Inqilab Logo

মঙ্গলবার ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ডিপিএলের প্রথম চ্যাম্পিয়ন শেখ জামাল

স্পোর্টস রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৪ মার্চ, ২০১৯, ১১:০৮ পিএম

দুর্দান্ত শুরুটা টেনে নিতে পারলো না প্রাইম দোলেশ^র ক্রিকেট ক্লাব। আলোর মুখ দেখেনি অধিনায়ক ফরহাদ রেজার অলরাউন্ডার পারফর্মান্স। ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন টি-২০ ক্রিকেট লিগের প্রথম আসরে চ্যাম্পিয়নের খেতাব জেতা হলো না দোশে^রের। ফরহাদ রেজার দলকে ২৪ রানে হারিয়ে যে মুকুট মাথায় পরেছে নুরুল হাসানের দল শেখ জামাল ফানমন্ডি ক্লাব।

মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে নির্ধারিত ২০ ওভারে ১৫৭ রান করে শেখ জামাল। জবাবে ৮ উইকেটে ১৩৩ রানে আটকে যায় দোলেশ^রের ইনিংস।
দুর্দান্ত শুরুর পর হঠাৎই পথ হারায় দোলেশ^র। হারানো পথ দেখাকে এগিয়ে আসেন অধিনায়ত ফরহাদ রেজা। শেষ ওভারে আউট হওয়ার আগে দূরহ পিচে খেলেন ২০ বলে ৪৫ রানের ইনিংস। কিন্তু দলকে জেতাতে তার এই দুর্দান্ত ইনিংসও যথেষ্ঠ ছিল না। বাকিরা যে ছিলেন ব্যর্থ। এজন্য সবচেয়ে বড় কৃতিত্ব শহিদুল ইসলামের। মিডিয়াম পেসে ৪ ওভারে ১৯ রানে ৪ উইকেট নেন তিনি। আরেক পেসার সালাইদ্দিন শাকিল নেন ৪১ রানে ২ উইকেট। একটি করে উইকেট নিয়ে অবদান রাখেন ইলিয়াস সানি ও মিনহাজুল আবেদিন আফ্রিদিও।
চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্য তাড়ায় দোলেশ^রের শুরুটা ছিল ধীর। পাওয়ার প্লের শেষ ওভার থেকে চড়াও হতে শুরু করেন দুই ওপেনার সাইফ হাসান ও মোহাম্মাদ আরাফাত। আরাফাত ছিলেন বেশি মারমুখী। ৭.২ ওভারে রান আসে ৫৫। এমন সময় পায়ের মাংশপেশীতে টান পেয়ে স্ট্রেচারে করে মাঠ ছাড়েন আরাফাত। তার নামের পাশে তখন ২৩ বলে ৩ চার ও ২ ছয়ে ৩৩ রান। পরের ওভারে সালাউদ্দিন শাকিলকে ফিরতি ক্যাচ দিয়ে মাঠ ছাড়েন সাইফও (২৮ বলে ২৬)। মার্শাল আয়ুব ও মাহমুদুল হাসানের পর ১৫ বলে মাত্র ৬ রান করে ফরহাদ হোসেনও দ্রুত বিদায় নিলে চাপে পড়ে যায় দোলেশ^র। শেষ ৫ ওভারে দোলেশ^রের দরকার ছিল ৭২ রান, আরাফাতকে বাদ দিলে হাতে ছিল ৫ উইকেট। মিরপুরের দূরহ পিচে যে লক্ষ্য পাড়ি দিতে পারেনি দোলেশ^র।
টসজয়ী শেখ জামালের হয়ে স্বতর্ক শুরু করেন দুই ওপেনার ফারদিন হাসান ও ইমতিয়াজ হোসেন। সময়ের সাথে ফারদিনের ব্যাট কথা না বললেও প্রাইম দোলেশ^রের বোলারদের উপর চড়াও হতে থাকেন ইমতিয়াজ। ৭.৫ ওভারে তাদের ৬২ রানের জুটি ভাঙে ফারদিনের (২০ বলে ১৮) বিদায়ে। হাসানুজ্জামান (৪) ও নাসির হোসেন (৫) ইমতিয়াজকে তেমন সঙ্গ দিতে পারেননি। তাদের পথ ধরে আরাফাত সানির ঘুর্ণি বলে বোল্ড হয়ে ইমতিয়াজ সাজঘরে ফেরেন। তার আগে করে যান ইনিংস সর্বোচ্চ ৪৪ বলে ৪ চার ও ২ ছক্কায় ৫৬ রানের ইনিংস। সেমিফাইনালে ব্যাট হাতে ঝড় তোলা জিয়াউর ফরহাদ রেজার শিকার হলে ১৫.১ ওভারে ৫ উইকেটে ১০৪ রানে পরিণত হয় স্কোরবোর্ড। এরপর অধিনায়ক নুরুল হাসান ও তানবির হায়দারের ২৬ বলে ৪৯ রানের জুটিই দলকে লড়াইয়ের পুঁজি এনে দেয়। শেষ ওভারে টানা দুই বলে নুরুল (২৭ বলে ৩৩) ও হায়দারকে (১৫ বলে ৩১) ফেরান ফরহাদ রেজা।
৩২ রানে ৩ উইকেট নিয়ে প্রাইমের সেরা বোলার ফরহাদ রেজা। ১১ উইকেট নিয়ে প্রতিযোগিতার সেরা বোলারও প্রাইম দোলেশ^র দলপতি। একটি করে উইকেট নেন আরাফাত সানি, এনামুল হক জুনিয়র, মানিক খান ও সৈকত আলি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ