২০৩৫ সালের মধ্যে মাত্রাতিরিক্ত মোটা হবেন ৪০০ কোটি মানুষ
২০৩৫ সালের মধ্যে মাত্রাতিরিক্ত ওজন বা মোটা হবেন বিশ্বের অর্ধেকেরও বেশি মানুষ। সংখ্যার বিচারে যা
ঋতু পরিবর্তনের সময় নানা রোগের প্রাদুর্ভাব বেশি থাকে। এ সময় মুখ বেঁকে যাওয়া রোগে (বেলস পলসি) আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বছরের অন্যান্য সময়ের তুলনায় অনেক বেশি হয়। ভাইরাসের আক্রমণজনিত এ রোগে যেকোনো বয়সী লোক আক্রান্ত হতে পারে। তবে যাদের রোগ-প্রতিরোধ-ক্ষমতা কম, তাদের এ রোগ বেশি হয়। বিশেষ করে ভ্রমণের সময় ঠা-া বাতাস লাগলে, বেশি রাত জাগলে হঠাৎই এ রোগ দেখা দিতে পারে।
উপসর্গ : এ রোগটি সহজেই নির্ণয় করা যায়। বেশিরভাগ রোগীই কানের গোড়ায় বা ঘাড়ে ব্যথা অনুভব করেন। কুলি করতে গেলে আক্রান্ত অংশের পাশ দিয়ে পানি গড়িয়ে পড়ে। চোখ বন্ধ করতে পারেন না। কথা বলতে বা হাসতে গেলে মুখ একদিকে বেঁকে যায়। খাবার মুখের ভেতরের আক্রান্ত অংশে জমা হয়ে থাকে। হঠাৎই এসব উপসর্গ দেখা দিলে উল্লিখিত রোগটি হয়েছে ধরে নেয়া যায়।
ওষুধ দিয়ে চিকিৎসা : আক্রান্ত স্থানের প্রদাহ কমানোর জন্য চিকিৎসকেরা স্টেরয়েড-জাতীয় ওষুধ দিয়ে থাকেন। ইদানিং অ্যান্টি-ভাইরাল ওষুধও স্বল্প মেয়াদে প্রয়োগ করা হচ্ছে।
ফিজিওথেরাপি : কানের গোড়ার যে ছিদ্র দিয়ে সপ্তম স্নায়ু প্রবেশ করে, ঠিক সেই অংশে স্নায়ুটি ফুলে ওঠে। ফলে স্নায়ুটি চাপে পড়ে যায় এবং উদ্দীপনা চলাচলে ব্যাঘাত ঘটে। ঠিক এ অংশে ইলেকট্রো-ফিজিওথেরাপি প্রয়োগ করে স্নায়ু ও আশপাশের মাংসপেশি এবং তন্তুগুলোর প্রদাহ নিয়ন্ত্রণ করা যায়। এছাড়া মুখম-লের মাংসপেশিগুলোকে ফিজিওথেরাপির মাধ্যমে কৃত্রিমভাবে সঙ্কুচিত ও প্রসারিত করে স্থায়ীভাবে মুখ বেঁকে যাওয়াজনিত জটিলতা দূর করা যায়। এছাড়া ফিজিওথেরাপি বিশেষজ্ঞেরা বিশেষ ধরনের ব্যায়াম দেখিয়ে দেন, যা রোগীকে দ্রুত সুস্থ করে তোলে।
দ্রুত চিকিৎসা শুরু করতে হবে : বেশিরভাগ রোগীই জানতে চান, এই রোগ ভালো হয় কিনা। আসলে এটি নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। ৫০ শতাংশ রোগীই সাত থেকে ২১ দিনের মধ্যে সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে যায়। বাকি রোগীরা তিন মাস থেকে দুই বছরের মধ্যে সুস্থ হয়ে ওঠে। খুব অল্পসংখ্যক রোগীর মুখ স্থায়ীভাবে বেঁকে যায়। তবে দ্রুত চিকিৎসা শুরু করলে প্রায় সব রোগীই সুস্থ হয়ে ওঠে।
পরামর্শ : ফ্রিজের ঠা-া খাবার খাবেন না। আরামদায়ক ও খোলামেলা পরিবেশে অবস্থান করুন। পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করুন। ফিজিওথেরাপি বিশেষজ্ঞ যেসব ব্যায়াম দেখিয়ে দেন, তা আয়নার সামনে বসে অনুশীলন করুন। চুইংগাম চিবোতে পারেন। পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিন। আক্রান্ত চোখকে বাতাস ও তীব্র আলো থেকে বাঁচাতে বড় ও কালো কাচের চশমা ব্যবহার করুন।
ষ ডাঃ মোহাম্মদ আলী
পরিচালক, হাসনা হেনা পেইন এন্ড ফিজিওথেরাপি রিসার্চ সেন্টার (এইচ পি আর সি), বাড়ি-২১, রোড-১০/এ, সেক্টর-১১, উত্তরা, ঢাকা-১২৩০, মোবাইল- ০১৭৩২৭৬২৩৩৩
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।