বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
রায়পুরা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে নিজের ছেলেকে দলীয় প্রার্থী বানাতে ব্যর্থ হয়ে বিতর্কিত ব্যক্তিকে পছন্দের প্রার্থী করে নৌকার বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে মাঠে নেমেছেন রায়পুরার এমপি রাজিউদ্দিন আহমেদ রাজু। আব্দুস সাদেক নামে তার ব্যক্তিগত পছন্দের এই প্রার্থীকে সাথে নিয়ে গত রবিবার সকালে রায়পুরার রাজু অডিটোরিয়ামে প্রকাশ্যে সভা করেছেন এমপি। এই অভিযোগ দলীয় প্রার্থী ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান চৌধুরী এবং দলীয় নেতাকর্মীদের।
অতীতে কয়েকটি ইউনিয়ন পরিষদ ও পৌরসভা নির্বাচনে একইভাবে নিজের পছন্দের প্রার্থী দিয়ে তিনি দলের ত্যাগী নেতাকর্মীদেরকে বঞ্চিত করার ধারাবাহিকতায় এবারও উপজেলা নির্বাচনে দলীয় নেতা-কর্মীদেরকে উপ-দলীয় ভাবে বিভক্ত করছেন। এমপি রাজুর ব্যক্তিগত পছন্দ-অপছন্দের কারণে রায়পুরার চরাঞ্চলে আওয়ামী লীগ দলীয়ভাবে বিভক্ত হয়ে রয়েছে। বছরের পর বছর সেখানে সংগঠিত হচ্ছে বন্দুকযুদ্ধ। মানুষের রক্তে লাল হয়ে উঠেছে চরাঞ্চলের মাটি। অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর করা হচ্ছে শত শত ঘর-বাড়ি। লুন্ঠিত হচ্ছে কোটি কোটি টাকার সম্পদ। রায়পুরা চরাঞ্চলের এই অশান্তির জন্য সেখানকার মানুষ এমপি রাজু এবং আব্দুস সাদেককেই দায়ী করছেন। বিগত ১০ বছরে চরাঞ্চলের সেই অশান্তি দূরীকরণে এমপি রাজু কোন কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারেননি।
গত রোববার রাজু এমপির উপস্থিতিতে সমাবেশে তার ব্যক্তিগত স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল সাদেক বলেছেন, তাকে মনোনয়ন দিয়েছেন রাজিউদ্দিন আহমেদ রাজু। তার নির্দেশেই তিনি প্রার্থী হয়েছেন। তিনি আরো বলেন বিগত ৩০ বছর ধরেই তিনি রাজুর উন্নয়ন কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছেন। তিনি জানান, টেস্ট রিলিফ, কাবিখাসহ সকল উন্নয়ন কার্যক্রমই তিনি নিজে পরিচালনা করেছেন। তিনি রাজুকে তার সমস্ত উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে পরামর্শ দিয়েছেন। তিনি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে জয়ী হতে পারলে তার পরামর্শে এমপি রাজু রায়পুরা উপজেলা পরিষদকে একটি গতিশীল পরিষদে পরিণত করবেন।
তিনি আরো বলেন বিগত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ৫০/৬০ লক্ষ টাকা খরচ করে এমপি রাজু মিজান চৌধুরীকে উপজেলা চেয়ারম্যান বানিয়েছিলেন। সেই মিজান চৌধুরী এমপি রাজুর সাথে বেঈমানি করেছেন।
রায়পুরা উপজেলা আওয়ামী লীগ সূত্রে জানা গেছে, এবারের উপজেলা পরিষদ নির্বাচন এমপি রাজু তার নিজ পুত্র রাজিব আহমেদ পার্থকে উপজেলা পরিষদে মনোনয়ন দেয়ার জন্য প্রস্তাব করে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয় পত্র পাঠায়। কিন্তু আওয়ামী লীগের রায়পুরার অন্যান্য নেতৃবৃন্দ এবং স্থানীয় নেতৃবৃন্দের অনুরোধে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান চৌধুরীকে দলীয় মনোনয়ন দেন। এতে রায়পুরা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের গতিপ্রকৃতি পাল্টে গেলে এমপি রাজু কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের প্রতি ক্ষুব্ধ হন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।