মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
রোহিঙ্গাদের জন্য রাখাইনে নিরাপদ এলাকা গড়ার প্রস্তাব বাস্তবায়িত হলে শরণার্থী প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়াকে দুর্বল করে দেবে মনে করেন জাতিসংঘের মিয়ানমার বিষয়ক বিশেষ দূত ইয়ানঘি লী। মঙ্গলবার প্রকাশিত নতুন এক প্রতিবেদনে তিনি বলেছেন, প্রায় সাড়ে সাত লাখ শরণার্থীকে ফিরিয়ে নিতে চুক্তি হলেও রোহিঙ্গাদের স্বেচ্ছায়, নিরাপদ, মর্যাদাপূর্ণ ও স্থায়ী প্রত্যাবাসনের শর্ত পূরণ হয়নি। রোহিঙ্গারা এখনও পালিয়ে আসছে বলেও জানিয়েছেন জাতিসংঘের এই দূত। মঙ্গলবার প্রকাশিত জাতিসংঘ তদন্তকারীদের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রোহিঙ্গারা এখনও সীমান্ত পেরিয়ে আসছে। নতুন আসা শরণার্থীরা তাদের বা তাদের পরিবারের সদস্যদের ওপর নতুন করে সহিংসতার খবর দিচ্ছে। ইয়ানঘি লী বলেন, নিরাপদ এলাকা তৈরির প্রয়োজন থাকলেও তা নতুন প্রস্তাব শরণার্থীদের নিরাপদ, স্বেচ্ছা ও মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসনের প্রক্রিয়াকে দুর্বল করে দেবে। এছাড়া নিরাপদ এলাকার মধ্যে প্রত্যাগতদের সীমাবদ্ধ করে ফেলা হলে তারা আরও নাজুক পরিস্থিতিতে পড়বে বলেও জানান তিনি। লী বলেন, এর ফলে রোহিঙ্গাদের চলাফেরার স্বাধীনতা আরও সীমিত হয়ে পড়ার পাশাপাশি তারা অন্য সম্প্রদায়ের থেকে আরও বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বে। গত মাসে এক বিনিয়োগ সম্মেলনে রাখাইনে বিনিয়োগ করতে বিনিয়োগকারীদের আহ্বান জানান মিয়ানমারের রাষ্ট্রীয় উপদেষ্টা অং সান সু চি। তবে লী সংঘাত কবলিত রাখাইন রাজ্যে বিভিন্ন সংঘাতে মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়ে বিনিয়োগকারীদের সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন। অপরদিকে, মিয়ানমারে চতুর্থ শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের পাঠ্যবইতে মিশ্র রক্তের অধিকারীদের ঘৃণা করতে শেখানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন জাতিসংঘের এক মানবাধিকার তদন্তকারী। মঙ্গলবার প্রকাশিত এক রিপোর্টে দেশটিতে ঘৃণাবাদী মন্তব্যের বিস্তার নিয়ে সতর্ক করেছেন মিয়ানমারের মানবাধিকার তদন্তে জাতিসংঘের নিযুক্ত বিশেষ দূত ইয়ানঘি লী। প্রতিবেদনে তিনি অভিযোগ তুলেছেন ঘৃণাবাদী মন্তব্যকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিয়েছে মিয়ানমার। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা জানিয়েছে, নতুন এই প্রতিবেদন নিয়ে মিয়ানমার সরকার এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া দেয়নি। ২০১৭ সালে রাখাইনে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযান নিয়ে আন্তর্জাতিক সমালোচনার মুখে রয়েছে মিয়ানমার সরকার। ওই অভিযানের কারণে বাংলাদেশে পালিয়ে আসে প্রায় সাড়ে সাত লাখ রোহিঙ্গা। নিরাপত্তা বাহিনীর তল্লাশি চৌকিতে হামলার পর দেশটির সেনাবাহিনী বৈধ অভিযান চালিয়েছে বলে মিয়ানমার দাবি করে আসলেও বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের অনুসন্ধানে উঠে আসে ওই হামলার আগে থেকেই রাখাইনে রোহিঙ্গাবিরোধী মনোভাব তৈরিতে ঘৃণাবাদী মন্তব্য ছড়ানো হয়েছে। রয়টার্স, এএফপি, বিবিসি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।