Inqilab Logo

শুক্রবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বিমান ছিনতাই ‘পিস্তলটি প্লাস্টিকের খেলনা’

চট্টগ্রাম ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ৬ মার্চ, ২০১৯, ৩:৩৮ পিএম

বাংলাদেশ বিমানের উড়োজাহাজ ময়ূরপঙ্খী ছিনতাইয়ের চেষ্টাকারী পলাশ আহমেদের কাছ থেকে উদ্ধার করা পিস্তলটি খেলনা। এটি দেশে তৈরী প্লাস্টিকের একটি খেলা পিস্তল বলে প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত করেছে সিআইডি।
মামলার আলামত হিসাবে জব্দ করা পিস্তলটি পরীক্ষার জন্য সিআইডির কাছে জমা দেয় মামলার তদন্তকারী সংস্থা কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট। সিআইডি কর্মকর্তারা জানান, প্রাথমিক পরীক্ষায় পিস্তলটি খেলনা বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে।

এরপর সেটির ব্যালাস্টিক পরীক্ষা করে বিশেষজ্ঞ মত তদন্তকারী সংস্থার কাছে দেওয়া হবে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের পরিদর্শক রাজেশ বড়ুয়া বলেন এখনও প্রতিবেদন হাতে আসেনি। তবে পিস্তলটি খেলনা বলে সিআইডি প্রাথমিকভাবে জানিয়েছে।

এর আগে ২৪ ফেব্রুয়ারি বিমান ছিনতাই চেষ্টার দিন শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ফিরে চট্টগ্রামের পুলিশ কমিশনার মাহাবুবর রহমানও জানিয়েছিলেন, পিস্তলটি খেলনার।
বিমান প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী সংবাদ সম্মেলনে বলেছিলেন, তদন্তের পরই পিস্তলটি খেলনা কিনা, সেটি নিশ্চিত করে বলা যাবে। আবার ওই উড়োজাহাজের কয়েকজন যাত্রী বিমান ছিনতাই চেষ্টাকারি যুবক পলাশ পিস্তল থেকে দুটি ‘ফায়ার’ করেছে বলে জানিয়েছিলেন।

ওই বিমানের যাত্রীদের একজন ব্যাংক কর্মকর্তা ‘ফায়ারের’ সময় ‘ধোঁয়া আর বারুদের গন্ধ’ পেয়েছেন বলেও নিজের ফেসবুকে বর্ণনা দেন। যদিও মামলার এজাহারে পটকার বিস্ফোরণের কথা বলা হয়। তবে তদন্তকারি কর্মকর্তা বলছেন, ওই পিস্তল দিয়ে আদৌ গুলি বা ফায়ার করা হয়েছিলো কি না তা তদন্ত করা হবে।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় বাংলাদেশ বিমানের একটি উড়োজাহাজ (বোয়িং-৭৩৭) ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম হয়ে দুবাই যাওয়ার কথা ছিল। বিকেলে ঢাকা থেকে উড্ডয়নের পর উড়োজাহাজটি ছিনতাইকারীর কবলে পড়ে। এসময় দু’জন কেবিন ক্রুকে জিম্মি করে রাখার কথাও বলা হয়।

পরে বিমানটি শাহ আমানত বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণ করে। তখন পাইলট-যাত্রীদের নিরাপদে নামিয়ে নেওয়া হয়। শ্বাসরুদ্ধকর উত্তেজনার মধ্যে মাত্র ৮ মিনিটের সেনা কমান্ডো অভিযানে জিম্মিদশার অবসান ঘটে। অভিযানে ছিনতাইকারী পলাশ নিহত হয়।

এই ঘটনায় সিভিল এভিয়েশনের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের প্রযুক্তি সহকারী দেবব্রত সরকার বাদি হয়ে পতেঙ্গা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
সন্ত্রাসবিরোধী আইন, ২০১২-এর ৬ ধারা এবং বিমান নিরাপত্তাবিরোধী অপরাধ দমন আইন, ১৯৯৭-এর ১১ (২) ও ১৩ (২) ধারায় দায়ের হওয়া মামলায় নিহত যুবক পলাশ আহমেদ ও অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে।
মামলায় বলা হয়, উড়োজাহাজটি উড্ডয়নের পর পলাশ দু’টি পটকার বিস্ফোরণ ঘটায়। গত ২৬ ফেব্রুয়ারি তদন্তকারী কর্মকর্তার কাছে পিস্তল ও বিস্ফোরকসদৃশ বস্তুসহ বেশকিছু আলামত জমা দেয় র‌্যাব ও সেনাবাহিনীর প্যারা কমান্ডো টিম।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বিমান ছিনতাই

২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯
২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ