবুওয়াতের প্রধান ড. মুফতী সৈয়দ এনায়েত উল্লাহ আব্বাসী। উল্লিখিত দাবীতে খতমে নবুওয়াত গতকাল নারায়ণগঞ্জে এক মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে।
আওয়ামী ওলামা লীগ নেতৃবৃন্দ
দ্বীন ইসলাম অবমাননাকারী শিক্ষক মৌলবাদী হিন্দু শ্যামল কান্তির ‘কান ধরে উঠবসে’ প্রতিক্রিয়ার ইসলাম বিদ্বেষীদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন বাংলাদেশ আওয়ামী ওলামা লীগ নেতৃবৃন্দ। তারা অবিলম্বে ইসলাম বিদ্বেষী শ্যামল কান্তি’র গ্রেফতার ও ফাঁসির দাবি জানিয়েছেন। পাশাপাশি তারা এই মৌলবাদী হিন্দুর সাফাইকারীদেরও গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন। গতকাল বাংলাদেশ আওয়ামী ওলামা লীগের কার্যনির্বাহী সভাপতি হাফেয মাওলানা আব্দুস সাত্তার, সেক্রেটারী মাওলানা আবুল হাসান শেখ শরীয়তপুরী, সহ সভাপতি মুফতি মাসুম বিল্লাহ নাফেয়ী এক যুক্ত বিবৃতিতে এসব কথা বলেন। তারা বলেন, ধর্ম অবমাননার দায়ে এ মৌলবাদী হিন্দু প্রধান শিক্ষককে পরিমলের মত শাস্তি হতে হবে।
বিবৃতিতে তারা বলেন, ইসলামবিদ্বেষী নাস্তিক্যবাদী মহল গত শুক্রবার নারায়ণগঞ্জের বন্দরে পিয়ার সাত্তার লতিফ উচ্চ বিদ্যালয়ে ‘ইসলাম ধর্ম নিয়ে কটূক্তিকারী’ মৌলবাদী হিন্দু শিক্ষক শ্যামল কান্তিকে কান ধরে উঠবস করানোয় চিহ্নিত ইসলাম বিদ্বেষীরা; শিক্ষক অবমাননার নামে প্রতিবাদ করেছে। অথচ যখন ভিকারুন্নেছা স্কুলের ধর্ষক শিক্ষক পরিমল ধরা পড়লো, তার বিচার হলো তখন তারা শিক্ষকের অবমাননা হবে বলে তার বিচার করা যাবেনা সেটা বলেনি। কিন্তু এবার যেহেতু শিক্ষক শ্যামল কান্তি ‘ইসলাম ধর্ম নিয়ে কটূক্তি করেছে’ সেহেতু তাকে বাঁচাতে উঠে পড়ে লেগেছে চিহ্নিত ইসলাম বিদ্বেষী নাস্তিক্যবাদী মহল। শুধু তাই নয়, সে কটূক্তি করেনি বলে মিডিয়া সন্ত্রাসও চালানো হচ্ছে। অথচ আজকের ‘বিবিসি বাংলা’র সংবাদেও ঐ স্কুলের ছাত্ররা মৌলবাদী শিক্ষক শ্যামল কান্তির ‘ইসলাম ধর্ম অবমাননা’র স্বীকারোক্তি দিয়েছে।
তারা বলেন, তাছাড়া শিক্ষামন্ত্রী নাহিদ কয়েকদিন আগে বলেছে যে,“সব শিক্ষক ধোয়া তুলসি পাতা না।” সে ক্ষেত্রে সব শিক্ষক ধোয়া তুলসি পাতা নয়। ভিকারুন্নেছার পরিমল, চাঁদপুরের অজয় কুমার, আহসান উল্লাহ’র মাহফুযদের উদাহরণ কি নেই। কাজেই শিক্ষক তকমা লাগালেই কেউ এতোটুকু চূড়ান্ত দুঃসাহস দেখাতে পারে না যে, সে আল্লাহ পাক এবং উনার হাবীব হুযুর পাক ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের শান মুবারকে অবমাননার অপচেষ্টা চালাবে।
তারা বলেন, ‘ইসলাম ধর্মের অবমাননা’ করলেও মৌলবাদী হিন্দু শিক্ষকের পক্ষাবলম্বন করেছে ইসলাম বিদ্বেষী শাহবাগী ও অন্যান্য নাস্তিক্যবাদীরা।
জনরোষ থেকে বাঁচাতে কান ধরে উঠবস করা সেই মৌলবাদী হিন্দু শিক্ষককে নিয়ে প্রথম আলো, বিডি নিউজ, নাস্তিক ব্লগার ও উগ্র হিন্দুগোষ্ঠী প্রচার শুরু করছে এর প্রতিবাদে ওলামা লীগ নেতৃবৃন্দ বলেন, একজন প্রমাণিত অভিযুক্ত শিক্ষক কান ধরে উঠবস করালে যদি বাংলাদেশ কান ধরে উঠবস করে, তা হলে প্রমাণিত অভিযুক্ত পরিমলের মতো কোন শিক্ষক ধর্ষণ করলে কি গোটা বাংলাদেশ ধর্ষিত বলা যাবে?
বিবৃতিতে তারা আরো বলেন, মুসলমানদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতকারী শ্যামল কান্তিকে গ্রেফতার করতে হবে এবং ফাঁসিতে ঝুলাতে হবে। পাশাপাশি তার পক্ষে যারা সাফাই গেয়েছে তারাও ধর্মাবমাননার অপরাধ তথা ফৌজদারী অপরাধ করায় তাদের সবাইকেও ফৌজদারী মামলায় গ্রেফতার করতে হবে এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।
তাহরিকে খাতমে নবুওয়্যাত বাংলাদেশ
নারায়ণগঞ্জ থেকে স্টাফ রিপোর্টার ঃ গতকাল বিকেলে নারায়ণগঞ্জ শহীদ মিনার চত্বরে তাহরিকে খাতমে নবুওয়্যাত বাংলাদেশ-এর উদ্যোগে বন্দর পিআর সাত্তার লতিফ হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্ত আল্লাহ ও রসূল (সাঃ), ইসলাম ও মুসলমানদের বিরুদ্ধে কর্টূক্তি করার অপরাধে তার ফাঁসির দাবিতে এক মানববন্ধন ও প্রতিবাদ মিছিল করেছে। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ড. মুফতি সাইয়েদ এনায়েতুল্লাহ আব্বাসী পীর সাহেব জৌনপুরী। বক্তব্য রাখেন সংগঠনের মহাসচিব গণতান্ত্রিক ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান মাওলানা মাসউদুর রহমান বিক্রমপুরী, প্রেসিডিয়াম সদস্য মাওলানা নেয়ামত উল্লাহ আব্বাসী, মাওলানা ওবায়েদুল্লা আব্বাসী, দেওভোগ সাকিম আলী মসজিদের খতিব বিশিষ্ট আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের নেতা মাওলানা তামিম বিল্লা আল কাদরি, মাওলানা আবু সুফিয়ান, মাওলানা এনামুল হক আজাদী, মাওলানা মোশারফ হোসেন, মাওলানা আব্দুল্লাহ আল-মামুন প্রমুখ। সভাপতির বক্তব্যে ড. এনায়েতুল্লাহ আব্বাসী বলেন, মুসলমানের সবকিছুর উর্ধ্বে তার ঈমান ও ইসলাম। শ্যামল কান্তি কর্তৃক আল্লাহ, রাসূল (সাঃ), ইসলাম ও মুসলমানদের বিরুদ্ধে কটূক্তি ও অপমান করার অপরাধে তার সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদ- দাবি করে তিনি বলেন, এমপি সেলিম উসমান বড় অপরাধে শ্যামল কান্তিকে লঘু শাস্তি দিয়ে তাকে বাঁচানোর চেষ্টা করেছেন মাত্র। তিনি আরও বলেন, সকল বামপন্থী নাস্তিকদের হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, যদি কেহ নাস্তিক শ্যামল কান্তিকে বাঁচানোর জন্য তার পক্ষ অবলম্বন করে কোনো প্রকার ধর্মীয় উন্মাদনা সৃষ্টি করার চেষ্টা করে তাহলে তৌহদী জনতা তা প্রতিরোধ করবে ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।