২০৩৫ সালের মধ্যে মাত্রাতিরিক্ত মোটা হবেন ৪০০ কোটি মানুষ
২০৩৫ সালের মধ্যে মাত্রাতিরিক্ত ওজন বা মোটা হবেন বিশ্বের অর্ধেকেরও বেশি মানুষ। সংখ্যার বিচারে যা
তাপমাত্রা বেড়েই চলছে। চল্লিশ ছাড়িয়ে গেছে। নাভিম্বাস অবস্থা। তবে এর মধ্যেই কাজ চালিয়ে যেতে হচ্ছে। কর্মজীবন তো আর থেমে থাকতে পারে না। যেভাবে চলছিল সেভাবে না। একটু পরিবর্তন আনতে হবে। তবেই গরমের মিলবে আরামের দেখা।
সুতির কাপড় পরবেন। জমকালো পোশাক না পরা ভাল। বিয়ে, জন্মদিন-পার্টিতে খদ্দরের পাঞ্জাবি পরলে ভালই লাগবে। মহিলারা জামদানি পরতে পারেন। জামদানিতে গরম কম লাগে। জমকালো মেকাপ পরিহার করা ভাল।
যতটুকু না হলেই নয়। ততটুকু রিচ ফুড খান। এই গরমে রিচ ফুড আরো গরম বাড়িয়ে দিবে। সালাদ, সবজি বেশী করে খেতে পারেন। রোস্ট, রেজালা, লাল মাংস কম খাওয়া উত্তম। গরমে পানি খেতে কার্পণ্য করা যাবে না। তিন থেকে চার লিটার পানি একজন পূর্ণ বয়স্ক মানুষের প্রয়োজন। পানিটা যেন বিশুদ্ধ সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। হোটেল রোস্তেরাঁ, চায়ের দোকানের জারের শতকরা ৯৫ ভাগ পানি খাবার অনুপযুক্ত। এগুলো সরাসরি ওয়াসার পানি।
ডাবের পানি, সকালে চিরতার পানি, ইসবগুল মেশানো পানি খাওয়া ভাল। তবে রাস্তার পাশের সরবত ছুঁয়েও দেখা যাবে না। ওগুলো মানহীন, অস্থাস্থ্যকর। নোংরা পরিবেশে তৈরি। আশজাতীয় খাবার বেশি করে খেতে হবে। সকালে হালকা নাস্তা, দুপুরে সবজি, মাছ-ভাত খাওয়া যেতে পারে। কম মসলা দিয়ে রান্না করা খাবার খাওয়া ভাল। ১০০ গ্রাম তরমুজে ৯৫.৮ ভাগই জলীয় অংশ। পানি স্বল্পতা দূর করতে তরমুজ খেতে পারেন। তরমুজের দাম কম, সহজলভ্য। তরমুজের সরবত বানানোও সহজ। লেবুর দাম কম। গরমে লেবুর সরবত খেতে ভাল লাগে। হালকা লেবু দিয়ে সরবত বানিয়ে ফ্রিজে রাখুন। যখন যার দরকার খেয়ে নিবে। লেবু ভিটামিন সি এর যোগান দেবে। ডাবের পানিতে আছে পটাশিয়াম, সোডিয়াম। যা শরীরের জন্য খুব প্রয়োজনীয়। ডাবের পানি আপনার প্রাণজুড়াতে যথেষ্ট। কাচা আমে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি, ক্যারোটিন, লৌহ আছে। কাচা আমের জুস খেতে পারেন। আমের চাটনি তৈরী করে খাওয়া যায়। সব ব্যাকটেরিয়া শরীরের জন্য ক্ষতিকর নয়। দই এ কিছু উপকারী ব্যাকটেরিয়া আছে। তাই দইয়ের সরবত, লাচ্ছি খেয়ে প্রান জুড়ানো সম্ভব।
অনেকটা পথ হেঁটে এসেছেন। কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিন। তারপর পানি খান। সরাসরি ঠা-া পানি খাবেন না। দিনে কয়েকবার হাত, মুখে ঠা-া পানি দিন। এতে সজীবতা ফিরে আসবে। হিপহপ, টাইন, আটোশাটো ধরনের পোশাক গরমে পরিহার করুন। ঢিলাঢালা পোশাক পরুন। গরমে দিনে দুবার ঠা-া পানি দিয়ে গোসল করতে পারেন। পানিতে গোলাপের পাপড়ি, গোলাপজল, নিমপাতা মিশানো যেতে পারে। পানিতে দু-এক টুকরো বরফ ছেড়ে দিলে ভাল হয়। শরীরের সর্বত্র ঠা-া পানির স্পর্শ আপনাকে চনমনে সজীব করবে। ক্লান্তি দূর হবে। মেনথল বা জীবাণুনাশক সাবান ব্যবহার করা ভাল। গরমে শরীরে ময়লা বেশি জমে। তাই স্পাঞ্জ দিয়ে ঘাড়, কাঁধ, পিঠ, আন্ডারআর্ম পরিষ্কার করতে ভুলবেন না। গরমে ভাল থাকার জন্য গোসলটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। হালকা গন্ধের পারফিউম ব্যবহার করুন। আইসকুল পাউডার ব্যবহার করতে পারেন। ঠা-া ঠা-া অনুভূতি পাবেন। সুগন্ধি তেলও ব্যবহার করা যেতে পারে। চা, কফি কম খাবেন। রাতে হালকা গরম এক গ্লাস দুধ খেতে পারেন। পুষ্টির যোগান হবে। রাতে ভাত যে খেতেই হবে তা নয়। রুটি খেলে শরীরের জন্য ভাল। ভারী খাবার রাতে খাওয়া একদম ঠিক নয়। গরমে পরিমিত খাবার খেতে হবে। যে অঙ্গগুলো পোশাকের বাইরে থাকে সেগুলো গরমে সবচেয়ে বেশী ময়লা হয়। যেমন মুখম-ল, হাত ইত্যাদি। এসব অঙ্গের সুস্থতার জন্য চাই বাড়তি যতœ। কাচা হলুদের গুঁড়া, দুধের সর, বেসন দিয়ে প্যাক তৈরী করুন। হাত, মুখম-লে ভাল করে লাগিয়ে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করুন। তারপর ঠা-া পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। নিশ্চিত থাকুন এসব মানলে গরমে থাকবেন আরামে।
ষ মুহাম্মদ শফিকুর রহমান
ফ্রি ল্যান্স সাংবাদিক ও কলাম লেখক
বাসা-৩১, রোড-২৯ ডি-ব্লক
মিরপুর-১২, ঢাকা। ০১৭১৫ ৩৬৪২০৩
ঝধভরয়৬৯@মসধরষ.পড়স
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।